ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:
ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়। শুরু থেকেই এই সরকারকে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করার তাগিদ দিয়ে আসছে বিএনপি। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকাতে সক্রিয় হয়ে উঠছেন বিএনপির এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এদিকে, পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা এখনো নিশ্চিত না হওয়া গেলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন থেকেই নিজেদের মাঠ গোছানো শুরু করেছেন। এখনই মৌন যুদ্ধ লক্ষ্য করা গেছে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে। সেইসঙ্গে বিএনপিকে আগের তুলনায় আরও সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী করতে পূর্বের বিভিন্ন কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিতর্কিতদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশের মতো একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে নারায়ণগঞ্জের ক্ষেত্রেও। জেলার পাঁচটি আসনেই বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য একের পর এক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। তাদের ভাষ্য, দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে তারা ক্ষমতার বাহিরে রয়েছেন। বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে তাদের অনেক নির্যাতন, হামলা, মামলার শিকার হতে হয়েছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ব্যাকফুটে থাকায় বিএনপির বড় ব্যবধানে জয়ী হওয়ার আশা সৃষ্টি হয়েছে। যে সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে চাচ্ছেন না। বিপরীতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও নির্বাচন আয়োজন করার বিষয় বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে কিছুদিন পর পর আলোচনায় বসছেন। যে আলোচনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন সম্পর্কে নিজেদের মতামত পেশ করছেন। শোনা যাচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হওয়ার জন্য তারাই প্রাধান্য বেশি পাবেন যারা পূর্বে সংসদ সদস্য ছিলেন এবং বর্তমানেও নির্বাচনী এলাকাতে সে ইমেজ ধরে রেখেছেন। পাশাপাশি বিগত সময়ে রাজনীতিতে যাদের অবদান বেশি এবং আন্দোলনে সক্রিয় ছিল তারাও এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন। তবে রাজনীতিতে শেষ বলতে কিছু নেই। তাই আগামীতে নতুন মুখ দেখা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি আসনেও এমন সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেদিকে তাকাচ্ছেন না এখানকার বিএনপির নেতারা। তারা আপাতত নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিজেদের কাছে ভিড়ানোর চেষ্টা করছেন। সেজন্য তারা এখন থেকেই মাঠ ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। সবাই চাচ্ছেন নিজেদের দল ভারী করতে। তবে পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন দলের হাইকমান্ড। তাদের প্রত্যাশা, যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে সৎ এবং যোগ্য ব্যক্তিকেই আগামীতে এমপি পদে লড়াই করার সুযোগ দেওয়া হবে। বিপরীতে দলের হাইকমান্ডও চাইবে না এমন কোনো ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার, যার মাধ্যমে দলকে ঢুবতে হবে। বিএনপি এবার প্রত্যেকটি আসনও নিজেদের করে নেওয়া চেষ্টা চালাবে তা এখনই অনুমান করা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, কাজী মনিরুজ্জামান মনির তারা পছন্দের তালিকায় রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে এই আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে এই আসনের এমপি ছিলেন গোলাম দস্তগীর গাজী। নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে এমপি পদে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনসহ আরও কয়েকজন বিএনপি নেতা। যে আসনটি দীর্ঘদিন শাসন করে আসেছিলেন নজরুল ইসলাম বাবু। নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, সাবেক এমপি রেজাউল করিম। সোনারগাঁ পূর্বে নারায়ণগঞ্জের মধ্যে বিএনপির অন্যতম ঘাঁটি ছিল। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এমপি পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, ব্যবসায়ী শাহ আলম, ফতুল্লা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা। আগামীতে নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য আসনের তুলনায় এই আসনে সবচেয়ে বেশি জমজমাট লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ অন্যান্য আসনের চেয়ে এখানকার নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সবচেয়ে বেশি। আর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এমপি সম্ভাব্য পদে সাবেক এমপি আবুল কালাম, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান থেকে শুরু করে কয়েকজন বেশ আলোচনায় রয়েছেন। তবে আগামীতে লড়াই করার জন্য বিএনপির হাইকমান্ড কাকে নির্বাচনের টিকিট হাতে তুলে দেন তা সময় বলে দিবে। কিন্তু বর্তমানে তারা নির্বাচনের মাঠে নিজেদের আধিপত্য ও জনপ্রিয়তা দেখাতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯