ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতি স্তব্ধ হয়ে গেছে। গত জুন-জুলাইয়েও আওয়ামীলীগ নেতা থেকে শুরু করে সুবিধাভোগী সকলেই এক বাক্যে আওয়ামীলীগের যে কোন সমস্যা তারা মোকাবেলা করবে বলে ঘোষনা দিয়েছিল। জনগণের বিপক্ষে অবস্থান করে আওয়ামীলীগ বলে বেড়াতো তারা জনগণের দল। জনগণ তাদের সাথে আছে। তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপির পাশে কেউ নেই এমন কথা অহরহ শুনা গেছে। কিন্তু তারা ২০১৪ সাল থেকে আওয়ামীলীগ জনবিচ্ছিন্ন তা দেশের মানুষ জানলেও আওয়ামীলীগ কখনো স্বীকার করেনি। আওয়ামীলীগের নেতারা ছিল বড় বুলি আওড়ানো আর সুবিধা নিয়ে দেশকে খোকলা করা। দীর্ঘ ১৬টি বছর জনগণের ঘাড়ে চেপে বসা আওয়ামীলীগ দেশটাকে একটি অঘোষিক কারাগারে রূপান্তরিত করে রেখেছিল। জনগণ আওয়ামীলীগের বিপক্ষে ছিল আওয়ামীলীগ বুঝতে পেরে পর পর তিনটি নির্বাচনই বির্তকিত করে অবৈধ প্রন্থায় নিজেদের বিজয়ী ঘোষনা করে তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। আওয়ামীলীগ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য প্রশাসন ও আমলাগুলিকে অতিরিক্ত তার নিজের বাছাই করা লোক বসিয়ে রেখেছিল। যাতে আওয়ামীলীগ দুর্নীতি ও ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করে রাখতে পারে। প্রশাসনের লোক দিয়ে বিরোধী মতকে বছরের পর দমন পীড়ন করে দেশটাকে একটি ভুতুরে আতঙ্কের রাজ্যে পরিনত করে রেখেছে। দেশের অর্থনীতি একেবারেই ধ্বংস করেছে আওয়ামীলীগ। সাধারণ মানুষ নিত্যপন্য ক্রয়ে হিমশিম খেতে থাকে। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিটি সেক্টরে বৈষম্য ছিল আওয়ামীলীগ শাসনামলে। অবশেষে শুরু হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলন একে একে রূপ নেয় সরকার হটানো আন্দোলনে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩৬ দিনের মাথায় গত ৫ আগষ্ট আন্দোলন সফলতা পায় দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারকে হটিয়ে। গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে দেশের সকল আওয়ামীলীগ নেতা থেকে শুরু করে তৃনমূল পর্যায়ের নেতারাও পালিয়ে গেছে। সকলেই এখন বাড়ি ছাড়া। যারা আওয়ামীলীগ সরকারের সময় সুবিধাভোগী ছিল তারা পালিয়ে থেকে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারলেও যারা তৃনমূল আওয়ামীলীগ সরকারের সময় সুবিধো নিতে পারেনি শুধু আওয়ামলিীগের গুনগান গেয়েই গেছেন তারা এখন বিপাকে। তাদের অবস্থা ছিল কাজ করে ভাত খাব আর বিনা স্বার্থে আওয়ামীলীগের গুনকীর্তন করব। সেই সকল নেতারা এখন চরম ভাবে হতাশায় ভোগছেন। অনেকে আবার মামলা থেকেও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বলা চলে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের প্রায় সকল পর্যায়ের নেতাকমীই এখন আত্মগোপনে। মনদপুর ইউনিয়ন আওয়ামলিীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুঠো ফোনে বলেন, আমরা এখন এলাকা ছাড়া। আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছে। আমরা এখন অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি। আমরা পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন। বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভংচুর করেছে। আমরা এখন গ্রাম ছাড়া। আমরা জনগণের সাথে থাকতে চাই। কারণ আওয়ামীলীগ করেছি বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রাণীত হয়ে। এখন আমরা বর্তমান সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাই। আমরা পরিবারের কাছে ফিরতে চাই। আমরা আওয়ামীলীগ করেছি কিন্তু সুবিধাভোগী ছিলাম না। তাই আমাদের নিরাপত্তা দিন।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯