নাছির উদ্দিন:
বন্দরে এখন আর চোখে পড়েনা বেদে নৌকা। তারা এখন নৌকা ছেড়ে ডাঙ্গায় বসবাস করছেন। কেহ কেহ নৌকা ছেড়ে বাসা ভাড়া, কেহ আবার জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ আবার অনেককে দেখা যায় সরকারি জমিতে বস্তির মতো ঝুপরি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। আদিকাল থেকে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় বেদে সম্প্রদায়ের বসবাস বরে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে ২টি গোত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। একটি গোত্র যারা বিভিন্ন হাট বাজারে ছাতা মেরামত, তালা-চাবি মেরামত, ফেরী করে কসমেটিক সামগ্রী বিক্রি, বিভিন্ন মেলায় খেলনা সামগ্রী বিক্রি ও মাছ মারার টেঁটা তৈরী করেন। তাদের বলা হয় সওদাগর বা সাঙ্গারা। আরেটি সম্প্রদায় যাদের বলা হয় নাখারা। এ নাখারা সম্প্রদায়ের বেদেরা বিভিন্ন হাট বাজারে সাপের খেলা, সিংগা লাগানো বা ঝার ফুক দিয়ে রোজগার করা। এ সম্প্রদায়ের নারীরা অনেক চতুর। তারা বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের বিভিন্ন ভাবে প্রলব্ধ করে নিয়ে আসতে পারে টাকা পয়সা ও চাল-ডাল। তারা সরকারি জমিতে ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ করে বস্তি বানিয়ে এখন বসবাস করছে। তবে এ সম্প্রদায় অনকটাই অবহেলিত। তাদের মধ্যে সরদারের অনুমতি ছাড়া কেহ কিছু করতে পারে না।
বিয়ে হতে হলেও সরদারের অনুমতি দরকার হয়। তারা যেখানেই বসবাস করবে তারা দল বেধে সে সকল এলাকায় গিয়ে বস্তি নির্মাণ করে বসবাস করবে। তবে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলকায় প্রায় ৪ শতাধিক বছর ধরে বেদে সম্প্রদায় বসবাস করে ্আসছে। ৩০ বছর পূর্বেও এ বেদে সম্প্রদায় লাঙ্গলবন্দ বাজারের পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে নৌকায় বসবাস করতেন। সারি সারি নৌকা থাকত এ ঘাটে। সে সময় তাদের কারো কারো নৌকায় ব্যপারী দিয়ে টেলিভিশনও চালাতে দেখা গিয়েছিল। এখন আর ঘাটে নৌকা নেই। তাদের মধ্যেও আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। সাঙ্গারা সম্প্রদায়ের বেদে পরিবারের অনেক ছেলে মেয়ে আজ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। তবে এদিকে পিছিয়ে রয়েছে নাখারা সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরা। তাদের ছেলে মেয়েরা একটু বড় হলেই নেমে পড়ে রোজগারে। এ বিষয়ে সাঙ্গা সম্প্রদায়ের বেদে তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রায় ৩/৪শ বছর ধরে লাঙ্গলবন্দে বসবাস করছি। আমরা সকলেই নৌকাতে বসবাস করতাম। আমার জন্মও নৌকায় হয়েছে। এখন আমরা আর নৌকায় বসবাস করছি না। নৌকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করা ঝুঁকিপূর্ন। আগে আমরা যতটুকু নিরাপদে ছিলাম এখন আর সেই নিরাপত্তা নেই। আমাদের সম্প্রদায়ের মেয়েদের স্থানীয়দের সাথে বিয়ে হচ্ছে। আমরা এখানকার ভোটার। আমরা এখন নৌকা ছেড়ে ডাঙ্গায় বসবাস করছি। এ লাঙ্গলবন্দে আমাদের সম্প্রদায়ে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার রয়েছে। আমাদের ছেলে মেয়ে লেখা পড়া করছে, অনেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিতও হচ্ছে। এ বিষয়ে নাখারা সম্প্রদায়ের বেদে নাজির বলেন, আমরা নৌকায় বসবাস করছিনা। নৌকায় বসবাস করতে হলে নৌকা তৈরীতে অনেক খরচ হয়। সেই সাথে নৌকা মেরামত, পরিবার পরিজন নিয়ে চলাচল অনেকটা দুস্কর হয়ে পড়ে। আমরা বছরের পর বছর ধরে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় বসবাস করছি। এখন আমাদের আগের মত রোজি রোজগার নেই। হাটে-বাজারে সাপ খেলা দেখিয়েও তেমন রোজগার হয়না তাই আমরা নৌকা ছেড়ে ডাঙ্গায় ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছি। তবে আমাদের সব কিছু নিয়স্ত্রণ হয় সরদারের কথায়। সরদার আমাদের যে অঞ্চলে নিয়ে যাবে আমরা দল বেধে সে অঞ্চলে গিয়ে বসবাস করি। তবে লাঙ্গলবন্দে আমাদের সকলের সাথে পরিচিত রয়েছে তাই আমরা এ অঞ্চলে নিরাপদ ভাবে বসবাস করতে পারছি। এ ব্যপারে মুছাপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন বলেন, লাঙ্গলবন্দে অনেক বেদে সম্প্রদায়ের বসবাস। অনেকে এ অঞ্চলের ভোটার। কেহ কেহ জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে স্থায়ী হয়েছেন অনেকে ভাড়া বাসায় বসবাস করেও স্থায়ী হয়েছেন। আমরা পরিষদ থেকে বেদে সম্প্রদায়ের জন্য সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকি। তাদের বিভিন্ন সময় রিলিফ থেকে শুকু করে স্বাস্থ্য সেবার জন্যও পরিষদ থেকে ব্যবস্থা করা হয়। এ অঞ্চলে বেদে সম্প্রদায় নিরাপদে বসবাস করে যাচ্ছেন।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯