ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে একের পর এক মামলা হচ্ছে। সেসব মামলার আসামি হচ্ছেন পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রীসহ প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিরা। অনেককে আবার নেওয়া হচ্ছে রিমান্ডে। আবার অনেক নেতাকর্মীর বাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানোও হচ্ছে। এ অবস্থায় আপাতত কোনো কর্মসূচিতে যাবে না ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ। আরেকটু সময় নিয়ে কর্মসূচি দেবে ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা দলটি। গত কয়েকদিনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় হতাহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। হামলা হচ্ছে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত দলের নেতাকর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। কখন যে কার নামে মামলা-হামলা হয়, সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্টের আগেও যারা মাঠে বেশ সক্রিয় ছিলেন, তারা এখন বেশি আতঙ্কে। একদিকে মামলার ভয়, অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতের হামলা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সিনিয়র এক নেতা বলেন, আমরা একটু সময় নিচ্ছি। কীভাবে এগোনো যায়, তা নিয়ে ভাবছি। আমাদের পরবর্তী কর্মপদ্ধতি বা পদক্ষেপ কী হতে পারে, সেগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি— আমাদের নেতাকর্মীরা আর যেন কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। কারণ, এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। নতুন করে আমাদের কোনো নেতাকর্মী যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য আমরা কিছুটা সময় নিচ্ছি। দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কথা হচ্ছে। সব নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য, সাহস দেওয়ার জন্য, মনোবল ধরে রাখার জন্য আমাদের বলা হয়েছে। যেন নতুন করে আর ক্ষয়ক্ষতি না হয়। এখন সেটার ওপরে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৬ বছরের শাসনামলের সমাপ্তি ঘটেছে স্বৈরশাসকের তকমা নিয়ে। সাবেক সরকারপ্রধানের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা; অবশেষে দেশ ছেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে দেশের সব থেকে পুরোনো রাজনৈতিক দলটিকে। বর্তমানে দলের সভাপতিসহ কেন্দ্রীয়, থানা ও ওয়ার্ডসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন। এ অবস্থায় রাজনীতির মাঠে কোণঠাসা দলটি। এমন পরিস্থিতিতে আপাতত রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চায় না ১৬ বছর ধরে ক্ষমতা থাকা দলের নেতাকর্মীরা। অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ও বিএনপি-জামায়াতের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে চাচ্ছে দলটির তৃণমূল নেতারা। মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা এখন কোনো কর্মসূচিতে যেতে চাই না। আপাতত কয়েক মাস আমাদের নিশ্চুপ থাকতে হবে। একটা বিপ্লব হয়েছে, এত তাড়াতাড়ি প্রতিবিপ্লব করা সহজ না। আগে আমাদের সংগঠিত হতে হবে। দলের নেতাকর্মীরা আমার মতো আত্মগোপনে আছেন। এখন সক্রিয় হলে মামলা-হামলার শিকার ছাড়া আর কিছু হবে না। মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, আপাতত নীরব থাকাই শ্রেয়। আমাদের সেভাবেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সময় নিয়ে কর্মসূচি দেবে। নেতারা বলেছেন— আপাতত নিরাপদ স্থানে থাকতে। মামলা ও হামলা থেকে রক্ষা পেতেই এখন নেতাকর্মীদের মাঠে না থাকার নির্দেশনা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলন চলাকালেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের বলতে শুনেছি, কেন্দ্রের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে মাঠে আছি। ওই সময় অনেকেই ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত। অতীতের মতোই অনেকের ভাষ্য ছিল- ‘শেখের বেটি’ থাকতে ভয় নাই। তিনি ‘শেষ রক্তবিন্দু থাকতে লড়ে যাবেন।’ অর্থাৎ ওই সময় তাদের বিশ্বাস ছিল, সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯