ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। ইতোমধ্যে জেলার সাতটি থানায় এ সংক্রান্ত অর্ধশতাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশের মাধ্যমেও থানায় মামলা রুজু করা হচ্ছে। এসব মামলাগুলোর বাদীগণ ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা হলেও কার্যত মামলাগুলোতে আসামী করছেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের লোকজন। মামলায় আসামি করা হচ্ছে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের। ক্ষেত্রমতে বিএনপির নিজ দলের গ্রুপিং দ্বন্ধের জের ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদেরও আসামী করা হচ্ছে। মামলাগুলো দায়েরে এজাহার তৈরির বিষয়ে কাজ করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা, যারা বিএনপির শীর্ষ পদে রয়েছেন, একই সঙ্গে আইন পেশায় জড়িত। এর মূল লক্ষ্য হলো মোটা অংকের টাকায় আসামিদের জামিন ব্যবস্থা, তাদের পক্ষে তদবির, মামলা থেকে অব্যাহতির অযুহাতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া। আদালত সূত্রে, ইতোমধ্যে মামলাগুলো নিয়ে বাদীর হলফনামা বাণিজ্য শুরু হয়েছে। বাদী আসামীদের পক্ষে আদালত হলফনামা দাখিল করে দাবি করছেন ভুলবসত আসামীদের মামলায় আসামী করা হয়েছে। তাদেরকে যেনো গ্রেপ্তার হয়রানি না করে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়, সেজন্য বাদীর হলফনামা নথিভুক্ত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অবহিত করার আদেশ নেয়া হচ্ছে। এতে মামলাগুলো ত্রুটিপূর্ণ হচ্ছে। আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারাও এমন হলফনামা বাদীকে দিয়ে কোর্টে দাখিল করিয়েছেন। এর বিনিময়ে মামলার বাদী ও বিএনপিপন্থী বিশেষ পেশার ব্যক্তি, বিএনপি নেতারা আসামীদের কাছ থেকে পাচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। অধিকাংশ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে আছেন বিএনপির আইনজীবীরাই। আদালতসূত্র আরো বলছে, প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো মামলার বাদী কোর্টে এসে উপস্থিত হয়ে আসামীদের পক্ষে হলফনামা দাখিল করছেন। হলফনামা নথিভুক্ত করা ও আইওকে অবহিত করার আদেশ পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আসামীদের কোর্টে দাঁড়াতে হচ্ছে না। এই কর্মযজ্ঞের জন্য প্রতিদিনই আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য মাস্ক পড়ে কোর্টে এসে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও বিএনপির শীর্ষে নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেন দরবার করছেন। দেন দরবারে মিলমিশ হলে পরেরদিন বাদীকে কোর্টে দাঁড় করাচ্ছে বিএনপির পন্থী আইনজীবীরা। বাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে কেবল বিএনপির নেতাদের। তাই আসামীরা দৌড়াচ্ছেন বাদী ও বিএনপি নেতাদের পেছনে। কেউ কেউ বাদীদের ভিন্ন জেলা থেকে খুঁজে বের করে দেন দরবার করে কোর্টে হলফনামা দাখিল করাচ্ছেন। বাদী নিজে দাঁড়িয়ে কোর্টে তিনশো টাকার হলফনামাসহ বাদীর আইনজীবীর মাধ্যমে দরখাস্ত দাখিল করে দাবি করেন বাদীর মামলায় আসামীদের ভুলবসত আসামী করা হয়েছে, তাদেরকে বাদ দিতে আর্জি জানায়। আদালত বাদীর দাবি নথিভুক্ত করে তা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অবহিত করার আদেশ দেন। এই হলফনামা দাখিলের নামে আসামীপ্রতি বাদীকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করা হচ্ছে। মামলাগুলো ত্রুতিপূর্ণ হচ্ছে এভাবে। প্রতিটি মামলায় শত শত আসামী আছে। সেজন্য কোনো কোনো দিন বাদী ১০/১২ জন আসামীর পক্ষে পৃথক হলফনামা সহ দরখাস্তও দাখিল করে আদেশ নিচ্ছেন। অনেকেই জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডে একেবারেই যারা জড়িত থাকার সম্ভাবনা নেই, নিরীহ, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণে আসামী করা হয়েছিল সেইসব আসামীদের পক্ষে বাদী কোর্টে হলফনামা দাখিল করে নিরীহ লোকদের হয়রানি থেকে রক্ষা করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের পক্ষে হলফনামা দাখিল করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রায়হান জয়, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের পক্ষেও মোটা অংকের টাকায় বিনিময়ে বাদী কোর্টে হলফনামা দাখিল করেছেন সোনারগাঁও থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলায়। অথচ তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯