শিমরাইল মোড়ের নিয়ন্ত্রন নিতে বেপরোয়া বিএনপি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, চাঁদাবাজি এবং আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের যোগসাজশের কারণে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ৪ নং ওয়ার্ডের শিমরাইল এলাকার বিএনপির নেতা আইয়ুব আলী মুন্সী ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ের নিয়ন্ত্রন নিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী পাঠিয়ে শিমরাইল মোড়ের বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারে হামলা ও ভাঙ্গচুরের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। জানায়ায়, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা  চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে হাজী আহসান উল্লাহ সুপার মাকের্টের সামনে অবস্থিত চিটাগাংরোড থেকে মানিকগঞ্জ রোডে চলাচলরত নীলাচল পরিবহন সহ একাধিক পরিবহন কাউন্টারে বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী মুন্সীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী সবুজ ও তার বাহিনী চাদাঁর দাবিতে হামলা চালিয়ে কাউন্টার ভাঙ্গচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মনজিল এক্সপ্রেস , নীলাচল, রাজনীগন্ধ্যা ও সময় কাউন্টার সহ একাধিক পরিবহনের শ্রমিক ও মালিকরা জানায়, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুপুরে আইয়ুব আলী মুন্সীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী সবুজ তার সন্ত্রাসীরা কাউন্টারে এসে বলে এখানে কাউন্টার চালাতে তাদের টাকা দিয়ে চালাতে হবে না হলে কাউন্টার চলবেনা। এ সময় সন্ত্রাসী সবুজ ও তার বাহিনী কাউন্টারে থাকা লোকজনকে মেরে টেবিল চেয়ার ভেঙ্গে কাউন্টার বন্ধ করে দেয়। তারা  যাওয়ার সময় বলে যায় এখানে তাদের সাথে কথা না বলে কাউন্টার চালু করলে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হবে যতদ্রুত সম্ভব মালিকপক্ষকে তাদের সাথে দেখা করতে বলে । না হলে এখানে কোন কাউন্টার থাকবে না।

শিমরাইল এলাকায় চলাচলরত বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলেন, আমরা ব্যবসায়ী। আমাদের পরিবার কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী মুন্সী ও সন্ত্রাসী সবুজ তাদের বাহিনী প্রতিটি পরিবহন থেকে থেকে চাঁদা চেয়েছেন। তাদের চাদাঁ না দিলে ব্যাবসা করতে দিবে না বলে আমাদের অব্যাহত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে শিরাইল মোড়ে চলাচলরত মনজিল এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন পরিবহন সেক্টর দখলে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব পরিবহনের মালিকদের আইয়ুব আলী মুন্সীর অফিসে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে বলে গাড়ি চালাতে হলে তাদের দাবিকুত চাদাঁ দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। না হলে কোন গাড়ি এই রোডে চলবেনা । তাদের অব্যাহত হুমকি  ও পরিবহন সেক্টর দখলের কারনে আতংকিত হয়ে পড়েছে শিমরাইল এলাকায় চলাচলরত পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা। অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিনের নাম ভাঙ্গিয়ে নাসিক ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী মুন্সী, বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরে চাদাঁবাজি করে গত ৫ আগষ্টের পর থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যার কারনে অত্র এলাকায় সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বিএনপি’র। এলাকাবাসী জানায়, আইয়ুব আলী মুন্সী, জেলা বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে অত্র এলাকার সাধারন মানুষ আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিবে। সুত্রে জানাযায়, সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আলোচিত সাতখুন মামলার ফাসিঁর আসামী নুর হোসেনের ভাই কাউন্সিলর নুরুদ্দিন পরিবারের লোকজনকে কৌশলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এলাকায় এনে তাদের সহযোগীতা করছে। হোসেন পরিবারের সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে আইয়ুব আলী মুন্সী ও তার সন্ত্রাসী বাহনী। এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কাছে কিছু চাদাঁবাজদরে তালিকা এসেছে আমরা সেগুলো যাচাই করে খুব শীগ্রই ব্যাবস্থা নিবো। তিনি বলেন, যারা বর্তমানে চাদাাঁবাজি, দখল বাণিজ্যের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করবো। এসব অপকর্মকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।