ক্ষমতায় না এসেই ক্ষমতার স্বাধ!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ক্ষমতায় না আসতেই ক্ষমতার স্বাধ নিচ্ছে কতিপয় বিএনপি নেতা। ক্ষমতার স্বাধ নিয়ে দিয়ে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মামলা বাণিজ্যের কারণে অনেক সময় তারা নাজেহালও হচ্ছে। মারওখাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপির নাদধারী কিছু নেতা মামলা বাণিজ্য থেকে শুরু করে দখলবাজি, চাঁদাবাজিতে মেতে উঠে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ফোন করে চাঁদা বাবি করে। যা আওয়ামীলীগের নেতা বা সন্ত্রাসীরা করছে। সেই পথেই হাঁটছে বিএনপির কতিপয় নেতা। অর্থলোভী কতিপয় বিএনপি নেতা মনে করছেন তারা ক্ষমতায় এসে গেছেন। কিন্তু ক্ষমতায় না এসেই থানায় প্রভাব বিস্তার, বিভিন্ন সেক্টরে চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে। যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রীয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। গত সোমবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারকে রহমান একটি অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, যারা ভাবছেন আমরা ক্ষমতায় চলে এসেছি বা আসছি তা ভুল। মনে রাখতে হবে সামনের নির্বাচন কঠিন হবে। ইতিমধ্যে মামলা বাণিজ্যের কারণে বন্দরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গণপিটুনি খেয়েছে। নারায়ণগঞ্জ আদালতে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণপিটুনির শিকার হয়েছে। সম্প্রতি বন্দরে সেচ প্রকল্পে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ২ ইউনিয়নের বিএনপির ২ সভাপতি গণপিটুনিসহ তাদের পানিতে চুবিয়েছে। আবার দেখা গেছে তারাই ভাগাভাগি নিয়ে নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে। এদিকে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে মারখেয়ে এসে থানার ওসিকে প্রভাব বিস্তার করে অপরাধীরাই গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বাধ্য করেছে। বিএনপির ২ নেতাকে চাঁদাবাজি করতে যাওয়ায় গ্রামবাসী পানিতে চুবিয়েছে এ সংবাদ ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তবে এ বিষয়টি এখনো কেন্দ্র কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। প্রকল্পের সভাপতি আমানউল্লাহ জানান, আমাদের বৈধ ইরি সেচ প্রকল্পের সংস্কার কাজ চলাকালে মুছাপুর ইপি বিএনপির সভাপতি তারা মিয়া ও ধামগড় ইুপি বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় স্থানীয় মহিলা মেম্বারকে লাঝ্ছিত করায় গ্রামবাসী তাদের গণপিটুনি দিয়ে পানিতে চুবিয়েছে। তাদের এ সকল কর্মকান্ড দেখে অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন, এসকল অর্থলোভী, সন্ত্রাসী বিএনপির নামধারী নেতাদের কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। তা না হলে বিএনপিকে এর জন্য বড় ধরনের মাশুল দিতে হতে পারে। দীর্ঘ ১৫ বছরে বিএনপির নেতা কর্মীরা জেল জুলুম আর নির্যাতন সহ্য করে রাজপথে থেকে সাধারণ মানুষের যে আস্থা অর্জন করেছে তা অল্পদিনেই ম্লান করে দিচ্ছে বিএনপিকে ব্যবসার করে কতিপয় সন্ত্রাসী ও অর্থলোভীরা। শুধু তাই নয়, বন্দর ১নং খেয়াঘাটের চাঁদাবাজি করছে যুবদল নেতা। সে ২দিনে অটো, সিএনজি, ফুটপাতের দোকান থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার চাকা চাঁদাবাজি করছে। যা পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় তা নিয়ন্ত্রণ করত যুবলীগ নেতা খান মাসুদ। পট পরিবর্তনের পর এ ঘাট দখল করে যুবলীগ নেতা কাজী সোহাগ। এ ব্যপারে না প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা বলেন, আমরা তারেক জিয়ার নির্দেশে রাজনীতি করছি। কিন্তু কিছু নেতা আছে যারা বিএনপিকে পূঁজি করে ইতিমধ্যে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা নারায়ণগঞ্জের বৃহত্তম ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে বিপুল পরিমান টাকা চাঁদা নিয়ে পরে বর্তমান সরকারের চাপে তা ফেরৎ দিয়েছে। এতে বোঝা যায় তারা বিএনপিতে কতটুকু ভালবাসে। তাদের মিশন বিএনপির নাম ব্যবহার করে অর্থবিত্তের মালিক হওয়া। জনগণ কি ভাবছে তার দিকে নজর নেই। তাদের মিশন নিজেদের পতিপত্তি বানানো। তাদের কর্মকান্ড ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের লুটপাটের কাছে পৌছে গেছে। তারাও আওয়ামীলীগের মত লুটপাট আর দখল বানিজ্যে মেতে উঠেছে। আওয়ামীলীগ বিএনপিতে ঘায়েল করতে মামলা দিয়েছে কিন্তু বিএনপির কিছু নেতা আওয়ামলিীগের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার পাশাপাশি বিএনপি নেতাদের নামও ঐসকল মামলায় দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্টাসহ মামলা বাণিজ্য করেছে। এদের মুখোশ ইতিমধ্যে উন্মুচন হয়েছে। তাদের একনই সময় প্রত্যাহার করা। তা হলে সাধারণ মানুষের আস্থা আর বেশী বিএনপির প্রতি বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য জরুরী ভাবে দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান জরুরী।