বন্দরে কেজিএফ বাহিনীর আর্বিভাব

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরে নোয়াদ্দা এলাকায় বোরহান মিয়া নামের লোকের বাড়িতে গিয়ে হামলা ও হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে কেজিএফ বাহিনী। বহিরাগত সন্ত্রাসী, মাদক সম্রাট কেজিএফ বাহিনীর মূল হোতা জীম, লাম, আলিম, সীমান্ত, সিনহারা ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী মাদক সম্রাট (কেজিএফ) বাহিনী নামে বেশ পরিচিত। কেজিএফ বাহিনীর প্রধান হোতা মাদক সম্রাট জীম, লাম, মোঃ আলিফ মাদক সম্রাট সুজন, ইসলামবাগ এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে সিমান্ত, মোঃ সিনহা মোঃ ফিরোজ মিয়া, মোসাঃ সেলিনা (৫২), স্বামী- মোঃ ফিরোজ মিয়া, সেই সন্ত্রাসী বাহিনীর মূল হোতা কেজিএফ জীমের নের্তৃত্বে ৪০/৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দাড়ালো অস্ত্রসহ লোহার রড, এস এস পাইপ দিয়ে হামলা চালায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উক্ত বিবাদীরা আমার স্বামী বাড়িতে প্রবেশ পূর্বক হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লোপাটসহ বোরহান মিয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। আমাদের পরিবার এলাকায় বিচার শালিশ করায় বিবাদীগণ আমাদের উপর ক্ষিপ্ত এবং তাহাদের অপকর্মে বাঁধা দেওয়ার বিবাদীদের সহিত উক্ত বিরোধ সৃষ্টি হয় বিবাদীরা আমাদের প্রতিনিয়ত খুন জখম করিবার হুমকি ধামকি দিয়া আসিতে থাকে। উক্ত বিরোধের জের ধরিয়া ৫নং বিবাদীর নির্দেশে উক্ত ১-৪ নং বিবাদী অজ্ঞাতানামা ৪০/৫০ জন সাথে নিয়া গত ১১সেপ্টম্বর সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্র ছুরি, চাপাতি রামদাসহ বন্দর থানাধীন নোয়াদ্দা এলাকায় আমাদের বাড়িতে আসিয়া হামলা চালায় এবং আমার স্বামী মোঃ বোরহান (৫৬) এর নাম ধরিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। পরবর্তীতে বিবাদীগণ এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাইয়া আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। পরববর্তীতে ১-৪ নং বিবাদী জোরপূর্বক আমাদের ঘরে ঢুকিয়া আমার স্বামীকে লোহার রড দিয়া এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে এবং আমার স্বামীকে টানা হেচড়া করিয়া ঘর হইতে বাহিরে আনে ও সেখানে উক্ত ১-৪ নং বিবাদী তাহাদের হাতে থাকা রাম দা, চাপাতি, ছুরি দিয়া এলোপাতাড়ি কোপাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত কাটা জখম করে। সে সময় আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসিলে বিবাদীগণ আমাদের জীবন নাশের হুমকি দিয়া মোটর সাইকেল, সিএনজিতে করিয়া পালাইয়া যায়। পরবর্তীতে আমার স্বামীকে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত অবস্থায় উদ্ধার করিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বন্দর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহার উন্নত চিকিৎসার জন্য জোনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) নারায়ণগঞ্জ রেফার্ড করেন। জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বন্দর থানা পুলিশের একাধিক টিম ১২ সেপ্টেম্বর ও ১৩ সেপ্টেম্বর ঘটনার তদন্ত করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আহত বোরহান মিয়া বলেন, আমাকে নিজের ঘর থেকে মারতে মারতে নিয়া যায় আমার ঘরে পাঁচ লাখ টাকা ছিলো ৫ ভরি স্বর্ণ ছিলো এগুোলা নিয়া যায়, আমার মাথায় পিস্তল ধরে সুজন বকুলের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী বলে তুই ঘর থেকে বাহির হো পরে ৪০/ ৫০ জন হবে জিমের নেতৃত্বে আমাকে ঘর থেকে বাইরে নিয়া যায় জিম, লাম, আলিফ, সিনহা, সুজন, সিমান্ত, ওদেরকে আমি চিনতে পারি আরো ৪০ বা ৫০ জন দারিয়ে থাকে জিম, লাম, আলিফ, ওরা আমাকে মেরে ফেলার জন্য রামদা দিয়া কোপায় বাকিদের চিনিনা ওরা ৪০ বা ৫০ জন ছিলো।