কতিপয় আ’লীগ-জাপার নেতা বিএনপি নেতাদের শেল্টারে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে কিছু বিএনপির নামধারী নেতা গজিয়েছে তারা অর্থের লোভে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামলিীগ ও জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের শেল্টার দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা চায় আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির নেতারা এলাকায় ফিরে এসে তাদের সাথে দহরম মহরম করে আগের মত লুটপাট ও দুর্নীতি করে সেই ভাগ তাদের দেয়া হউক। এমনই অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সস্তাপুর ও ইসদাইর এলাকর আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের ব্যবসায়ী পার্টনার মাহাবুবুল হক টগর সহ বিভিন্ন নেতাদের শেল্টার দিয়ে বিএনপির প্রকৃত নেতাদের কোনঠাসা করছে বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান উজ্জলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায়। সেই সাথে আত্মগোপন করে মাহবুবুল হক টগরসহ নারায়ণগঞ্জের সকল এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের শাসনামলে মাহাবুল হক টগরের সাথে আতাত করে এলাকায় দিব্যি মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি সহ নানান অপকর্ম করে এসেছিল সিদ্দিকুর রহমান উজ্জ্বল। যার বিরুদ্ধে অপহরন, মাদক সহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে উজ্জ্বল বিএনপি’র নাম ব্যবহার করে এলাকায় টগরসহ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির নেতাদের এলাকায় ফিরিয়ে আনতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, ফতুল্লা থানা তাঁতি দলের সভাপতি ও ফতুল্লা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান উজ্জল। অন্তবর্তী কালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে বেপরোয়া ওঠে উজ্জল। বিএনপির প্রকৃত ও হামলা- মামলা শিকার হওয়া নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যায়, উজ্জল আওয়ামী লীগ নেতা ও শামীম ওসমানের ব্যবসায়ী পার্টনার মাহবুবুল হক টগর, জাতীয় পার্টির নেতা ও ট্রাক স্ট্যান্ডে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মানিক (সন্ত্রাসী হাজ্বী রিপন ও ডিশ বাবুর সহযোগী), নিতাইগঞ্জ ও পঞ্চবটি ট্রাক স্ট্যান্ডের ক্যাশিয়ার ও জাতীয় পার্টির নেতা সোহাগ,আওয়ামী লীগ নেতা রিপন ফকির হাসোজ্জল। সিদ্দিকুর রহমান উজ্জ্বল গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ নেতা টগরের সাথে সখ্যতা তুলে ব্যবসা সহ নানান সুবিধা নিয়েছিল। সেই টগর সহ আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির নেতা ও কর্মীদের এলাকায় ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান উজ্জ্বল। এ ব্যাপারে উজ্জ্বল মুঠোফোনে বলেন, অপহরণের যে কথা বলছেন সেই মেয়ের সাথে আমার প্রেম ছিল। আমি ও আমার পরিবার কেউ মাদকের সাথে জড়িত নই। আপনি প্রমান ছাড়া নিউজ করলে হার্ডলাইনে যাবো। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাই বাছাই করেন। আপনি আমার অফিসে এসে চা খেয়ে যাইয়েন।
ই-