আজ শুক্রবার | ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬ | সন্ধ্যা ৭:৩৩

এখনও আজমেরী ওসমানের নামে চাঁদা উঠে

ডান্ডিবার্তা | ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসে সাধারন মানুষের জমি রেজিষ্ট্র্রি করতে গেলে সরকারী ফি ছাড়াও অতিরিক্তি ফি আদায় করা হতো নারায়ণগঞ্জ জেলা দলিল লিখক সমিতির পক্ষে। বিগত সরকারের আমলে চলমান থাকলেও এখনও রয়েছে অব্যাহত। আর এখান থেকে অতিরিক্তহারে নেয়া টাকাগুলো সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান,তার ছেলে অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরী ওসমান এবং শাহনিজাম সহ অনেক রাঘব-বোয়ালের মাঝে বন্টন করতেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কলিমউল্লাহ ও সুজন প্রধান। নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের আশপাশে থাকা নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠানটিকে একটি দূর্নীতির অন্যতম প্রতিষ্ঠানে রুপ দিয়েছিলেন কলিমুল্লাহ ও সুজন প্রধানগং। বিগত সময়ে তার ছিলেন আওয়ামীলীগের একটি হাতিয়ার হিসেবে। তারা তাদের মত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রিশন কমপ্লেক্সটি তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পরিচালনা করছেন। প্রয়াত সাবেক সাংসদ নাসিম ওসমানের একমাত্র ছেলে নারায়ণগঞ্জে অপরাধীদের আইকন হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত আজমেরী ওসমানের বলিষ্ট নেতৃত্বে কলিমুল্লাহ এবং সুজন প্রধান ছিলো জেলা রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্স এর নিয়ন্ত্রক এবং রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্স এর গড ফাদার। এ দুইজনের নির্দেশে যাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতেন তারা হলেন সফর আলী ভূইয়া স্বপন,তপু,ইসহাক,গোলাম সারওয়ার শুভ,কাজী সবুজগং বাহিনী। নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রিশন কমপ্লেক্সে জমির রেজিস্ট্রি করতে ভুক্তভোগী অনেকেই বলেন,আমরা অত্র প্রতিষ্ঠানে রফিকুল ইসলাম ও কলিমুল্লাহগং এর কাছে জিম্মি। সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ফি দিতে বাধ্য হয়েছি। তারা তাদের সংগঠনের জন্য নিয়ম বর্হিভুতভাবে হাতিয়ে নিতো লক্ষ লক্ষ টাকা। যা সরকারী কোন কোষাগারে জমা হতোনা। জমা হতো তাদের ব্যক্তিগত কোষাগারে। আর এ টাকাগুলোর বেশীরভাগই দেয়া হতো আজমেরী ওসমানকে। তারা বলেন,গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলে তার সাথে আজমেরী ওসমানসহ তাদের ক্যাডাররাও আত্মগোপনে চলে গেছেন। আজমেরী ওসমান গা ঢাকা দিলেও এখনও প্রকাশ্যে রয়েছেন কলিমুল্লাহ ও সুজন প্রধানগং। তারা এখনও পর্যন্ত জমি রেজিষ্ট্রি করতে সাধারন মানুষের কাছ থেকে পুর্বেও ন্যায় বর্তমানেও টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।এবং রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্স ভবনে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অব্যাহত রয়েছে। তাদের দাবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর সাধারন মানুষের মাঝে অনেকটা স্বস্তি ফিরলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রিশন কমপ্লেক্সে এ জমি রেজিষ্ট্রি করতে আসা মানুষগুলোর মাঝে কোন প্রকার স্বস্তি ফিরেনি। কারন এখন এখানে বহাল তবিয়তে রয়েছেন দূর্নীতিবাজ খ্যাত কলিমুল্লাহ ও সুজন প্রধানগং। আমরা সাধারন মানুষ চাই একটু দূর্নীতিমুক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রিশন কমপ্লেক্স। আর এ দূর্নীতিমুক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রিশন কমপ্লেক্স গড়তে কলিমুল্লাহ ও সুজন প্রধানগংদের মত অপরাধীদের এখান থেকে দ্রুত অপসারন চাই। কলিমউল্লাহর সাথে এখনো আজমেরী ওসমান এর সাথে যোগসাজশে আছে বলে জানা যায় একাধিক সুত্রে। বিগত কয়েক বছরে দলিল লিখক সমিতির প্রায় ৬০ লক্ষ্য টাকার হিসেব এখনো পাননি সমিতির অন্যান্য সদস্যরা এমনটাই জানান সমিতির সাধারণ সদস্যরা। জেলা দলিল লিখক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে সমিতির টাকা হাতিয়ে নিতেন কলিমউল্লা। এ ক্ষেত্রে কলিমউল্লাহ নামেরও অপব্যবহার করেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রিশন কমপ্লেক্সটিতে হয়রানী ও দূর্নীতিমুক্ত গড়তে কলিমুল্লাহ ও সুজন প্রধানগংদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন দলিল রেজিষ্ট্রি করতে আসা সর্বশ্রেনীর সাধারন মানুষ। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের অপরাধ জগতের ডন খ্যাত আজমেরী ওসমানের অন্যতম সহোযোগি হাজীগঞ্জ এলাকার রফিকুল ইসলাম শিপলু কিছুদিন আতœগোপনে থাকার পর আবারো এলাকায় ফিরে এসে অতিত অপকর্মে সক্রিয় হওয়ার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় সর্ব মহলে আবারো নতুন করে আতংক ছড়িয়ে পরেছে। রফিকুল ইসলাম শিপলি হাজীগঞ্জের ফিরোজ গাজীর পুত্র। জানা যায়, বিগত আওয়ামী সরকারের শাসনামলে রফিকিল ওসলাম শিপলু আজমেরী ওসমানের সহোযোগি হিসেবে হাজীগঞ্জ সহ আশপাশ এলাকাজুড়ে গড়ে তুলেছিলো অপরাধের সম্রাজ্য। চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা সহ নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে ব্যাল্ক মেইলিংয়ের মতো অপরাধের সাথে সে সরাসরি জড়িত ছিলো। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে নারী দিয়ে ফাঁদে ফেলে শিপলুর নির্দেশ মতো ফ্ল্যাট বাড়ীতে ঐ ব্যবসায়ীকে নিয়ে আসা হতো। তারপর ব্যবসায়ীকে শিপলুর টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে টর্চার করে আদায় করা হতো মোটা অংকের টাকা। বেশ কয়েক বছর পূর্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে নারী সহ পুরো চক্র গ্রেফতার হয়। সূত্র মতে, শিপলু একজন নারী পিপাসু। সে ইতিমধ্যে ৫-৬ টি বিয়ে করেছে। সর্বশেষ প্রবাসী এক স্ত্রী কে ভাগিয়ে নিয়ে করে। স্থানীয়রা জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আজমেরী ওসমানের গাড়ীর বহরের সামনের কাতারে ও শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছিলো শিপলু কে। কিন্ত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলে শিপলু তার বাহিনী নিয়ে নিজেও আতœগোপনে চলে যায়। বেশ কিছুদিন আতœগোপনে থাকার পর গত কয়েকদিন প্রূ্েব এলাকায় ফিরে এসে স্ব-মহিমায় সক্রিয় হওয়ার চেস্টায় লিপ্ত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে আন্দোলনকারী ছাত্র হত্যার একাধিক মামলা থাকার পরেও প্রকাশ্যে এলাকা ঘুরে ফিরছে। শীর্ষ এই অপরাধিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আজমেরী ওসমানের এই অঞ্চলের অপরাধজগতের অনেক অজানাকাহিনী বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪৩
  • ১৭:২৩
  • ১৮:৩৮
  • ৬:০৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা