আজ রবিবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ | রাত ১১:০৬

মাদকে সয়লাভ পুরো ফতুল্লা

ডান্ডিবার্তা | ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ | ৯:৩৩ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:

মাদক একটি সামাজিক সমস্যা আর এ সমস্যা সমাধানে পুলিশের আন্তরিকতার অভাবে এবং স্থানীয় কতিপয় নামধারী নেতা ও বিশেষ পেশার মানুষের কারনে তা নির্মুলের পরিবর্তে এ ভয়াবহতা যেন দিনের পর দিন তা মারাত্মক আকারে রুপ ধারন করছে যা এখন হাত বাড়ালেই সহজেই পাওয়া যায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়। অপরদিকে মাদক নিয়ন্ত্রনে পুলিশ জিরো টলারেন্সে এমনটা যেন শুধুমাত্র তাদেও কাগজে-কলমে লেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধতা থাকায় ক্রমেই বেড়ে চলছে মাদকের প্রবনতা আর শূন্য থেকে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার মিশন সাকসেস করছেন মাদক ব্যবসায়ী-নামধারী নেতা ও বিশেষ পেশার কতিপয় কর্তাবাবু। গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দেশত্যাগের পর থেকে আইন-শৃংখলাবাহিনীর সমন্ময়হীনতা এবং খোলস পরিবর্তন করে মাদকের সাম্রাজ্য ধরে রেখে তার ব্যাপকতা বেড়েছে বহুগুনে। বিশেষ করে জেলার মধ্যে ফতুল্লা থানাধীন প্রতিটি পাড়া-মহল্লা যেন মাদকের ওপেন জোন হিসেবে রুপান্তরিত হয়ে পড়েছে। পাড়া-মহল্লাগুলোতে এখন আর গোপনে নয় অনেকটা প্রকাশ্যেই মাদক বিক্রি করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে ডাকাত এবং পুলিশের কথিত সোর্সদের নিয়ন্ত্রণে। কয়েকজন শীর্ষ ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শতাধিক সেলসম্যান। পৃথক সিন্ডিকেট গড়ে এবং প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে মাদকের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে ফতুল্লা স্টেশন ব্যাংকলোনী, শাহজাহান রোলিং মিল, খোঁজপাড়া, মাসদাইর বাজার, পাকাপুল, বেকারীরমোড়, বাড়ৈবৈাগ, খানকার মোড়সহ প্রত্যন্ত এলাকা। পুর্বে এসব এলাকায় মাঝেমধ্যে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত হলেও তা সেলসম্যান আটকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো কিন্তু প্রায় গত ৩ মাস যাবত পুলিশের কোন প্রকার তৎপরতা না থাকার ফলে এখন অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছে মাদক ব্যবসা। এসব ব্যবসায়ীদের দমনে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার দাবি করেছেন সচেতন মহল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা হলো, একাধিক মামলার আসামী সোরহাবের ছেলে হান্ড্রেড বাবু, মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে নাসির শেট, মৃত সামসুল হকের ছেলে ও ক্রসফায়ারে নিহত লিপুর ভাই ডাকাত শাহিন, মৃত সেকান্দারের ছেলে লতিফ, আলাউদ্দিনের ছেলে জাবেদ, আমজাদের ছেলে সুকানী সুমন, আলী আক্কবরের ছেলে আমির হোসেন পিচ্ছি, আল্পনা, মৃত রশিদ মিস্ত্রীর ছেলে মানিক, কাদিরের ছেলে পিচ্ছি সোহেল, চোরা সুমন, হানিফ, টোকাই সেলিম, ব্যাংককলোনী এলাকা মাদকের নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে দীর্ঘদিন ধরে। এলাকার পুলিশ সোর্স মামুনের সহযোগীতায় মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করছেন শাকিল, আলামিন, রাজিব, ডাকাত শাহীন, মাইছ্যা মহসীন, হানিফ, ডিসান ওরফে ভাঙ্গারী ডিসান। তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রায় অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী। এই চক্রটি স্থানীয় প্রভাবশালীদের শেল্টারে এলাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবা, হিরোইন, আইচ বিক্রি করছে। অপরদিকে, শাহজাহান রোলিং মিল এলাকায় ডাকাত শাহাবুদ্দিন, সাউদ সোহেল, ফাহিম, জমিদারের নাতি সাজ্জাদ নিজের পুলিশের সোর্স দাবি করে এলাকাবাসীকে জিম্মি করে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো হামলা,হুমকীর ঘটনা ঘটেছে। ফলে ভয়ে কেউ এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করেছে। অপর দিকে, খোঁজপাড়া, কবরস্থান সংলগ্ন বাউন্ডারি এলাকায় মাদকের নিরাপদ ঘাঁটি বানিয়ে মাদক ব্যবসা করছে হাসান ওরুফে দাউত্যা হাসান, টিকিমারা লিটন, হাসান এবং লিটনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কয়েকডজন সেলসম্যান। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত নানা কৌশলে হিরোইন, ইয়াবা,গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। হাসান এবং লিটন ইতোপূর্বে একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে। টিকিমারা লিটন ফতুল্লা পুলিশের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী। অপরদিকে আলীগঞ্জের অন্যতম মাদক সম্রাট শান্ত। ন্বৈরাচারী সরকারের দেশত্যাগের পর তাদেও নেতারা গা ঢাকায় এখন খোলস পাল্টে নামধারী বিএনপি নেতা ও কতিপয় বিশেষ পেশার ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এ সকল মাদক ব্যবসায়ী দিব্ব্যি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাসদাইর বাজার ও গুদরাঘাট এলাকায় কসাই নাসিরের দুই ছেলে ও একমেয়ে, পোড়া কাকনগং,জাকির খানের অস্ত্রবাজ ক্যাডার রাসেল ওরফে কাইল্লা রাসেল ওরফে চাকু রাসেল,বাড়ৈভোগ এলাকার মাসুদ ওরফে হোটেল মাসুদ,হিমু,হৃদয়,বেকারীর মোড় এলাকার ইউনিয়ন বিএনপি নেতার ভাজিতা জামালগংরা অনেকটা প্রকাশ্যেই মরননেশা ফেন্সিডিল,গাজাঁ ও ইয়াবা বিক্রি করছে। এছাড়াও কসাই নাসিরের বড় ছেলে এবং কাইল্লা রাসেল মাদক বিক্রির পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রও নাকি বিক্রি করছেন এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের উভয়ের কাছেই নাকি ৬.৫ বোরের অস্ত্রও রয়েছে। প্রায় ১৫ দিন পুর্বে নগরীর বাসষ্ট্যান্ড দখল নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলিবর্ষনকারী রাসেল ওরফে কাইল্লা রাসেল সেই ঘটনার পর থেকেই এলাকাতে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে এবং দিব্ব্যি মাদক বিক্রি করলেও সেই ঘটনায় মামলার আসামী হলেও রাসেলকে নাকি পুলিশ খুজে পাচ্ছেনা। এ সমস্ত এলাকায় বসবাসকারী প্রতিটি অভিভাবকের দাবী,স্বৈরাচারী হাসিনার পলায়নের পর রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জন্য অন্তবর্তী সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি আগামীর রাষ্ট্রপরিচালনার সয়াহক যুবসমাজকেও মরনব্যাধি এ মাদকের জগত থেকে রক্ষার দ্বায়িত্বও রয়েছে রাষ্ট্রের। স্বৈরাচারী হাসিনার পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সাথে যারা জড়িত রয়েছে এবং যেসকল নেতা কিংবা বিশেষ পেশার লোকজন উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদেও পৃষ্টপোষকতার দ্বায়িত্ব পালন করছেন তাদেরকেও সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য জোড় আবেদন করছি। এসব মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে উঠতি বয়সের কিশোর,যুবকরা মাদকাসক্ত হওয়ার পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে। এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ছাত্র-জনতাকেও ঐক্যবদ্ধভাবে মাদক বিরোধী অভিযানে অংশগ্রনের দাবি করছে এলাকার সচেতন মহল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:১৪
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:১৯
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১১
  • ১১:৫৯
  • ১৫:৪০
  • ১৭:১৯
  • ১৮:৩৮
  • ৬:৩৬
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা