নতুন ষড়যন্ত্রে মেতেছে আ’লীগ!

নাসির উদ্দিন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী সহস্ত্রধিক ছাত্র-জনতা ও শিশু হত্যাকারী শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের অরক্ষিত ফেলে গোপনে ভারতে পালিয়ে যায়। ভারতে গিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিজয়কে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এমন অভিযোগ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের। শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে কত মায়ের বুক খালি করেছেন, কত বোনকে ভাই হারা ও বিধবা করেছেন তার কোন হিসাব নেই। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর আজো কোন হদিস মিলেনি। নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী যারা আওয়ামীলীগের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদের অনেকে গুম হয়েছে তাদেরও ১৫ বছরে খোঁজ মিলেনি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আয়না ঘরের খবর বেরিয়ে এলেও তার ক্ষমতার পতন হওয়ার পর একে একে আয়না ঘরের প্রমান বেরিয়ে আসতে শুরু করে। যা যে কোন মানুষের গায়ে কাটা দিয়ে উঠবে। শেখ হাসিনা একজন উগ্রমেজাজী নারী বলে তার দলের নিকট জনরা স্বীকার করছেন। শেখ হাসিনা সংবিধানের তোয়াক্কা করতেন না। নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিল। এমন তথ্য তার মন্ত্রী পরিষদের একাধিক সাবেক মন্ত্রী প্রশাসনের কাছে তথ্য দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে বসে নেই। শুরু করে ষড়যন্ত্র। ভারতের মিডিয়াকে দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করার জন্য হাতিয়ার হিসাবে বেছে নেয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়কে। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বতিকালীন সরকার বারবার বলেছেন বাংলাদেশর নাগরিক যে ধর্মেরই হউক তারা সংখ্যালঘু নয়। তারা বাংলাদেশর নাগরিক। বাংলাদেশে সকলের অধিকার সমান। শেখ হাসিনা ভারতকে দিয়ে বলানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশের সংখালঘূ হিন্দুরা নিরাপদে নেই। তাদের বাড়ি ও মন্দির ভাংচুর হচ্ছে। আর যেসকল ছবি বা ভিডিও দেখানো হয় তা শেখ হাসিনা ক্ষতায় থাকাবস্থায় বিভিন্ন সময় বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া পুরাতন ছবি ও ভিডিও। যা প্রমান হওয়ার পর সে ষড়যন্ত্র টিকাতে পারেনি। শেখ হাসিনার পর আওয়ামীলীগের অনেকে ভারতে পালিয়ে গেছে। তারাও শেখ হাসিনার সুরে সুর মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সম্প্রতি শেখ হাসিনা নতুন একটি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তা হলো ভারতে মহানবী (স.)কে কটুক্তি করানো। যাতে এর প্রভাব ভাংলাদেশে পড়ে। যাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হিন্দুদের মন্দিরে আঘাত করে। এমনকি সামনে দুর্গা পূজা এ পূজায়ও যাতে আঘাত করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারনা করছেন, দুর্গা পূজার সময় আওয়ামীলীগের একটি অংশ বোলপাল্টিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলে অনুপ্রবেশ শুরু করেছে। তারা শেখ হাসিনার দেয়া এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। আওয়ামীলীগের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা শেখ হাসিনার এজেন্ট তারা নিজেরা প্রতীমা ভেঙ্গে বর্তমান সরকার বা বিএনপির উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে। নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্নভাবে প্রতীমা নির্মানের কাজ চলছে। আর বিএনপি জামায়াত এদিকে সজাগ রয়েছে যাতে কেহ শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন না করতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকের অভিমত হলো শুরু শহর কেন্দ্রীক নজর দিলে চলবে না। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নজর রাখতে হাবে। সেখান থেকেও তাদের এজন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর পর পাহাড়ের আধিবাসীদের দিয়ে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। কয়েক দিন অস্থির করে তুলে পাহাড়ের জনপদ। সেনাবাহিনী যখন সেই ষড়যন্ত্র দমন করতে সফল হয়েছে এখন ষড়যন্ত্র করার নজর দুর্গা পূজায়। তাই সকলকে সজাগ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা বা প্রতিহত করতে হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত।