গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে ঝুট সেক্টর দখলের পায়তারা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:

ফতুল্লা থানার নয়ামাটি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী শরীফ ও তার ভাই বাদশা গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে ঝুট সেক্টর দখল করার পায়তারা করছে। তাদের অত্যাচারে আতঙ্কিত এলাকাবাসি। গত ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে শরীফকে গ্রেফতার করা হলে ও  মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফতুল্লা থানার দারোগা রফিক ও সুজন ফকিরের বিরুদ্ধে। ফতুল্লা থানার নয়ামাটি এলাকার মৃত সোলাইমান মিয়ার ছেলে শরীফ হোসেন  ও তার ভাই বাদশা দীর্ঘদিন আওয়ামিলীগ নেতা পরিচয়ে এলাকায় দখলবাজি, চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছেন। শরীফের  বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, মাদক ও সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে ছাত্রজনতার উপর হামলাকারী হিসেবে সংশ্লিষ্ট থানা সহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা হয়। সরকার পতনের পর শরীফ ভোল পাল্টে বি এন পি’র ভূঁইফোড় সংগঠন কোকো স্মৃতি সংসদ নামে এক সংগঠনের থানা কমিটির আহ্বায়ক হন পিঠ বাঁচাতে ও আধিপত্য বিস্তার করে এলাকায় মিল ফ্যাক্টরী দখল করার জন্য এবং সে উক্ত এলাকার সুপারস্টার, এবলুম ফ্যাশন সহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান দখল করে ওয়েস্টেজ মালামাল নামানো শুরু করে ও তা এখনো অব্যাহত আছে। তার জন্য উক্ত এলাকার শিল্প মালিকরা অতিষ্ঠ। বর্তমানে সে উক্ত এলাকার সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টরী ইউরোট্যাক্সের মাল নামাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন গার্মেন্টসে অসন্তোষের মূল কারণ হচ্ছে শরীফ গত সাপ্তাহে ইউরোটেক্স গার্মেন্টসের অসন্তোষ সৃষ্টি করে শরিফ। রবিবার ২০ অক্টোবর আই এফ এস ( মাহমুদা) গার্মেন্টস অসন্তোষ সৃষ্টি করে ঝুট সেক্টর দখল করার জন্য,গার্মেন্টস শ্রমিকরা ডিসি অফিস ঘেরো  করে। থানা সূত্রে জানা গেছে শরীফের জন্য বি এন পি’র নেতারা সুপারিশ করায় তাকে ছাড়তে বাধ্য হন পুলিশ। অন্যদিকে সচেতন মহলের মতে বি এন পি নেতা হোক আর যারাই হোক একজন প্রকৃত অপরাধী কে এভাবে ছেড়ে দিলে জনমনে পুলিশের প্রতি আস্থা থাকবে না। বর্তমানে শরীফ ও তার ভাই বাদশা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে পূর্বের চেয়ে বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তাই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।