শীতলক্ষ্যা নদীর ওয়াকওয়ে দখল করে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতার বালু ব্যবসা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুর উত্তর পাশে শিমরাইল ড্যানিসের বিপরীতে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ও ওয়াকওয়ে  অবৈধভাবে দখল করে বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রন নিয়ে এখনো বহাল তবিয়তে ব্যাবসা পরিচালনা করছে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হাজী জহিরুল হক ও নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসানের সহযোগী সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রিপন । সোমবার সরেজমিনে কাঁচপুর সেতুর উত্তর পাশে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচপুর সেতুর উত্তর পাশে শিমরাইল ড্যানিসের বিপরীত পাশে নদীর সরকারি জায়গা দখল করে প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের ক্যাডার একাধিক মামলার আসামী সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হাজী জহিরুল হক ও নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসানের সহযোগী সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রিপন দেদারছে ব্যাবসা করে যাচ্ছেন। নদীর ওয়াক ওয়েতে বালুর স্তুপ করে এসব বালু ট্রাকের মাধ্যমে আশপাশের এলাকায় বিক্রি করছেন তিনি। ড্রেজার ও বালুর গদির লোকজন জানান প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএর লোকজনকে ম্যানেজ করেই এ অবৈধ বালুর ব্যবসা করছেন সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রিপন। গত ৫ আগষ্টের পর শেখ হাসিনা সরকার পতন হলে আওয়ামীলীগের নেতারা এলাকার ছাড়া হলেও সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রিপন এখনো বহাল তবিয়তে ব্যাবসা করে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, হাসিনা সরকারের সময় স্থানীয় কাউন্সিলর হাসানের সহযোগী হিসেবে রিপন অত্র এলাকার সকল বালুর ব্যাবসা নিয়ন্ত্রন করতেন পরে হাসান কাউন্সিলর পদে পাশ না করার কারনে রিপন রাতারাতি বোল্ট পাল্টিয়ে স্থানীয় আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হাজী জহিরুল হকের সাথে মিলে পুনরায় বালুর ব্যাবসা নিয়ন্ত্রনে নেয়। সেই থেকে এখনো বহাল তবিয়তে এখনো বালুর ব্যাবসা করে যাচ্ছেন রিপন।  আওয়ামীলীগের নেতারা ৫ আগষ্টের পর এলাকা ছাড়া হলেও বহুরপী রিপন স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে গোপন আতাত করে নিয়ন্ত্রন করে যাচ্ছেন অবৈধ বালুর ব্যাবসা। এলাকাবাসী আরো জানান , সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রিপন ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগের হয়ে সন্ত্রাসীদের অর্থ দিয়ে ছাত্রদের উপর হামলা করিয়েছে যার প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছে অনেকেই। কিন্তু বহুরুপী রিপন এখনো কোন মামলার আসামী হয়নি কেন তা বোধগম্য নয়। তারা অবিলম্বে রিপনকে ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে গ্রেফতারের দাবি জানান। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র প্রভাবশালী এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,  আমাদের দলের যারাই এসব কর্মকান্ডে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে । কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দলের সুনাম ক্ষুন্নকারীদের কোন ছাড় নেই।