ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
খুনি হাসিনার লাঠিয়াল হিসেবে পরিচিত গডফাদার শামীম ওসমানের সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম সহযোগী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকনের সবচেয়ে কাছের মানুষ আনিস শিকদার। খোকনের বিগত নির্বাচনগুলোতে আনিস সিকদার ছিলেন নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী। সেই সাথে খোকনের চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব আর ভূমিদস্যুতাসহ সকল অপকর্মের প্রধান সহযোগী ছিলেন এই আনিস শিকদার। কিন্তু রাজনীতির পালা বদলে সেই আনিস সিকদার এখন রূপ পাল্টে হয়ে গেছেন পুরোদস্তুর বিএনপি নেতা। এমনকি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির অন্তর্গত ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদও বাগিয়ে নিয়েছেন আনিস শিকদার। আওয়ামী লীগ আমলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা কাউন্সিলর ইফতার আলম খোকনের সহযোগী আনিস সিকদারকে তাই মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির একজন প্রবীণ নেতা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০ নং ওয়ার্ড এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছিলেন কাউন্সিলর ইফতার আলম খোকন। নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, লুটপাট আর জমি দখলের মহোৎসব চালিয়েছেন তিনি। আর তার এই অপকর্মের প্রধান সহযোগী ছিলেন আনিস শিকদার। এছাড়া গরুর হাট, বিভিন্ন পুকুরের মাছ, গার্মেন্টসের ঝুটসহ অত্র এলাকায় সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ ছিল আনিস শিকদারের হাতে। কাউন্সিলর খোকনের সঙ্গে থেকে অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন তিনি। স্থানীয় এক প্রবীণ বিএনপি নেতা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অপকর্মের দোসর এই আনিস শিকদার রূপ পাল্টে এখন বিএনপি সেজে বসে আছেন। এক সময় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছে এই আনিস শিকদার। নেতাকর্মীদের বাসায় রাতবিরাতে পুলিশ পাঠিয়েছেন, মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা আদায় করেছেন। নানাভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে এই আমি শিকদারের হাতে অথচ সেই আওয়ামী লীগের দোসরকেই দেয়া হয়েছে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদ যা স্থানীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তিনি আরো বলেন আওয়ামী লীগ আমলে চাঁদাবাজি লুটপাট করে কোটি কোটি টাকা কামানো আনিস শিকদার এখন বিএনপির পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পরে কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলে তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে পৃষ্ঠপোষকতা করে এলাকায় থাকার সু-বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন আনিস সিকদার। সেই সাথে চিত্তরঞ্জন মিলের বড় পুকুর ও খেলার মাঠ বড় পুকুর এবং ইটা খোলার বড় পুকুর থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মাছ বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় ইব্রাহিম গার্মেন্টসে ঝুট নামানোর ব্যবস্থা করেছেন অথচ গত ১৫ বছর যাবত মামলা হামলায় নির্যাতিত নেতাকর্মীরা কিছুই পাচ্ছে না। আমরা শুনেছি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলামকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদ হাতিয়ে নিয়েছেন সুঁচতুর আনিস সিকদার। আমরা এসব অনিয়মের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের কাছে এর প্রতিকার দাবি করি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিস সিকদার বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে যে কেউ যে কারো পক্ষে নির্বাচন করতে পারে। খোকন হোক আওয়ামী লীগের লোক, হোক শেখ হাসিনার লোক তাতে কি হয়েছে, সে তো আমার এলাকার লোক, আমার বাড়ির পাশেই তার বাড়ি। আওয়ামী লীগের লোকের সাথে কি এলাকায় চলাফেরা করতে পারব না, আওয়ামী লীগ করে বলে কি কারো সাথে কথা বলতে পারব না।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯