ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির মধ্যে বিরোধ এখন প্রকাশ্যে। একপক্ষকে কেন্দ্রীয় ভাবে স্বকৃতি দিলেও অপর পক্ষ এখনো নিজেদের সাচ্চা বিএনপি বলে দাবি করছেন। মহানগর বিএনপির এই বিরোধ ইতিমধ্যে সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। গত শুক্রবার মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বন্দর থানায় গতকাল রোববার মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক। এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাতে অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু নিজেই বাদী হয়ে থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও বন্দর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে। এ ছাড়া মামলায় নাসিকের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউসার আশা, বিএনপি সমর্থক সৌরভ, রাজিব, মোস্তাক আহমেদসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিনের মোড়ে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। টিপুকে রাস্তায় ফেলে লাঠিসোটা বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। টিপুর শরীরের পাঞ্জাবী ছিঁড়ে ফেলা হয়। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন মাসুদ রানা ও স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা খায়রুল কবির মুন্না। তাদের মধ্যে মুন্না রক্তাক্ত জখম হন। হামলার সময়কার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৬ সেপ্টেম্বর বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যার জন্য আবুল কাউছার আশা ও আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে বিবাদীরা দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। এ সময় আশা চাপাতি দিয়ে টিপুর ঘাড়ে কোপ দেন। এর ফলে তার ঘাড়ে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে আশা তার পায়জামার পকেটে থাকা ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যান। আর মুকুল তার হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে মাথায় বাড়ি দিতে গেলে তা ঠেকাতে গিয়ে টিপুর বাম হাতের নিচ অংশ ভেঙে যায়। এ সময় মুকুলও তার পাঞ্জাবীর পকেটে থাকা ৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে যায়। টিপু মামলায় আরো উল্লেখ করেন, বাকি আসামিরাও আমিসহ আমার নেতাকর্মীদের বাঁশ দিয়ে মারধর করে। পরে নেতাকর্মীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তিনি নিরাপত্তাজনিত কারণে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের হেলথ রিসোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে টিপুর ওপর হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘মুকুল, আশা, মোস্তাক, সৌরভ ও রাজীবসহ দেড় থেকে দুই শ’ লোক এই হামলা করেছে। মামলায় আসামিরা হলেন, আবুল কাউছার আশা (৩৫), মোঃ আতাউর রহমান মুকুল (৫৫), সৌরভ (৪০), রাজীব (৩০), মোস্তাক আহম্মেদ (৪২), মোঃ পাবেল সরকার (৩৮), জাকির হোসেন (৫৫), মোঃ রাসেল আহম্মেদ (৩৮), ওয়াসিম জয়কে বোমারু ওয়াসিম (৩৫), নাসির (৩৭), রিপন (৩৮), হেলাল উদ্দিন রবিন (৩৯), মোঃ হোসেন (৪২), ওয়াসিম (৩৮), আব্দুল জলিল (৫৮), মোঃ রুবেল (৩৮), কামলেট (৪৫), মোঃ শাহআলম (৪৮), মোঃ সাইদুর (৫৫), সানি সিকদার, মোঃ মহসিন, জাহাঙ্গীর ওরফে আইরইল্লা জাহাঙ্গীর, সাইদুর রহমান লিটন (৫৬), আবু তাহের মিন্টু (৪৫), বিপ্লব (৩৫), মোঃ সনি (৪০), মানিক চাঁন (৪৫), মোঃ সজিব (৩৮), মানিক, আকাশ বশির, দর্পণ, অর্পন, বায়ী (২৮), সায়মন (২৬), হালিম প্রধান (৪২), মোঃ কাউছার (৩২), মোঃ মুন্না (৩২), সুজন, রাব্বি ওরফে কানা রাব্বি, রাজু, জামান, আপেল, রবিন, মনিরুল হক রঞ্জু, হৃদয়, মোঃ তাওলাদ হোসেন, ইমরান, মোঃ রুবেল মেম্বার, জাহাঙ্গীর মেম্বার, মোঃ শরীফ, আমান, শুভ, বরিশাইল্লা রবিনের নাম উল্রেখ করা হয়। তাদের হামলায় আমাদের প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমাদের সদস্য সচিব মৃত্যুশয্যায় রয়েছে।’ এদিকে টিপুর ওপর হামলার ঘটনায় গত শনিবার নারায়ণগঞ্জ শহরে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির দুটি পক্ষ। সকালে কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার নেতৃত্বে ও বিকেলে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯