ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী বিজয় আনন্দ উদযাপন চলাকালে একটি গোষ্ঠি শুরু করে ব্যাপক তান্ডব। আওয়ামীলীগ যেভাবে দীর্ঘ ১৫ বছর জবর দখল ও চাঁদাবাজি করেছে সেই একই কায়দায় ভ’খা বাঘের মত ঝাপিয়ে পড়ে বিভিন্ন সেক্টরে। এই সকল দখলবাজরা নিজেদের বিএনপি পরিচয় দিয়ে তান্ডবও চালায়। এর মধ্যে কিছু অতি উৎসাহি বিএনপি নেতাও রয়েছে। এর মধ্যে বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশার নেতৃত্বে মাহমুদ নগরে কর্ণফুলী ডক ইয়ার্ডে চলে লুটপাট। যা বন্দরসহ নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র সমালোচনা চলছে। এই সকল নেতাদের কড়া হুশিয়ারি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, কোন অনুপ্রবেশকারী, যারা আগে অস্ত্রের রাজনীতি করেছে, আপনারা কেউ নিজেদের শক্তিশালী করার জন্য ওদের প্রশ্রয় দিবেন না। আমি সাবধান করে দিতে চাই। আমার কাছে সকলের নাম আছে। আমি তাদের কাউকে ছাড় দেব না। আমার সাথে আন্দোলন সংগ্রাম করে থাকলেও কেউ যদি চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে আমি ছাড় দেব না। তারেক রহমান বলেছেন এদের পুলিশে সোপর্দ করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যাবস্থা নিতে। গতকাল বুধবার রূপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আজ সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে এখানে পেয়ে আমি আবেগাপ্লুত। আমি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সকল শহীদদের এবং যারা আহত ও অন্ধ হয়েছে তাদের সকলের প্রতি সমবেদনা জানাই। তিনি বলেন, এই আন্দোলন জুলাইয়ে শুরু হয়নি। এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল আরও ১৫/১৬ বছর আগে। যখন ২০১৩ সালে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের অনেক নেতাকে তারা হত্যা করেছিল। সেই থেকে যত রাজনৈতিক মামলা হয়েছে সবগুলোর আসামি আমরা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত, হেফাজত ও ইসলামিক দলগুলোর নেতাকর্মী। সেইসব শহীদদেরও আমি রুহের মাগফেরাত কামনা করি। আপনাদের সাথে আমি একমত। আপনারা আমার অন্তরের কথাগুলোই বলেছেন। রূপগঞ্জের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা মাদক। গাজী গোলাম দস্তগীর মাদক ব্যাবসায়ী ও খুনীদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আজ তারা এলাকায় ঢুকতে পারেনা, কারণ তারা চাঁদাবাজি, মাদক ও অস্ত্রের সাথে জড়িত ছিল। আমরা চাই যৌথ বাহিনী সাথে নিয়ে অবিলম্বে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হোক। আমরা আপনাদের পাশে থেকে সহায়তা করবো। এখানে কোন দলীয় লোকেরা চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজিতে জড়িত ছিল না। আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। তিনি চনপাড়ার বিষয়ে বলেন, আব্দুল মতিন চৌধুরী এই এলাকাটার নাম দিয়েছিল জিয়া নগর। আমরা এই এলাকাটাকে মাদকমুক্ত করতে চাই। ইতোমধ্যে সেখানে মাদক নির্মূলে কমিটি করা হয়েছে। ঢাকায় যত মাদক যেত, এ অঞ্চল থেকে যেত। এখানে প্রচুর অস্ত্র রয়েছে। নয়ত কালকে আমাদেরই এই অস্ত্র নিয়ে এরা মারতে আসবে। মাদক ও অস্ত্র বন্ধ হলে এসকল চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে। বিএনপি চাঁদাবাজদের জায়গা দেবে না।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯