ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, জমি দখল বানিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী এ ঘটনায় তদন্ত পূর্বক প্রশাসনের ব্যাবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, তার ছেলেরা ও পরিবারের সদস্যরা জমি দখল, বারদী বাস স্ট্যান্ড ও সিএনজি স্ট্যান্ড দখল, সংখ্যালঘু পরিবারের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের মতো বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পারে। এমনকি তার বিরুদ্ধে বারদী বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় ও সামনের জায়গা রুটির দোকানের মালিকের কাছে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। আব্দুর রহমান সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান অনুসারী হওয়ায় এলাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ-ই মুখ খুলতে সাহস পায় না। বিএনপির এই নেতার পরিবার কসাইয়ের কাজ করায় এলাকার মানুষের কাছে পরিবারটি কসাই পরিবার হিসেবেই পরিচিত। আওয়ামী সরকারের পতনের পর আব্দুর রহমান তার তিন ছেলে সাবেক মেম্বার আঃ হালিম, আব্দুল আলী ও করিম সহ পরিবারের লোকেরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে পরে যে তাদের ভয়ে বারদী এলাকার সাধারণ মানুষ তটস্থ থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানায়, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান আওয়ামী সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলতো। বারদী ইউনিয়ন বিএনপির এক অংশ এই হরিলুটের বিষয়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। হাসিনা’র পদত্যাগের পর বিএনপির এই নেতা তার বাহিনী নিয়ে বারদী বাস স্ট্যান্ড ও সিএনজি স্ট্যান্ড দখল করে নেয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ স্থান শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষচারীর আশ্রম দুস্কৃতিকারীরা যাতে আক্রমন করতে না পারে সেই অজুহাতে তার দুই ছেলে আব্দুল আলী ও করিম মন্দীর পাহারার নামে। প্রতিদিন তারা পাহারার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট করার মধ্যেই দায়িত্ব শেষ করছে বলে সূত্র জানায়। আওয়ামী সরকারের পতনের পর এই আব্দুর রহমান বারদীতে মামলার ভয় দেখিয়ে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক,কামাল মেম্বার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফ সরকারসহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী, বারদীর সাধারণ মানুষ, হিন্দু পরিবার ও বিত্তবান সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এদিকে রহমানের মেঝো ছেলে আব্দুল আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গত ৯ আগষ্ট সন্ধ্যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যাবসায়ী কিরন দাসের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। বারদী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানানোর জন্য বিএনপির এই নেতা আব্দুর রহমান ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি নাজমুল মেম্বারকে চেয়ারম্যান বানানোর জন্য ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইদ সরকারকে সাথে নিয়ে আব্দুর রহমানের নিজ বাড়ী ও নাজমুল মেম্বারের রাজনৈতিক অফিসে একাধিক বার মিটিং হয়। এদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সোনারগাঁয়ের তৎকালীন সাংসদ অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম বারদীতে জায়গা ক্রয় করে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি ভবন নির্মান করেন। আব্দুর রহমান এই ভবনটি সংস্কারের নাম করে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির বর্তমাম সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের পিএস হিসেবে পরিচিত সেলিম হোসেন দিপুর সহযোগিতায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে বারদী দলরদী গ্রামের মোঃ আইয়ুব মিয়া নামের এক রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দিয়ে দেয়। আর ভবনের সামনের জায়গা নিজের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করে আসছে বিএনপি নেতা আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ঠ জন হিসেবে পরিচিত একাধিক ব্যাক্তি এঘটনা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও মাছ বাজারের সামনে এক তলা টিনসেট ভবন নির্মাণ করেন। আব্দুর রহমান ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের নেতা নাজমুল মেম্বারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আসাদুল্লাহ ও বশির উদ্দিনের জোত সম্পত্তি শ্রমিক লীগের ওই নেতার জন্য দখল করে নেয়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে আব্দুর রহমান তার চাচাতো ভাই সাবেক আব্দুস সাত্তার মেম্বার ও তার ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত আমজাদ হোসেনের নামে ওই জমির উপর জোর পূর্বক সাইবোর্ড লাগায়। এ ব্যাপারে বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিএনপির কার্যালয়টি ভাড়া দেওয়া হয়েছে এটা সত্য দলীয় প্রোগ্রামে কিছু ক্ষয় খরচ লাগে সেটার জন্য, কিন্তুু শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দির থেকে চাঁদার বিষয়টা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট, একটি কুচক্রী মহল আমার পরিবারকে নিয়ে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯