আজ শুক্রবার | ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ | সকাল ৬:০৮

নারায়ণগঞ্জে পানি পানের অযোগ্য

ডান্ডিবার্তা | ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ | ৯:৪৮ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:

শহরের বিভিন্ন এলাকায় সিটি করপোরেশন যেই পানি সরবরাহ করছে তা পান করার অযোগ্য। মূলত নগরবাসী এই পানি গোসল ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করে। তবে এখন তাও মুশকিল হয়ে পড়ছে। নাসিকের পানি ব্যবহার করেন এমন গ্রাহকদের অভিযোগ, পানির সাথে প্রচুর ময়লা আসে। যার ফলে সেই পানি দিয়ে গোসলও করা যাচ্ছে না। আর যারা করছেন তারা ভুগছেন চর্মরোগে। নাসিকের ১৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিতাইচন্দ্র রায় বলেন, সিটি করপোরেশনের পানির পাইপগুলো মাটির নিচে ফেটে গেছে। তাই পানির সাথে প্রচুর ময়লা আসছে। আমরা সেই পানি দিয়ে গোসল করায় সারা শরীর চুলকানীতে ভরে গেছে। আমাদের প্রতিবেশীদেরও একই অবস্থা। খাবার পানিটা কষ্ট করে সংগ্রহ করি। কিন্তু গোসল করতে আবার নতুন করে পানি কই পাবো বলেন? পানির সাথে বালুর সাথে জীবাণু আসে। এটা যদি বন্ধ না হয় আমরা সামনে বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়বো। নাসিকের ১৮নং ওয়ার্ডের নলুয়াপাড়ার এক নারী বলেন, ঘরের অনেকের চুলকানীর সমস্যা। ডাক্তার বলছে পানির সমস্যা। আমরা তো সিটি করপোরেশনের পানি ব্যবহার করি। এই পানিতে যদি সমস্যা হয় তাহলে তো কিছু করার নাই। মানুষের বাসা থেকে খাওয়ার পানিটা আনা যায় কিন্তু গোসলের পানি তো দিবো না! সময়তে পানি ছাড়লে খালি লাল কালারের পানি আসে। অনেক সময় পোকাও আসে। আমরা তো এই পানি কখনোই খাই না। এখন যা দেখতাছি যে, সামনে গোসলের জন্যও এই পানি ব্যবহার করতে পারমু না। নগরীর ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, ডেঙ্গুর পর এই হাসপাতালে চর্মরোগে আক্রান্ত রোগীরা বেশি আসছে। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী হাসপাতালে ভিড় করছে। এতো সংখ্যক চর্মরোগী সামাল দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তারদের। ডাক্তাররা জানান, শহরের অধিকাংশ রোগীদের হাত ও পায়ে চুলকানীর সমস্যা হচ্ছে শুধুমাত্র ময়লা পানি দিয়ে গোসল করার জন্য। নারায়ণগঞ্জ শহরে অনেক আগে থেকেই সিটি করপোরেশন ও এর আগে ওয়াসা তাদের গ্রাহকদের খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারেনি। বিশেষ করে শহরে প্রতিবছর ডায়রিয়া রোগের যেই প্রকোপ হয় তার জন্য ডাক্তাররা বিশুদ্ধ পানির অভাবকেই দায়ী করেছিলেন। সরেজমিনে ঘুরে নাসিকের শহর কেন্দ্রীক বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, নাসিকের পানির পাইপ লাইন দিয়ে (সাবেক ওয়াসা) যে পানি আসে তাতে কোনো চাপ থাকে না। এক বালতি পানি ভরতেই অনেক সময় পার হয়ে যায়। একই সাথে এই পানি খাওয়ারও অযোগ্য। নাসিকের ১৪নং ওয়ার্ডের দেওভোগ এলাকার গৃহিণী মোক্তা বেগম বলেন, এই এলাকায় ২৫ বছর ধরে আমার বিয়ে হয়েছে। শুরুতে আমরা ওয়াসার পানি এবং চাপকলের পানি দিয়েই খাওয়াসহ সকল কাজ করতাম। তবে এখন তো চাপকল নাই। আর ওয়াসার পানি দিয়ে কিছুই করা যায় না। বালু, মাটি, পোকা আসে পানির সাথে। কিন্তু প্রতি মাসে আমাদের পানির বিল ঠিক দিতে হয়। পানি এখন আমাদের অনেক বড় একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াইছে। ১৭নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাসান মিয়া বলেন, এই এলাকায় তো সারা বছরই পানির জন্য হাহাকার। পানি অভাব কাকে বলে দেখতে হইলে পাইকপাড়া আসতে হইব। যারা বড়লোক তাদের বাসায় তো সাবমারসিবল আছে। কিন্তু যাদের নাই তারা সকাল বিকাল সময় কইরা পানির জন্য লাইনে দাাঁড়ায়। এই এলাকার ওয়াসার পাম্প আজকে অনেক বছর ধইরা নষ্ট। বিশুদ্ধ পানির জন্য এখানে সবার পেটের সমস্যা লেগেই থাকে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৫৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:১৫
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২
  • ১১:৪৭
  • ১৫:৩৬
  • ১৭:১৫
  • ১৮:৩১
  • ৬:১৬
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা