ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
এক সময়ের আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দুরবস্থা বিরাজ করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে তোপের মুখে পড়ে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পরই দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এমপি থেকে শুরু করে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা গা ডাকা দেন। এর মধ্যে অনেক নেতৃবৃন্দ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও যারা দেশ ছাড়তে পারেননি তাদের অনেকেই ছাত্র জনতার রোষানাল থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে চলে গেছেন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সেলিনা হায়াত আইভী নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের হাল ধরার চেষ্টা করলেও সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাধারন ছাত্র ও জনতা নিহতের ঘটনায় একাধিক মামলার আসামি হয়ে তিনিও ফেরারী জীবন পার করছেন। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। এঅবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, দলের এ দুঃসময়ে কে ধরবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের হাল। সূত্রমতে, ছাত্র জনতা আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা সবাই গাঢাকা দিয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জেলা কিংবা মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কোনো নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে না। দুঃসময়ে দলের নেতাদের পাশে না পেয়ে ক্ষুব্ধ মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা। আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলেন, টানা ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। অথচ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার প্রভাবশালী নেতারা সবাই গাঢাকা দিয়েছেন। এতে দলের দুরবস্থার চিত্র প্রকট হয়ে উঠেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জান-মালের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতেও নারায়ণগঞ্জের নেতাদের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না সাধারণ নেতাকর্মীরা। সাধারন নেতাকর্মীরা সিনিয়র নেতাদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, দলের কঠিন পরিস্থিতিতে সামনে এগিয়ে এসে নেতাকর্মীদের সাহস জোগানোর মতো একজন নেতাও কি নেই? গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতারা সবাই আত্মগোপনে রয়েছেন। ক্ষমতায় থাকার সময় দলীয় কর্মসূচী পালনকালে নেতাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা লেগে থাকত, আর এখন দলের পক্ষে কথা বলার একজন নেতাও নেই। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, দলের সিনিয়র নেতারা তেমন কেউ দেশ ছেড়ে যেতে পারেননি। সবাই এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন। প্রভাবশালী নেতারা মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁদের কয়েকজন এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন। এতে তাঁরা ভয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলছেন না, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন না. আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আওয়ামী লীগের জেলার নেতারা কেউ প্রকাশ্যে আসেননি। জামায়াত, বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভয়ে তাঁরা মাঠে নামেননি। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে কোনো বিবৃতি বা ভিডিও বার্তা না দেওয়ায় নেতাদের সমালোচনা করেন সাধারন কর্মীরা। কর্মীরা বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী একটি দল। এই দলে এত এত নেতা, কেউ একটি বিবৃতি বা ভিডিও বার্তা দিতে পারলেন না। অথচ বিএনপি আত্মগোপনে থেকে প্রেস রিলিজ, ভিডিও বার্তা নিয়মিত দিতেন। জেলার প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে অনেকেই এখন মুখ খুলছেন। বিশেষ করে নেতাদের সমালোচনা করে ফেসবুকে অনেকে পোস্ট দিচ্ছেন। নেতাকর্মীরা তাঁদের সঙ্গে ঘটা নানা অন্যায়-অবিচারের কথাও প্রকাশ করছেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জেলার একাধিক নেতা বলেন, ‘নেতাকর্মীদের অভিযোগ তো আর মিথ্যা নয়। আমাদের তো দোষত্রুটি আছেই। তবে এখন এগুলো বলে নিজেদের মধ্যে বিভক্তির সময় নয়। আমরা আসলে প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় নিচ্ছি। অতীতেও জেল-জুলুম খেটেছি। এগুলোর জন্য ভয় পাই না। তবে মাঠে নামার আগে নিজেদের তো কিছুটা আলাপ করে নিতে হবে।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯