ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসায় আন্দোলন কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে বিএনপি। তৃণমূল পর্যায়ে দল গুছানোর কাজ শেষ করে মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড ওর্যায়ের কমিটিও পুনর্গঠন করতে চায় দলটি। এ জন্য ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে দলের সিনিয়র নেতারা। সূত্র মতে, এ বছর শেষের দিকে রাজপথে আন্দোলন জোরদার করার পরিকল্পনা ছিল বিএনপির। সেভাবেই দলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দীর্ঘদিন রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় থাকা বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে। এ আন্দোলনের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পেয়ে তারা এখন রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। এমনকি, সাধারন মানুষের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র জানায়, বিএনপির সামনে এখন প্রধান লক্ষ্য দল গুছিয়ে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা। এ জন্য যা যা করণীয় তাই এখন দলের নেতাকর্মীরা করবে। দীর্ঘদিন আন্দোলন করে ক্লান্ত নেতাকর্মীদের মনোবল এখন চাঙ্গা। তাই দলের যে কোনো কর্মসূচিতে এখন তাদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে দল গোছানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী চায় উপজেলা ও ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ন কমিটিগুলোর পূর্ণ সংষ্কার করা। জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর স্বেরাচার সরকারের নিয়ন্ত্রনে দেশ পরিচালিত হয়ে আসছিল। গনতন্ত্র হরনের মাধ্যমে সাধারন মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। এবার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বেরাচারী এ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে জুলুমের অবসান ঘটেছে। তাই আমরা গনতন্ত্র ফিরিয়ে এনে জনগনের ভোটাধিকারের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছি। জনগন যাকে দায়িত্ব দিবেন তারাই দেশ পরিচালনা করবেন। এজন্য নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোঁকন বলেন, আমাদের মনোবল শক্তই আছে। দেশের মানুষ আমাদের পক্ষে আছে, জনগণ এই সরকারকে ভোট দেয়নি। আমি মনে করি আমরা ব্যর্থ হইনি। সবাই যার যার জায়গা থেকে দল গোছাচ্ছে। আর শুধু ক্ষমতায় যাওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। আমরা আছি মানুষের ভালোবাসার দল হিসেবে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, কষ্টের তো শেষ নেই। আমাদের শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অসংখ্য নেতা-কর্মীর নামে শত শত মামলা দেওয়া হয়েছে। কারও কারও নামে ৩০-৪০ মামলার খড়্গ। এসব মামলায় জামিন পেলেও মাসজুড়ে হাজিরা দিতে হচ্ছে। আমাদের মহাসচিব বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে বলেছেন, দলের অনেক নেতা-কর্মী নিরুপায় হয়ে রিকশা চালান। এতকিছুর পরও কেন্দ্র থেকে তৃণমূল, কোথাও দল ত্যাগ করার তেমন প্রবণতা দেখা যায়নি। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯