রূপগঞ্জে প্রতারক মেহেদীর বিরুদ্ধে মামলা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:

রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার বরপা পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু সিদ্দিক মোল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া আনোয়ার হোসেন মেহেদী চেক দিয়ে ১২ লাখ টাকা নিয়ে এক সাংবাদিকের সাথে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক ওই প্রতারক মেহেদীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। খবর পেয়ে প্রতারক আনোয়ার হোসেন মেহেদী নিজেকে আত্মগোপন করেছে। জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌর সভার বরপা এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক মোয়াশেল ভুঁইয়ার কাছ থেকে ৭ লাখ ও ৫ লাখ টাকার দুটি চেক দিয়ে ১২ লাখ টাকা নেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মেহেদী। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ও ১০ সেপ্টম্বর ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করার চেক দুটি প্রদান করা হয়। চেক প্রদানের আগেই প্রতারক মেহেদী তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে নেয়। ব্যাংক একাউন্টে টাকা না পেয়ে মোয়াশেল ভুঁইয়া ওই প্রতারক ব্যবসায়ী মেহেদীকে টাকার জন্য চাপ দিলে টালবাহান করে। একপর্যায়ে সাংবাদিক মোয়াশেল ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ তুলে প্রতারক মেহেদী রূপগঞ্জ থানায় হুমকি-ধামকি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হলে মেহেদীকে রূপগঞ্জ থানায় হাজির হওয়ার কথা বলেন পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা। এর পর থেকেই নিজেকে আত্মগোপন করে বরপা এলাকার কয়েকজন সন্ত্রাসীর সহায়তায় সাংবাদিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করে।  এদিকে সাংবাদিক মোয়াশেল ভুঁইয়া প্রতারক আনোয়ার হোসেন মেহেদীর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন। এর আগে চেক দুটি ডিজঅনার করান মোয়াশেল ভুঁইয়া। এছাড়াও ব্যাংক একাউন্টে টাকা না রেখেই ব্যাংক চেক দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে লাভের ওপর টাকা নেন মেহেদী। প্রথম কয়েক মাস লভ্যাংশের টাকা দিলেও পরবর্তীতে আর টাকা দেন না। পরে টালবাহানা করে এলাকার লোকজনকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রতারণার আশ্রয় নেন। ইদানিং সে এলাকার সন্ত্রাস, মাদক বিক্রেতা ও ভুমিদস্যুদের সাথে নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেছে বলেও এলাকাবাসী জানান।  সাংবাদিক মোয়াশেল ভূইয়া জানান, যৌথ ব্যবসার কথা বলে আনোয়ার হোসেন মেহেদী তার কাছ থেকে দুটি চেক প্রদানের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকা নেন। ডকুমেন্টবাবদ ডাচ বাংলা ব্যংকের একটিতে ৫ লাখ ও অপরটিতে ৭ লাখ টাকার চেক দেন। মোয়াশেল ভূইয়া পরবর্তীতে জানতে পারেন এলাকার আরো অনেক লোকের কাছ থেকে সে বিপুল পরিমাণের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এক পর্যায়ে টাকার জন্য মোয়াশেল ভুইয়া চাপ দিলে মেহেদী টাকা না দিয়ে উল্টো মোয়াশেলকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন মেহেদীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।