ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:
দীর্ঘদীন ক্ষমতায় থাকার কারনে অনেকটাই কোনঠাসা করে রাখা হয় নারায়ণগঞ্জের বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের। একদিকে, সরকার দলীয় ক্যাডারদের হামলা অন্যদিকে পুলিশি গ্রেফতারের কারনে অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়ে বিএনপির রাজনীতি। এমনকি, পিতা বিএনপি করার কারনে পুত্রকেও ছাড় দেয়নি সরকারদলীয় নেতৃবৃন্দ এবং পুলিশও। অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন অতিবাহিত করে আসছিল বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তবুও, কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় দলের জন্য রাজপথ থেকে সরাতে পারেনি বিএনপির নেতৃনৃন্দকে। সকল ধরনের বাধা বিপত্তিকে পেছনে ফেলে দলের জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছিল নেতৃবৃন্দ। নেতাকর্মীদের বিশ্বাস ছিল অন্ধকার কেটে গিয়ে নতুন সূর্য উদিত হবে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ঠিকি নতুন সূর্যধয়ের দেখা মিলেছে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বেরাচারী সরকারের পতনের মধ্যদিয়ে। সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের সাথে একাগ্রতা প্রকাশ করে স্বেরাচারী সরকারের পতনের মাধ্যমে আবারো উজ্জীবিত উয়ে উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। দেশের গণতন্ত্র রক্ষার্থে এখনো ছাত্রদের সাথেই রাজপথে অবস্থান করে আসছে দলটি। তবে, এখনো আওয়ামীলীগের বর্বরতার সেই বীভিষীকাময় দিনটিকে ভূলতে পারেনি বিএনপি।
সূত্রমতে, প্রায় ১৬ বছর ধরে ক্ষমতার বাহিরে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এসময় সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে সারা দেশের ন্যায় নারায়নগঞ্জের বিএনপি নেতা কর্মীরাও দমন নীপিড়ন-হামলা-মামলার স্বীকার হয়ে দুর্বিসহ জীবন অতিবাহিত করেছেন। বিশেষ করে বছরের পর বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে নানা সংকটে পড়ে কারও কারও মধ্যে ভর করেছে হতাশা। তাদের কেউ কেউ কিছুটা নিষ্ক্রিয়ও হয়ে পড়ছেন। দলের নির্দেশনার বাইরে গিয়ে কিছু নেতা ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন, যা ভালোভাবে নেননি দলের নীতিনির্ধারকরা। এমন পরিস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের আবার মাঠে ফেরাতে ও উজ্জীবিত করতে মনোযোগী নারায়ণগঞ্জ বিএনপির হাইকমান্ড। নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিগত আন্দোলনে রাজপথের যোদ্ধাদের নেতৃত্বে আনা, দলের জন্য সর্বস্ব হারানোদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে চাঙা ও উদ্বুদ্ধ করতে কারামুক্তদের সংবর্ধনা, উপজেলা গুলোতে সফরের মধ্য দিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। লক্ষ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবাইকে নিয়ে আবার রাজপথে নামা। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের মনোবল ঠিকই আছে। তারা আবার মাঠে নামবেন। সময় হলেই তারা সবাই একযোগে রাজপথে নিজেদের উজাড় করে দেবেন। বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, ‘আমাদের নানা ধরনের কর্মসূচি চলমান আছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরাও সক্রিয় আছেন। আবারও নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে বিএনপি। যদিও তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আক্ষেপ করে বলেন, টানা তিনবার সরকার পতনের আন্দোলনে বেশ সাড়া জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেনি দল। এ জন্য সরকারের কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি নিজেদের সাংগঠনিক ব্যর্থতাকেও অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। তাদের মতে, আত্মগোপনে থেকে কর্মসূচি সফলের নামে গা না বাঁচিয়ে দলের সব নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকলে সরকারের পক্ষে নির্বাচন করা এত সহজ হতো না। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে হরতাল-অবরোধের সময় রাজপথে নামেননি অনেক বড় বড় পদধারী নেতা। যদিও বছরজুড়ে অসংখ্য সফল কর্মসূচি পালন করেছিল দলটি। সব ভুলভ্রান্তি আর ব্যর্থতা পেছনে ফেলে টার্গেটে পৌঁছাতে চান তারা। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, ‘বহু বছর ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছি। শুধু নিজে নই, পুরো পরিবার ভুক্তভোগী। সারা বছর মাঠে থাকি। সন্তানরা ভয়ে থাকে কখন বাবাকে হারায়, বিশেষ করে আন্দোলনের সময় খুব ভয় পায়। হাজারো নির্যাতনের পরও হাল ছেড়ে দেইনি। দলীয় স্বার্থে রাজপথে ছিলাম। দলের জন্য সব স্বার্থ ত্যাগ করেছি। অনিশ্চিত জীবন বেছে নিয়েছি। তার পরও সর্বশেষে বলব সামনে ভালো দিন আসছে। এখন হারানোর আর কিছু নেই। বরং রাজপথে থেকেই ভোটাধিকার, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। এ জন্য রক্ত দিতেও পিছপা হব না। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খাঁন টিপু বলেন, প্রকৃত কর্মী কারোরই মন ভাঙেনি। সবাই এখনো দলের কার্যক্রমে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যতই ঝড়-ঝাপটা, মামলা-হামলা আসুক আমাদের ভয় নেই। প্রতিনিয়ত এসব মোকাবিলা করেই চলছি। ভবিষ্যতেও তাই করব। যত দিন লাগবে আমরা মাঠে থেকেই এই সরকারের পতন ঘটাব। ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু বলেন, আমাদের মনোবল শক্তই আছে। দেশের মানুষ আমাদের পক্ষে আছে, জনগণ এই সরকারকে ভোট দেয়নি। আমি মনে করি আমরা ব্যর্থ হইনি। সবাই যার যার জায়গা থেকে দল গোছাচ্ছে। আর শুধু ক্ষমতায় যাওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। আমরা আছি মানুষের ভালোবাসার দল হিসেবে। ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোঃ চৌধুরী বলেন, কষ্টের তো শেষ নেই। আমাদের শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অসংখ্য নেতা-কর্মীর নামে শত শত মামলা দেওয়া হয়েছে। কারও কারও নামে ৩০-৪০ মামলার খড়্গ। এসব মামলায় জামিন পেলেও মাসজুড়ে হাজিরা দিতে হচ্ছে। আমাদের মহাসচিব বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে বলেছেন, দলের অনেক নেতা-কর্মী নিরুপায় হয়ে রিকশা চালান। এতকিছুর পরও কেন্দ্র থেকে তৃণমূল, কোথাও দল ত্যাগ করার তেমন প্রবণতা দেখা যায়নি। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক।
হাবিবুর রহমান বাদল স্বৈরাচারী সরকারের পতনের চার মাস পূর্তি ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। জুলাই বিপ্লবের মুল আকাংখা ছিল পরিবর্তন। সাধারন মানুষের সামনে অন্তর্বর্তিকালিন সরকার তেমন সাফল্য তুলে ধরতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবে রাজনৈতিক দলগুলির চাইতে ছাত্র-জনতার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহ ছিল সব চেয়ে বেশী। তবে রাজনৈতিক দলগুলির অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই বিপ্লবকে সমর্থন জানিয়ে […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯