হাবিবুর রহমান বাদল:
সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও এডিটর গিল্ড নামের একটি সংগঠন করে নিজেই তার সভাপতি হয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে নিয়মিত আওয়ামীলীগ বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও সুশিল সমাজের তৎকালে যারা একটু উচ্চ কন্ঠ ছিল তাদের নাকানি চুবানি খাওয়াতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন এই মোজাম্মেল বাবু। শ্যামল দত্ত মাঠ পর্যায়ে কাজ করলেও সাংবাদিকতার চাইতে তোষামোদি ও দলবাজি করে রাতারাতি বিত্তবান আর প্রভাবশালী সাংবাদিকে পরিনত হন। এক পর্যায়ে পতিত সরকারের পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পদটিও ভাগিয়ে নেন। সাংবাদিকতার চাইতে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার জন্য অনৈতিক ভাবে নিজে বিভিন্ন কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকলেও বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোতে অন্যদের হেদায়েতের জ্ঞান দিতেন। তার কাছে আওয়ামীলীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য এসেছে তাই তারা যা করবে তাই হালাল। একদাপ উচুতে ছিলেন মোজাম্মেল বাবু। সরকারের গুনগান শেখ হাসিনার তোষামোদি আর দলবাজিতে ব্যস্ত এই মোজাম্মেল হক বাবু একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সিইও হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন টেন্ডারবাজির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা অবৈধ ভাবে অর্জন করে গোপনে ভারতে পালনের সময় গত রবিবার রাতে ময়মনসিংহ সীমান্তে স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়ে। মোজাম্মেল বাবু নিজের স্ত্রীকে সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন ২ বার। নীতি নৈতিকতা বির্বজিত মোজাম্মেল বাবু তার নিয়ন্ত্রীত টেলিভিশনে শেখ হাসিনার অন্যান্য তোষামোদকারীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দাওয়াত দিয়ে এনে হেনন্তা করতেন। শেখ হাসিনার তোষামোদকারী অর্ধশতাধিক সাংবাদিক নামধারীরা নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রস্ট ব্যাংকের পরিচালক বড় বড় টেন্ডারের নিয়ন্ত্রণকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন এই দুই সাংবাদিক। অপকর্ম আর তোষামোদির পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে এরা সব সময়ই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছেন। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ধরনের অযুক্তিক কথা বলে উস্কে দিয়েছেন। এরা কতটা অপরাধী হলে রাতের অন্দকারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এখনো প্রায় সকল তোষামোদকারীই স্বইচ্ছায় গৃহবন্ধী জীবন কাটাচ্ছে। সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে যারা অর্থবিত্তের পথ হিসাবে বেছে নিয়েছিল তারা ভুলে গিয়েছিল, প্রায় সকল সময়ই আল্লাহ তার বান্ধাকে দিয়ে পরীক্ষা করেন। অন্যায় অবৈধ ভাবে উপার্যন করলে আল্লাহ সেই অর্থবিত্ত আবার কেড়েও নেন। এদেরসহ সেইসব দলবাজ চাটুকার সাংবাদিকদের অবস্থা এই রকম। নতুন প্রজন্ম এদের কাছ থেকে কি শিখবে তা বলার মত ভাষা নেই। গত দুইদিন ধরে দেশব্যাপী মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তের পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতারের ঘটনা সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। হোটেল রেস্তোরা আর চায়ের আড্ডায় এইসব তোষামোদি সাংবাদিকদের নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। সামনে হয়তো আরো অনেককে নিয়েই এই ধরনের আলোচনা চলবে। বিত্তবান হওয়ার জন্য আরো অনেক পথই খোলা আছে। সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে ব্যবহার করে চাটুকারিতা আর অন্যায় ভাবে সাধারণ মানুষকে হেয় করার মধ্যে কোন বাহবা নেই। আমরা ভুলে যাই আল্লাহ ছাড় দেন- ছেড়ে দেন না।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের পতনের ৪০ দিন পার হলো। এ লেখা যখন লিখছি, তখন আওয়ামী শাসনের ৪০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে প্রথমে আন্দোলনে নামলেও পরবর্তিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অবসান দাবি করে আন্দোলন বেগবান করে। এই আন্দোলনে এক সময় ছাত্রদের সাথে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ঘুষ. দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে মুখ খুলতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠনের পরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারা আর নামের বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ […]
হাবিবুর রহমান বাদল: সাংবাদিকতার নামে দলবাজি করলে শেষ পরিনতি কি হয় মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মোজাম্মেল হক বাবুকে নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে কিংবা ডেক্সে সাংবাদিকতা করার অভিজ্ঞতা তার না থাকলেও একজন মেধাবী মানুষ হিসাবে তাকে বলা চলে। মোজাম্মেল বাবু কবে কোথায় সাংবাদিকতা করেছেন তা জানা না থাকলেও […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯