বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে আইয়ুব আলী ও মাহবুব বাহিনীর পরিবহন সেক্টর দখল করে চাদাঁবাজি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন স্থানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল, চাঁদাবাজি এবং আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের যোগসাজশের কারণে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ৪ নং ওয়ার্ডের শিমরাইল এলাকার বিএনপির নেতা আইয়ুব আলী মুন্সী. আটি এলাকার মাহবুব হোসেন ও কামরুল ইসলাম সেন্টুর বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের ফিরিস্তি জানিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানালেও কোনো প্রতিকার পাননি সেখানকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। অত্র এলাকার ব্যাবসায়ী সাধারন মানুষ ও পরিবহন মালিক শ্রমিকরা চাদাঁবাজি বন্ধে জরুরী সেনা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আইয়ুব আলী মুন্সী ও মাহবুবের রোষানলে পড়েছে বৃহৎ রপ্তানিমুখী পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসহ শিমরাইল এলাকায় চলাচলরত বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা। প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলেন, আমরা ব্যবসায়ী। আমাদের পরিবার কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী মুন্সী, মাহবুব ও সেন্টু ও তাদের বাহিনী প্রতিটি গার্মেন্টস ও পরিবহন থেকে থেকে চাঁদা চেয়েছেন। তাদের চাদাঁ না দিলে ব্যাবসা করতে দিবে না বলে আমাদের অব্যাহত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে শিরাইল মোড়ে চলাচলরত মনজিল এক্সপ্রেস, লেগুনা সার্ভিসসহ বিভিন্ন পরিবহন সেক্টর দখলে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব পরিবহনের মালিকদের আইয়ুব আলী মুন্সীর অফিসে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে বলে গাড়ি চালাতে হলে তাদের দাবিকুত চাদাঁ দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। না হলে কোন গাড়ি এই রোডে চলবেনা। তাদের অব্যাহত হুমকি ও পরিবহন সেক্টর দখলের কারনে আতংকিত হয়ে পড়েছে শিমরাইল এলাকায় চলাচলরত পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা। অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিনের নাম ভাঙ্গিয়ে নাসিক ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী মুন্সী, মাহবুব ও সেন্টু তাদের বাহিনী নিয়ে আটি হাউজিং, ভুমিপল্লীসহ ৪নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরে চাদাঁবাজি করে গত ৫ আগষ্টের পর থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যার কারনে অত্র এলাকায় সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বিএনপি’র। এলাকাবাসী জানায়, আইয়ুব আলী মুন্সী, মাহবুব ও সেন্টু জেলা বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে অত্র এলাকার সাধারন মানুষ আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিবে। সুত্রে জানাযায়, সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আলোচিত সাতখুন মামলার ফাসিঁর আসামী নুর হোসেনের ভাই কাউন্সিলর নুরুদ্দিন পরিবারের লোকজনকে কৌশলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এলাকায় এনে তাদের সহযোগীতা করছে। হোসেন পরিবারের সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে আইয়ুব আলী মুন্সী, মাহবুব ও সেন্টু বাহিনী। এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আলোচিত সাতখুন মামলার ফাসিঁর আসামী নুর হোসেনের ভাই কাউন্সিলর নুরুদ্দিন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এলাকার বাহিরে অবস্থান নিলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি নিজ বাড়িতে আসেন। পরে আইয়ুব আলী মুন্সী ও মাহবুব বাহিনী তার দূর্বলতার সুযোগে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তিতে তারা কয়েকটি হত্যা মামলার আসামী করলে আবার পালিয়ে যায় সাবেক কাউন্সিলর নুরুদ্দিন। এরই মধ্যে তাদের বেপোরয়া অপকর্মের কারনে অতিষ্ঠ হয়ে বিএনপির নামধারী এইসব নেতাদের বিরুদ্ধে খুব শীগ্রই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করবে এলাকাবাসী। বিএনপির নেতা আইয়ুব আলী মুন্সী ও মাহবুবের আগ্রাসী লুটপাটের বিরুদ্ধে রুখে এলাকাবাসী। এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কাছে কিছু চাদাঁবাজদরে তালিকা এসেছে আমরা সেগুলো যাচাই করে খুব শীগ্রই ব্যাবস্থা নিবো। তিনি বলেন, যারা বর্তমানে চাদাাঁবাজি, দখল বাণিজ্যের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করবো। এসব অপকর্মকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।