ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জে ভোল পাল্টানোর হিড়িক পড়েছে। যারা কিনা এ শহরে ওসমানীয় সাম্রাজ্যের ফ্রন্ট লাইনের কাতারে ছিলেন তারাও এখন নিজেদেরকে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করছেন। এতদিন ওসমানদের ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের নানান সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করলেও তারা তাদের অবস্থান দখল রাখতে এখন নতুনরূপে হাজির হচ্ছেন। ওসমানীয় সাম্রাজ্যের ফ্রন্ট লাইনের একজন জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, আজমেরী ওসমান, শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহাম্মেদ টিটুকে তথা ওসমান পরিবারকে ব্যবহার করে একচেটিয়া ভূমিদস্যুতা করে গেছেন শিল্প প্রতিষ্ঠান নীট কনসার্নের এ পরিচালক। পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছেন বারবার। জাহাঙ্গীর মোল্লার আদি নিবাস মুন্সিগঞ্জ হলেও নারায়ণগঞ্জে ভূমিদস্যুতার আধিপত্য ছিল হাতের মুঠোয়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে জোরপূর্বক ভূমি দখলে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। অন্যের জমি জোর করে নিজের করতে তিনি নিজেও সাধারণ মানুষের ওপর অস্ত্র তাক করেছিলেন, যে ছবি পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়েছিল। নগরীর জামতলায় এক হিন্দু পরিবারের ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে জাহাঙ্গীর মোল্লার বিরুদ্ধে। চিত্তরঞ্জন কটন মিলসের শ্রমিকদের উৎখাত করতে সন্ত্রাসী দিয়ে তিনি শ্রমিক কলোনীতে অগ্নিসংযোগ ঘটান। মাসের মাস তিনি শ্রমিক কলোনীর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখেন। তিনি এসব অপকর্ম করতে বিপুল অর্থ দিয়ে পালতেন একপাল সন্ত্রাসী। সেইসব সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে ছিল আজমেরী ওসমান। যার ভয়ে এক ঘাটে পানি খেতো বাঘে-মহিষে। জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লার সমাজে আরেকটা পরিচয় ছিল ক্রীড়ানুরাগী হিসেবে। নীট কনসার্ন নামে তার একটি ক্রীড়া একাডেমী রয়েছে। এ সুবাদে তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক ছিলেন শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহাম্মেদ টিটু। এই টিটু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালান। যার ভিডিও এখন সবার হাতে হাতে। টিটুর সাথে জাহাঙ্গীর মোল্লার ছিল গভীর সখ্যতা। প্রশাসনের সাথেও তাঁর ছিল নিবিড় সম্পর্ক। হুটহাট করে তাঁর ডেরায় নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে মনোরঞ্জন বসাতো। এক কথায় ভূমিদস্যুতা করতে যাকে যখন দরকার লাগতো তাঁর সাথেই যে কোন মূল্যে তিনি সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। সবশেষ তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যের ধারক বোস কেবিনটিও নিজের আয়ত্বে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। আর এতে করে তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে ভূমিদস্যুতার গডফাদার হিসেবে আবির্ভূত হন। হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলায় পরিবর্তিত হয়েছে বিকেএমইএ, চেম্বার অব কমার্স, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবসহ বহু প্রতিষ্ঠানে। জেলা ক্রীড়া সংস্থায়ও আসছে পরিবর্তন। আর এ খবরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা। তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে নানা মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় তিনি গোপন বৈঠকও করেছেন। এ জন্য তিনি এখন আওয়ামী বিরোধী সাজছেন। পুনরায় জেলা ক্রীড়া সংস্থায় তাঁর ফেরার চেষ্টার খবরে নগরবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। আজমেরী ওসমানের এ দোসরকে প্রতিহত করতে ক্রীড়ানুরাগীরা একাট্টা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা যাতে আবারও স্বরূপে ফিরতে না পেরে সে ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ চান অভিজ্ঞ মহল। আর যদি প্রশাসন তাতে ব্যর্থ হয় তাহলে যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবেন বলে অভিজ্ঞ মহলের মত।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯