আজ বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১ | ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ | সকাল ৭:৪৪

বিএনপির কঠোর হওয়ার এখনই সময়

ডান্ডিবার্তা | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

হাবিবুর রহমান বাদল
বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে দেশের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ তথা আপামর জনতা অংশ নেয়। ৩৬ দিনের গণআন্দোলনে রংপুরে মেধাবী ছাত্র আবু সাঈদসহ বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার পর জুলাই ৩৬ দিনের আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সতস্ফুর্ত অংশ গ্রহনে ৫ আগষ্ট জুলাই বিপ্লবে আওয়ামলিীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপনে ভারতে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। ছাত্র-জনতার এই অভূতপূর্ন বিপ্লবের পর একটি অন্তর্বতিকালীন সরকার গঠিত হয়। ৫ আগষ্ট গণআন্দোলনের পর প্রশাসন থেকে শুরু করে পতিত সরকারের সবগুলি শাখা অন্তর্বতিকালীন সরকারকে অনেকটাই অসহযোগিতা শুরু করে। এরই মধ্যে অন্তবর্তিকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ৩ দফায় বড় ধরনের পদক্ষেপ নেয় ষড়যন্ত্রকারীরা। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই ভেঙ্গে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় লুটপাট আর অগ্নিসংযেগের সুযোগে দেশে থাকা পতিত সরকারের অনুগামি ও দোসররা অন্তর্বতিকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে প্রথমে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কাল্পনিক আওয়াজ তুলে। সরকার স্পষ্ট বলে দেয়, বাংলাদেশে ধর্মীয় ভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর কোন নির্যাতন হয়নি। কয়েক জায়গায় যা হয়েছে তা সম্পূর্নই রাজনৈতিক। এ বিষয়ে বিদেশী গণমাধ্যমগুলি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করলে ষড়যন্ত্রবকারীরা কিছুটা শান্ত হয়। এরপর বিচার বিভাগীয় এবং আনসারদের পোষাকে আলাদা দুটি পরিকল্পনা ছাত্ররা ব্যর্থ করে দেয়। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের ৪০ দিন পার হলেও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। আবারো রাজধানীতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের জিকির উঠেছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলের সাথে কোন ভাবেই জড়িত নয় এমন সাধারণ মানুষ দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বর্তমান অন্তর্বতিকালীন সরকারকে নিশর্তভাবে সমর্থন যোগিয়ে আসলেও জুলাই বিপ্লবকে সমর্থনকারী রাজনৈতিক দলটির কিছু নেতাকর্মী অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে জেলা এমনকি মহানগর পর্যায়ের নেতারা হাট, মাঠ, ঘাট দখলের প্রতিযোগিতা থেকে নেতাকর্মীদের দুরত্ব বজায় রাখার আদেশ নির্দেশ দেয়া সত্বেও কোন অবস্থাতেই এই সকল রাজনৈতিক পরিচয়ধারীরা থামছে না। আর একারণে অন্তর্বতিকালীন সরকারকে যেমন বিব্রত অবস্থায় চলতে হচ্ছে তেমনই বিএনপির রাজনৈতিক ইমেজও সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে। বিএনপির স্বনামে বেনামের কতিপয় নেতা আওয়ামী স্টাইলে চাঁদাবাজি, দখলবাজি শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের ভাষায় যাকে বলছে, সময়ের কারণে সবকিছু হাত বদল হয়েছে মাত্র। পরিস্থিতির তেমনটা উন্নতি হয়নি। এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে হলে বিএনপির নেতৃত্বকেই অগ্রনী ভ’মিকা পালন করতে হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের ক্লিন ইমেজ প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রাম পর্যায়ে তৎপর হতে হবে। মনে রাখতে হবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সিংহভাগ সদস্যই আওয়ামী সরকারের সময় সুবিধা ভোগ করেছে। দেশের কোটি কোটি টাকা লোপাটকারীরা দেশেই অবস্থান করছে। তাদের সহচর কিংবা অনুচররা বসে নেই। ইতিমধ্যেই আওয়ামীলীগের পক্ষে সামাজিক যোগামোগ মাধ্যমগুলিতে স্বনামে বেনামে নেতা কর্মীদের উজ্জীবীত করতে কাজ করে চলেছে। এ অবস্থায় অন্তর্বতিকালীন সরকারকে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য যেমন সময় দিতে হবে তেমনই তাদেরকে সর্বাত্তক সহায়তা করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের রুখতে না পরলে সাধারণ মানুষ ভিন্ন চিন্তা করলে তাদের দোষ দেয়া যাবে না। কারণ জুলাই বিপ্লবে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা মন্ত্রী এমপি হওয়ার জন্য স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামেনি। তারা শোসনমুক্ত শান্তিপূর্ন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে রাজপথে নেমে ছিল। বিএনপিসহ সমমনা সকল রাজনৈতিক দলগুলির অবদান খাট করে দেখার সুযোগ নেই। বিগত ১৫ বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা মামলার পাশাপাশি আন্দোলনে জীবন দিয়েছে। গুমের শিকার হয়েছে অনেক নেতা। তাই সাধারণ মানুষকে আওয়ামীলীগ ও তাদের দোসরদের মত কেই যাতে এইকই কায়দায় শোসন নির্যাতন না করে সেদিকে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলিকে রাজধানী থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দখলবাজি আর চাঁদাবাজি তথা বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িতরা অনেকটাই এখন প্রকাশ্যে বিকেএমইএ থেকে চেম্বার অব কমার্স প্রকাশেই বলেছে, ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। সব সেক্টরেই কেমন যেন অরাজকতা। পতিত সরকারের ৪০ দিন পার হলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো তেমনটা তৎপর নয়। এ অবস্থা চলতে থকেলে জনগণের টেক্সে চলা প্রত্যকটা সরকারই কর্মচারীকে এক সময়ে জবাব দিহির মধ্যে আসতে হবে। এক্ষেত্রে অন্তর্বতিকালীন সরকার আরো কঠোর ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিবেন এমনটইি প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:২৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৮:০৬
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩২
  • ১১:৫৭
  • ১৬:১৯
  • ১৮:০৬
  • ১৯:২০
  • ৫:৪৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024