ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের মতো ঘটনা ঘটে গেলেও বন্দরে যুবদল নেতা হুমায়নের চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যের অবসান হয়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারায় বদল ঘটেছে, বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি। তবে কৌশল অবলম্বন করেছে চাঁদাবাজ হুমায়ন। দিনের বেলায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে থাকলেও রাতের বেলায় চাঁদাবাজদের পক্ষে অবস্থান নেন যুবদল নেতা হুমায়ন। অপর দিকে চাঁদাবাজ হুমায়ন তার দলবল নিয়ে বন্দর ১নং খেয়াঘাটে প্রতিটি দোকানে এসে দোকানদাদের চাঁদা দিতে নিষেধ করে যাচ্ছে। অথচ রাতে চাঁদার টাকা ভাগ নিয়ে যায় যুবদল নেতা হুমায়ন। এই নিয়ে যেকোন সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের নেতারা। অনুসন্ধানে জানা যায়, চাঁদাবাজদের সবচেয়ে বড় টার্গেট হচ্ছে বন্দর ১নং খেয়াঘাট পয়েন্ট। এই পয়েন্টটি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জোফেস বাহিনীর অনুগত যুবদল নেতা হুমায়ন ও কথিত যুবদল নেতা ঘাড় ব্যাকা সোহাগ। তাদের টার্গেট বন্দর ১নং খেয়াঘাট স্ট্যান্ড দখল নেয়া। এখানে ফুটপাট, বাজারও। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে ব্যবসায়ী আর বাসিন্দারা অতিষ্ঠ ছিলেন এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের অত্যাচারে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সেই সরকারের পতনের পর নির্যাতিতরা ভেবেছিল তাদের ভাগ্যে বোধ হয় পরিবর্তন আসবে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটা ঘটেনি। বিগত সরকারের আমলের চাঁদাবাজদের ছেড়ে যাওয়া শূন্য আসন পূর্ণ হতে সময় লাগেনি। সব পয়েন্টেই আবার নতুন করে শুরু হয়েছে দখল ও চাঁদাবাজি। আর এই চাঁদাবাজরাও বর্তমান সময়ে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কিছু অসাধু নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও অন্যান্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সিন্ডিকেট জানা গেছে, বন্দর ১নং খেয়াঘাট থেকে কুমারপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২০০ মত দোকান রয়েছে। যা বিগত সময়ে নিয়তিম দোকান প্রতি ১০০ থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিয়ে দোকান চালাতো এবং এন্ডভান্স ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়া হতো। সরকার পতনের পর এসব দোকান তারা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। চাঁদা তোলার কয়েকদিন পর যুবদল নেতা হুমায়ন চাঁদার টাকা ভাগ না পাওয়ায় তার বাহিনী নিয়ে দোকানে দোকানে চাঁদা দিতে নিষেধ করে থাকেন। পরবর্তী সময়ে সিন্ডিকেটের প্রধান আলহাজ¦ চান মিয়ার বন্দর ঘাটে অবস্থিত বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় চাঁদাবাজ সোহাগকে নিয়ে হুমায়নের সাথে সমঝোতা করে দেন এবং ওই মাসে ১৫ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। এভাবে কিছুদিন চলার পর ফের আবারও দিনের বেলায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর হুংকার দিয়ে যাচ্ছে যুবদল নেতা হুমায়ন। এনিয়ে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যেকোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষ হবে বলে আশঙ্কা করছে সিন্ডিকেট নেতারা।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯