আজ সোমবার | ৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২ পৌষ ১৪৩১ | ৫ রজব ১৪৪৬ | সকাল ৯:০৭

বিএনপির বহিস্কৃতরা সক্রিয়

ডান্ডিবার্তা | ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:২১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর রাজপথে দেখা গেছে বিএনপির প্রবীন নেতাদের। ইতোমধ্যে দীর্ঘদিন নিস্ক্রিয় থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতা আন্দোলনের হত্যা মামলা আসামীও হয়েছেন। এর পিছনে বিএনপির পদধারী নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন আসামী হওয়ার ওসব নেতারা। অন্যদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে তৎপরতায় মাঠে নেমেছেন একাধিক প্রবীন নেতা। পদবিহীন নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে মিছিল সভাতে দেখা যাচ্ছে তাদের। এর ফলে আসনগুলোতে নিজ দলের প্রতিপক্ষ হয়ে পড়েছে নিজেরা। ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকার পতন হয়েছে গত ৫ আগস্ট। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতা থাকায় এই রাজনীতি দলটি বর্তমানে নেতাকর্মী শূণ্য হয়ে পড়েছে। এদিকে হামলা মামলা নির্যাতন হয়রানী থেকে ভাগ্য পরিবর্তন শুরু হয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের ইসলামীর নেতাকর্মীদের। এতে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিএনপি আমলের সাবেক এমপি ও বর্তমানে এমপি প্রত্যাশিতরা। অন্তবর্তী সরকার আমলে বিএনপি সাবেক এমপি সংস্কারবাদী নেতা আতাউর রহমান আঙ্গুর ও অধ্যাপক রেজাউল করিম মাঠে নেমেছেন। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নিষ্ক্রিয় চারজন নেতা আবারো মাঠে নেমেছেন। বিএনপি এ সকল নেতাদের অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে দেখা গেলো বন্দরের চার নেতাকে। তারা হলেন, আতাউর রহমান মুকুল, সদস্য হান্নান সরকার, সুলতান আহম্মেদ ও গোলাম নবী মুরাদ। গত বছর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পরে তাদেরকে বিএনপি ব্যানারে মাঠে দেখা যায়নি। বরং তারা অনেকে বিএনপি রাজণীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর মাঠে নেমেছেন সাবেক এমপিরা। অধ্যাপক রেজাউল করিম, যিনি গত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতরই মাঠেই থাকেন না। শুধু মাত্র নির্বাচন আসলেই তিনি বেরিয়ে আসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চারদলীয় জোট সরকার আমলে রেজাউল করিমকে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। গত ২১ আগষ্ট আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে উঁকি দিয়েছেন এবার অধ্যাপক রেজাউল করিম। রাজনৈতিক মাঠে নেমেই উপজেলা বিএনপি’র পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে বিদ্রোহ সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বিরোধীরা একজোট হয়ে মান্নানকে ঠেকানোর মিশন নিয়েই অসুস্থ বৃদ্ধ রেজাউল করিমকে মাঠে নামিয়েছে। নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছেন কতিপয় নেতা, যারা মুলধারার বাহিরে গিয়ে এর আগে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে সোনারগাঁয়ে ঢুকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কাঁচপুর শিল্পাঞ্চলের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওই বিক্ষোভ মিছিলে অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমের পাশে ছিলেন শিল্পপতি কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, জেলা বিএনপির সদস্য শাহ আলম মুকুল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জেলা যুবদল নেতা হারুন-অর-রশিদ, উপজেলা যুবদলের আহŸায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহŸায়ক সালাউদ্দিন সালু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান শান্ত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাকারিয়া সালেহ স্বপন, থানা বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান, থানা যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক নূর-ই-ইয়াসিন নোবেল, যুগ্ম আহŸায়ক আশরাফ মোল্লা, আশরাফ প্রধান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন, যুগ্ম আহŸায়ক বিল্লাল হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহŸায়ক জাকারিয়া ভূঁইয়া, যুগ্ম আহŸায়ক সফিক ভূঁইয়া, আতিকুল ইসলাম লেলিন, শাহ জালাল আহম্মেদ, রবিউল প্রধান ও ফয়সাল প্রধান প্রমুখ। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনীতির গুরু ছিলেন প্রয়াত বিএনপি নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরু ও তারই ভাই সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর। খসরুর মৃত্যুর পর আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনীতিতে দূর দশা শুরু। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আড়াইহাজারে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে একটি কর্মসূচিও পালন করতে পারেনি তারা। অথচ সেখানে বিএনপির দুটি কার্যালয়। যার একটি প্রতিষ্ঠা করেছেন খসরু ও আরেকটি আঙ্গুর। দুটি কার্যালয়ের তালাও খুলতে পারেনি সেখানের বিএনপি নেতারা। বর্তমানে আড়াইহাজার বিএনপির কমিটি নিয়ন্ত্রনের লড়াইয়ে এখন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-অথনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন। সংস্কারবাদী নেতা হিসেবে সেখানে আঙ্গুর রয়েছেন নীরব। হঠাৎ ১০ অক্টোবর আড়াইহাজার বাজারে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনবারের সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর। তার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের দু:শাসন আমলে আমি মিথ্যা মামলা, হামলা সহ নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছি। নির্যাতনে জর্জরিত হয়েও আমি পিছ পা হইনি। আড়াইহাজার উপজেলায় বিএনপির হাল ধরে রেখেছি এবং স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সব ধরণের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর দেশে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় বিএনপির নব্য নেতারা প্রার্থী হওয়ার লালসায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ষড়যন্ত্রকারিরা ভুয়া একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে সেটি তার বলে অপপ্রচার করছে। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আন্দোলনের সময় তিনি আওয়ামীলীগের পক্ষ হয়ে কাজ করেছেন এমন মিথ্যা অপপ্রচারও করা হচ্ছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:২১
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৯
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:২৬
  • ১২:০৮
  • ১৫:৪৯
  • ১৭:২৯
  • ১৮:৪৮
  • ৬:৪২
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা