ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিসিক শিল্প এলাকায় ঝুট সেক্টর দখলে নিতে মরিয়া শ্রমিকলীগের অন্তর্ভুক্ত মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ফতুল্লা থানার সভাপতি রহমত উল্লাহ ওরফে কাইল্লা রকমতের অন্যতম সহযোগী জাহাঙ্গীর ওরফে বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীর। বিগত আওয়ামী শাসনামলের শামীম ওসমান, আজমেরী ওসমান, শাহ নিজাম ও সাজনুর শেল্টারে কাইল্লা রকমতের সহযোগীতায় বিসিক শিল্প এলাকায় মালিকদের জিম্মি করে ঝুট সেক্টর দখলে রাখার অভিযোগে ছিলো এই বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর খোলস পাল্টে বিএনপি নেতা বনে যায় সে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কোনো গুরুত্বপুর্ণ পদে না থাকলেও সিনিয়র কয়েকজন বিএনপি নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে এবং নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে পুনরায় ঝুট সেক্টর দখলে রাখছে এই জাহাঙ্গীর। বিসিক শিল্প এলাকার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা জানায়, আওয়ামীলীগ আমলে শামীম ওসমান ও আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণে রাখতো জাহাঙ্গীর। অথচ, বর্তমানে নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে আবারও আমাদের তথা ব্যবসায়ীদের উপর স্টিম রোলার চালাচ্ছে সে। জাহাঙ্গীর কখনো নিজেকে বহিস্কৃতি বিএনপি নেতা এড. তৈমুর আলম খন্দকারের লোক হিসেবে পরিচয় দেয়, কখনো জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের লোক বলে পরিচয় দেয়, কখনো আবার বিকেএমইএ এর নব-নির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের নাম বিক্রি করে বলে, হাতেম সাহেব আমাকে বলেছে এই ঝুট নিতে। তবে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী শাসনামলে ঝুট সেক্টর দখলে নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে জাহাঙ্গীর। আওয়ামীলীগ ক্ষমতাচ্যুত হলেও টাকার জোরে এখনো ঝুট সেক্টর দখলে রাখতে মরিয়া এই ঝুট সন্ত্রাসী। আওয়ামীলীগের পতনের পর গত ২৯ আগস্ট জাহাঙ্গীর ওরফে বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীর ও সিরাজের নেতৃত্বে দুই শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে বিসিকের মধ্যে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। রাসেলের লোকজন তখন বাধা দিতে গেলে তাদের উপর হামলা চালায় জাহাঙ্গীর বাহিনী। এ সময় সন্ত্রাসী বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীর ও সিরাজের নেতৃত্বে রাসেলের ৪টি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। রাসেলের দুই কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সমর্থক নেতাকর্মীরা জানান, জাহাঙ্গীর কোনো কালেই গিয়াস ভাইয়ের বা বিএনপির লোক ছিলো না। বিগত আওয়ামী শাসনামলে শামীম ওসমান ও আজমেরী ওসমানের নির্দেশে কাইল্লা রকমতের নেতৃত্বে ঝুট সেক্টর তার নিয়ন্ত্রনে রাখতো এই সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর। বর্তমানে ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা বনে যেতে চায় সে। দলীয় নেতাকর্মীরা যা কোনোভাবেই হতে দিবো না। আওয়ামীলীগের কোনো দালালদের আমরা বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করতে দিবো না। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, কেউ যদি আমার নামে কোথাও কোনো গার্মেন্টসের ঝুট নিতে চায় বা কোনো ধরনের অপকর্ম করতে যায়, তাকে দড়ি দিয়ে বেধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন। সে যেই হোক না কেন, তাকে আপনারা সাধারণ জনগন ও দলীয় নেতাকর্মীরা কোনো ছাড় দিবেন না। কেননা, আমি এমপি থাকা অবস্থায়ও কোনোদিন ঝুট সেক্টরসহ অবৈধ কোনো উপার্যনের দিকে হাত বাড়াইনি, ভবিষ্যতেও বাড়াবো না। তাছাড়া, দলের হাই কমান্ডের নির্দেশ আছে, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা দখল-চাঁদাবাজি করবে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয়রা জানায়, বরিশাইল্যা জাহাঙ্গীর, ররি ও সিরাজের মতো কিছু ঝুট সন্ত্রাসী নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য এখানকার গার্মেন্ট সেক্টরকে অস্থির করার পাঁয়তারা করছে। এ বিষয়ে বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কল রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯