আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯ কার্তিক ১৪৩১ | ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ | সকাল ১০:০৫

হারিয়ে যাচ্ছে না’গঞ্জ আ’লীগ!

ডান্ডিবার্তা | ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে স্বেরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের এখন আর দেখা যাচ্ছে না। এমনকি আওয়ামীলীগের দলীয় কর্মসূচী পালনেও তাদের অনীহা। আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৭৮-তম জন্মদিন পালনেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। এমনকি জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মীই ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে রয়েছে বলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সূত্রমতে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দলটি এখন নেতৃত্ব শূন্যতায় ভুগছে। অথচ সরকার পতনের কিছুক্ষন আগেও পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের মাত্র ১ মাসের ব্যবধানে পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি পাল্টে গেছে। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ নেতারাও অনেকে দেশ ছেড়েছেন। এছাড়া নেতাদের মধ্যে এখনো যারা দেশে অবস্থান করছেন, তাদের প্রায় সবাই ‘আত্মগোপনে’ আছেন। বর্তমানে নেতৃত্ব শূন্য থাকা নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চরম হতাশায় ভুগছে। তাদের অনেকেই এখন উদ্বেগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় তারা তাদের নামও প্রকাশ করতে চাননি। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, আমাদের দলের এখন দিশাহারা বিপর্যস্ত অবস্থা হয়ে গেছে। কারণ একমাস হয়ে গেলো অথচ দল থেকে কার্যকর কোনো নির্দেশনা দেওয়া হলো না। ফোন দিলেও কেউ ধরে না। হামলা-মামলা সব মিলিয়ে নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নেতাকর্মীদের অনেকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের এখনকার যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, সেটার জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের দায়ী করেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। দলের একজন আওয়ামী লীগের কর্মী বলেন, ‘ক্ষমতা হারালে এমন অবস্থা যে হতে পারে, সেটা তো নেতাদের অজানা থাকার কথা না। তারাই তো এর জন্য দায়ী। তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিম খাইলো নেতারা, কোটি কোটি টাকা বানাইলো তারা; আর তাদের পাপের শাস্তি ভোগ করতে হইতেছে আমাদের মতো তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একাত্তর সালে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। কাজেই দেশ যতদিন থাকবে, আমাদের দলও থাকবে। আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়াবো। হামলার ভয়ে নিজেরা গা ঢাকা দিলেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বেশিরভাগের পরিবার-পরিজন তাদের এলাকাতে রয়েছেন। তবে আয়-রোজগার না থাকায় সংসার চালাতে গিয়ে অনেকের স্ত্রী-সন্তানরা বিপাকে পড়েছেন। পালিয়ে ঢাকায় আশ্রয় নেয়া আওয়ামী লীগের কর্মী বলেন, ‘আমরা নিজেরাই তো পালিয়ে বেড়াচ্ছি, কাজ-কাম করবো কী করে? আর আয় না থাকলে সংসারের কী অবস্থা হয়, তা তো বুঝতেই পারছেন? পেশায় অটোচালক ওই ব্যক্তি জানান, সংসার চালাতে না পেরে তার স্ত্রী প্রায়ই ফোন করে কান্নাকাটি করে। তিনি বলেন, ‘এভাবে কতদিন থাকবে? ভাবতে গেলেই কান্না আসে। মনে হচ্ছে, রাজনীতি করাই পাপ হয়েছে। তাই আর রাজনীতি করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিছি। কর্মীদের মধ্যে আরও অনেকেই এমন সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের এক নেতা। এদিকে, ‘আপা পালাইছে, মানতেই কষ্ট হয়’ গত ২৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, শেখ হাসিনা নাই, শেখ হাসিনা চলে গেছে; শেখ হাসিনা পালায় না।’ অথচ এ ঘটনার ঠিক ১০ দিন পরে লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে আসার পর গত ৫ আগস্ট দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান, যা এখনও মানতে পারছেন না দলটির নেতাকর্মীরা। জেলা আওয়ামী লীগের অপর এক নেতা বলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না। আপা পালাইছে, মানতেই কষ্ট হয়। তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে যারা চেনেন, জানেন। যারা কাছ থেকে তাকে দেখেছেন, তারা কেউই এটা মানতে পারবে না। কারণ উনি মোটেও পালিয়ে যাওয়ার মানুষ না। আওয়ামী লীগ সভাপতির দেশ ছেড়ে না গেলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো। তৃর্ণমূলের এক নেতা বলেন, ‘ক্ষমতা হারানোর পর খালেদা জিয়া ছাড়েননি, এমনকী এরশাদের মতো স্বৈরাচারও পালায়নি। সেখানে নেত্রী কেন দেশ ছাড়ল, সেটাই আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারছি না। এ অবস্থায় বিচারের মুখোমুখি হতে হলেও এখন শেখ হাসিনার দেশে ফেরা উচিৎ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৫১
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:১৮
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫৬
  • ১১:৪৬
  • ১৫:৩৯
  • ১৭:১৮
  • ১৮:৩৪
  • ৬:১০
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা