ডান্ডিবার্ত্ ারিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হতে পারে, এমন গুঞ্জন চলছে গত দুই সপ্তাহ ধরেই। তৃনমূল কর্মীরা বলেন উলট-পালট হবে মাহানগর বিএনপির কমিটি। কিন্তু কে আসবে নতুন নেতৃত্বে? বর্তমান দায়িত্বশীলদের রাখা হবে কোথায়? এমন নানান প্রশ্ন চলছে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে। তবে যাদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তাদের কারোই নেই গুড ইমেজ। প্রত্যেকের নামের পেছনেই রয়েছে হাজারো বিতর্ক। ফলে কেন্দ্রীয় নেতারা কিছুটা আস্থাহীন আলোচিতদের নিয়ে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব ব্যাপক বিতর্কিত হয়েছে গত ২ বছরে। বাণিজ্য থেকে শুরু করে আন্দোলনে নিষ্ক্রিয়তা, আন্দোলনের অর্থ লোপাট, বিভাজন, দুর্বল নেতৃত্ব, কর্মীদের হাতে মার খাওয়া, মামলা বাণিজ্য করা, দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করা, দলীয় কর্মীদের নামে মামলা দেয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ। বিতর্ক আর অভিযোগেও যখন কেন্দ্র ব্যবস্থা নিচ্ছিল না, তখন কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নেতাকে মারধর করেছেন রাস্তায় ফেলে। স্পষ্টভাবে সেদিনই এই কমিটির কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়ে মহানগর থেকে। এখন কেবল নতুন নেতৃত্ব আসার অপেক্ষা। কিন্তু কাকে দেয়া হবে দায়িত্ব? আলোচনায় আছে কালাম পরিবার, খন্দকার পরিবার, জাকির খানের অনুসারীরাসহ অনেকে। কিন্তু তাদের কেউই বিতর্কের বাইরে নন। সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন সাবেক এমপি ও সাবেক সভাপতি আবুল কালাম, তার ছেলে কাউন্সিলর এবং সাবেক ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা এবং দল থেকে বহিষ্কৃত মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল। কিন্তু গত ৭ বছরে আবুল কালামের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ছিল মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে। নিজ বাসা থেকে বের না হওয়া, অসুস্থতার অজুহাতে দল থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে প্রকট। ক্ষমতার পালাবদল হতেই কেন্দ্রীয় অফিসে আনাগোনা দেখা গেছে আবুল কালামের। অন্যদিকে আবুল কাউসার আশা এবং আতাউর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে রয়েছে সাবেক জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার অভিযোগ। এই সংক্রান্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে তাদের নিয়ে। মুকুলকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। সেই পরিবারের হাতে দায়িত্ব তুলে দিলে কর্মীরা কতটা মেনে নিবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। খন্দকার পরিবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির জন্য বেশ শক্তিশালী অবস্থানে ছিল ২০২২ সালের আগ পর্যন্ত। জেলা বিএনপির আহবায়কের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। তার ভাই কাউন্সিলর খোরশেদ পেয়ে যেতে পারতেন মহানগর বিএনপির শীর্ষ কোন দায়িত্ব। সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ার লোভ তাকে (তৈমূর) দল থেকে বহিষ্কৃত করেছে। আর ক্ষমতা লাভের জন্য তৃণমূল বিএনপি গঠনের লোভ চিরতরে বিএনপিতে ফেরার পথ রুদ্ধ করেছে এবং কপাল পুড়িয়েছে ছোট ভাইয়ের। এই বিতর্কের ফলে খোরশেদকে দায়িত্ব দেয়া হলে সহজে খন্দকার পরিবার বিরোধীরা চাপে রাখতে পারবেন তাকে। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের অনুসারীদের দাপট সর্বদাই ছিল আলোচনায়। বলা হয়, তাদের উপর ভর করেই মহানগর বিএনপির বর্তমান আহবায়ক নিজের শক্তিমত্তা দেখাতেন। কিন্তু কমিটি প্রণয়নকালে মাইনাস করেছেন জাকির খানের অনুসারীদের। এখন বেশ দাপটের সাথে পুরো শহরে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে জাকির খানের অনুসারীরা। শামীম ওসমানকে দৌড়ের উপর রাখা সেই জাকির খানের অনুসারীদের পদায়ন করা হতে পারে মহানগরে এমন গুঞ্জন চলমান। কিন্তু পরিবহন সেক্টর, ঘাট দখলসহ নানাবিধ দখলবাজি, চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। পদ পদবী ছাড়াই ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে দেয়া গ্রুপটিকে পদায়ন করলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। মহানগর বিএনপির সদস্য পর্যায়ের নেতারা বলছেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য নেতৃত্ব দেয়ার মত যাদের সক্ষমতা রয়েছে, তাদের প্রত্যেকেই বিতর্কে জড়িয়েছেন নানাভাবে। যার কারণে আস্থা পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় নেতারা। বার বার বলা হয় আমরা দায়িত্ব নিলে বিভাজন থাকবে না, কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার পরে তারাই বিভাজন তৈরি করে রাখে। এবার যেই কমিটি হয়েছে এমন বিশৃঙ্খলার কমিটি ইতোপূর্বে হয়নি। তাছাড়া সামনে যারা দায়িত্ব পাবে তারা দলের সুসময় ভোগ করবে। এমন পরিস্থিতিতে মহানগর বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে সেই ব্যক্তিদের খুঁজছে শীর্ষ নেতারা।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯