ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আওয়ামী লীগের সিনিয়র আইনজীবীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। এই সুযোগে সিনিয়র আইনজীবীদের চেয়ার ও টেবিল দখল নিয়েও বিএনপি ও জামাতপন্থী আইনজীবীদের মাঝে রীমিতমত কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছে। তারা এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন, যেনো নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া থেকে আওয়ামী লীগ পন্থী সিনিয়র আইনজীবীরা চিরতরে আত্মগোপনে চলে গেছেন। এখন সিনিয়র আইনজীবীদের চেয়ার টেবিল দখলে নিচ্ছেন দেড় দুই বছরের জুনিয়র আইনজীবীরা। যে কারণে ক্ষুব্ধ সিনিয়র আইবজীবীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, সিনিয়র জুনিয়র মানা হচ্ছে না বার লাইব্রেরীতে। পরিস্থিতির কারণে আমরাও তাদের কিছু বলতে পারছি না। বলা চলে অনেকটা অসহায়ের মত আমরা আদালতপাড়ায় দায়িত্ব পালন করে চলেছি। গত বছর আইনজীবী হওয়া জুনিয়ররাও আওয়ামী লীগের সিনিয়র আইনজীবীদের চেয়ার টেবিল দখলে মত্ত হয়ে ওঠেছেন। এসব কর্মকান্ডে বিএনপি ও জামাতপন্থী বেশকজন আইনজীবী উস্কে দিয়ে মনিটর করছেন। তাদের মধ্যে যেনো অতীতের আওয়ামী লীগকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। যেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা যদি আওয়ামী লীগের মতই করি তাহলে আমাদের পরিনতও আওয়ামী লীগের মতই হবে। মির্জা ফখরুলের এমন হুশিয়ারীকেও আমলেই নিচ্ছেন না তারা। আদালতপাড়া সূত্রে, সদর-বন্দর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের অনুদানে নির্মিত নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্মিতব্য ৮তলা বিশিষ্ট ভবনটি, যার ৪র্থ তলা পর্যন্ত প্রায় নির্মাণ সম্পন্ন। গত জানুয়ারীর নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আওয়ামী লীগের পূর্ণ প্যানেল সমিতিতে নির্বাচিত হয়। ওই নির্বাচনে মোহসীন মিয়া সভাপতি ও রবিউল আমিন রনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হোন। তারা এখন আত্মগোপনে, কোর্টেও আসছেন না। তাদের আমলে সমিতির ভবনের তৃতীয় তলায় আইনজীবীদের জন্য চেয়ার ও টেবিল তৈরি করা হয়। কিন্তু আইনজীবীদের বসানোর ব্যবস্থা করা হয়নি, কিছু কাজ অসম্পন্ন থাকায়। এর আগেই সমিতির নিচ তলা ও দ্বিতীয় তলায় আইনজীবীদের বসানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে দলমত নির্বিশেষে সকল আইনজীবীরা বসতেন। বিএনপির সিংহভাগ আইনজীবীরা সমিতির নিচ তলা ও দ্বিতীয় তলায় চেয়ার টেবিল দখল করে বসতেন আওয়ামী লীগের আমলেই। জুয়েল মোহসীন থাকাকালীন সময়ে বিএনপির আইনজীবীদেরও বসানোর সুব্যবস্থা করে গেছেন। বিএনপির অনেক আইনজীবীদের বাহিরে চেম্বার থাকার পরেও সমিতির চেয়ার টেবিল ব্যবহার করেছেন দখলদার হিসেবে। যে জুয়েল ও মোহসীন মিয়া আইনজীবী সমিতির ভবন নির্মাণে ভূমিকা রেখেছেন সেই জুয়েল ও মোহসীন মিয়ার বসা চেয়ার টেবিলও দখলে নিয়েছেন বিএনপি জামাতপন্থী জুনিয়র আইনজীবীরা। ঠিকমত মনিটরও করছেন না সমিতির বর্তমান সভাপতি সরকার হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সমিতির দ্বিতীয় তলার সকল চেয়ার টেবিল উলোট পালট করে নিজেদের দখলে নিয়েছেন বিএনপি ও জামাত পন্থী আইনজীবীরা। এই কাজে জুনিয়র আইনজীবীদের সহযোগীতা করছেন অ্যাডভেকেট মাইনুদ্দীন আহমেদ, অ্যাডভেকেট টুটুল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দীন আহমেদ, অ্যাডভোকেট শিপলু মল্লিক, অ্যাডভোকেট আনজুম আহমেদ রিফাত, অ্যাডভোকেট আদনান মোল্লা, অ্যাডভোকেট রাসেল প্রধান। ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সমিতির ৩য় তলার সকল টেবিল চেয়ার বিএনপি ও জামাতপন্থী আইনজীবীরা নিজ নিজ ক্ষমতাবলে দখলে নিয়েছেন। উপরোল্লেখিত আইনজীবীদের বিলি বণ্টনের মাধ্যমে এসব চেয়ার ও টেবিল তাদের অনুগামীদের বসানোর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। একই দশা হয়েছে নিচ তলাতেও। সেখানেও যেসব আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা কোর্টে আপাতত আসছেন না, সেইসব আইনজীবীদের চেয়ার টেবিলে বিএনপি জামাতের জুনিয়র আইনজীবীরা বসছেন। প্রতিটা টেবিলে নিজেদের নেমপ্লেট বসিয়ে দখলে নিয়েছেন। গত ৬ আগস্ট আইনজীবী সমিতির ভবনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান ডিজিটাল বার ভবন’ নামফলকটি ভেঙ্গে দেয় বিএনপি জামাতের আইনজীবীরা। ১৩ আগস্ট সমিতির তলবী সভায় নাম পরিবর্তন করে আইনজীবী সমিতির ভবন নাম রাখা হয়। সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় বিএনপি জামাতের সকল আইনজীবী নির্বাচিত হয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর সমিতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে হরিলুট। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি ও সমালোচনা শুরু হলেও কেউ কিছু বলছেন না। তবে বিষয়টি অনেক সিনিয়র আইনজীবীরাও ভালো চোখে দেখছেন না। এসব কর্মকা-ে সিনিয়র আইনজীবীদের প্রতি জুনিয়র আইনজীবীদের সম্মান প্রদশর্নের প্রথাটা কমে যাবে।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯