আজ শুক্রবার | ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ | রাত ১:৪৪

রূপগঞ্জে স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

ডান্ডিবার্তা | ০৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮:৪৭ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:

রূপগঞ্জ উপজেলার গর্ন্ধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মাসের পর মাস জলাবদ্ধতা থাকায় ৬৫০ শিক্ষার্থী খেলাধুলা করতে পারছে না। বিদ্যালয়ের চারপাশ উঁচু হওয়ায় বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে যায়। টানা বৃষ্টি হলে শ্রেণিকক্ষেও পানি ঢুকে যাচ্ছে। দুর্ভোগ নিয়েই ক্লাস করছেন শিক্ষকেরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্ন্ধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ আশপাশের পুরো এলাকা তলিয়ে যায়। কখনো বিদ্যালয় মাঠে কোমর সমান পানি আটকে থাকে। তখন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অর্ধেকেরও নিচে চলে আসে। সরেজমিনে গিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে দেখা গেছে, গর্ন্ধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হাটু সমান পানি। মাঠের পানিতে শেওলা ও ঘাসে একাকার হয়ে যাচ্ছে। ছোট ছোট মাছ দৌড়াদৌড়ি করছে। সরাসরি স্কুল গেইট দিয়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে যেতে পারছে না। এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যেতে হলে পানি মারিয়ে যেতে হচ্ছে। বিকেলে কেউ কেউ বড়শি দিয়ে মাঠ থেকে মাছ ধরে থাকে বলেও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মম জানায়। গন্ধর্বপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, প্রায় ১২ বছর ধরে বিদ্যালয়ের মাঠে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। বিদ্যালয়ের চারদিকে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট উচু থাকায় বছরের ৮ মাসই মাঠে জলাবদ্ধতা থাকে। জরুরীভাবে মাঠে বালু ভরাট করে উচু করা এবং শ্রেণিকক্ষের বারান্দায় পাকা ওয়াল নির্মাণ করা প্রয়োজন। প্রতিবারই বৃষ্টি হলে সেচ দিয়ে পানি সরানো হয়ে থাকে। তাছাড়া মাঠে জলাবদ্ধতা থাকায় মশার উপক্রম বেড়েছে। ডেঙ্গু আতংকে রয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার অভিভাবক মহল। বিষয়টি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পর তারা বিদ্যালয় পরিদর্শণ করেছেন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনের আশ^াস দিয়েছেন।  রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি হলেই গর্ন্ধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করে। বিদ্যালয়ের মাঠে মাসের পর মাস জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করা হয়েছে। পানি সেচ দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বলা হয়েছে। আপাতত শ্রেণিকক্ষে চলাচলের জন্য একটি অস্থায়ী যাতায়াত রাস্তা করা হবে। পরবর্তীতে সমস্যা স্থায়ী সমাধানের জন্য বিদ্যালয় মাঠে বালু ভরাট করা হবে।  ১৯৮৪ সালে ৯০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী অগ্রণী সেচ প্রকল্প-১ ও পরে ১৯৯৩ সালে ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে শীতলক্ষ্যার পূর্বপাড়ের ৫ হাজার হেক্টর জমি ঘিরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। সেচ প্রকল্প নির্মাণ হওয়ার কয়েক বছর পরেই এখানে শুরু হয় জলাবদ্ধতা। রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকোশলী মোর্শেদ উল আল আমিন জানান, বৃষ্টি হলেই গর্ন্ধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় দুর্ভোগ বেড়ে যায়। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধান করা হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৫৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:১৫
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২
  • ১১:৪৭
  • ১৫:৩৬
  • ১৭:১৫
  • ১৮:৩১
  • ৬:১৬
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা