আজ বৃহস্পতিবার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ | দুপুর ১:৪০

বন্দরে পিছিয়ে পড়ছে সাখাওয়াতপন্থিরা

ডান্ডিবার্তা | ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে আবারো নয়া মোড় নিতে যাচ্ছে। এবার উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে বন্দরে টিপু, হিরণের দুর্গে হানা দিয়েছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক ও ২৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কায়সার আশা। গত ৫ ডিসেম্বর বিকেলে তিনি উপজেলা বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন ধামগড় ইউনিয়ন এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে একটি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে হয়ে গিয়ে ছিলেন যা নিয়ে ইতোমধ্যে বন্দরে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ওই সভায় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন সভায় সঞ্চালনা করেন। কিন্তু ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন না ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার। জানা গেছে, সবশেষ অনুষ্ঠিত বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে ছিলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা দুই বারের উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল। ওই নির্বাচনে মুকুলের বিরোধিতার মধ্য দিয়ে বন্দর উপজেলায় কালাম পরিবারের বিরোধিতা শুরু করে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ। সে সময় তারা মুকুলকে বেইমান আখ্যায়িত করে নির্বাচন মুকুলকে প্রত্যাখান করার আহŸান রাখেন দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি। আদতে হিরণ প্রত্যক্ষ ভাবে মুকুলের বিরোধিতা করলেও পরোক্ষভাবে জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি মাকসুদ হোসেনের সমর্থন করে যাচ্ছিলেন বিষয়টি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু করে। নির্বাচনে মুকুলের ব্যাপক ভরাডুবি হয়। এরপর থেকে মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর উপজেলা বিএনপি ও থানা বিএনপির নেতারা কালাম পরিবারের জোরালো বিরোধিতা করতে শুরু করে। এমনকি বন্দর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর উপর হামলার ঘটনায় আতাউর রহমান মুকুল ও আশাকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু ওই মামলায় সবার সাথে একাই লড়াই করে নারায়ণগঞ্জ নি¤œ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন আতাউর রহমান মুকুল ও আবুল কাউসার আশা। টিপুর উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর শাহেন শাহ আতাউর রহমান মুকুলকে কানা মুকুল বেইমান আখ্যায়িত করে মুকুল ও আশার হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার মত হুঁশিয়ারি দিয়ে ছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আবুল কায়সার আশা বিশাল শোডাউন দিয়ে সোনাকান্দা এলাকায় গিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সেখানে তিনি শাহেন শাহকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, আমরা এখন কি দেখতে পারছি, আওয়ামী লীগের জয়েন্ট করা অনেক লোক এখন নব্য বিএনপি লুটতরাজে আখড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনাগুলো নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বন্দরের এই (সোনাকান্দা) এলাকার এক নতুন দরবেশ বাবা আবির্ভাব হয়েছে। প্রথম ছিলেন জুত চোরা পরে হয়েছেন গরু চোর, বয়স বাড়ার সাথে সাথে বর্তমানে হয়েছেন লোহা চোর। বড় বড় কথা বলেন, সেই চাইলে নাকি সব কিছু করতে পারে। সোনাকান্দা মাটিতে এসে দাঁড়িয়েছি কিছু করতে পারলে করেন, সোজা হেটে যাবো। বিড়াল যারা বাঘের মুখোশ পড়ে হাঁটছেন, আপনারা মনে রাইখেন আমি শিকারি। এতো সহজে ছাড় দেয়া হবে না। কোন অন্যায়, কোন অত্যাচার, কোন জুলুম আমার কোন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছেন ফ্যাসিবাদী সরকার আমলে যেভাবে দোসর হিসেবে চলেছেন এখন সেভাবে করছেন। ঘরে ঘরে মামলা দিচ্ছেন আপনারা যদি না শুধরান শুধু দাঁত ভাঙা নয় হাত-পা ভাঙা জবাব দিবো। আমাদের পরিবার ও আমাদের বিরুদ্ধে আর কোন বাজে মন্তব্য আর কোন মামলা দিচ্ছেন, তাহলে আপনাকে দেখার আছে। রাজনীতিতে শিষ্টাচার থাকা অনেক জরুরি। রাজনীতিতে কোন মঞ্চ আছে, অশিক্ষিত মূর্খর মত কথা বলেন, আজকের মধ্যে এগুলো বন্ধ করেন। বিগত সরকার পুলিশ দিয়ে হামলা মামলা দিয়ে যেভাবে আমাদের হয়রানী করেছে আপনারা সেভাবে করছে। পুলিশকে ব্যবহার করে মামলা দিয়ে আমাদের সাথে লড়াই করতে চাচ্ছেন। ১৭ বছর লড়াই করেছি, প্রয়োজনে আরো ১৭ দিন লড়াই করবো। থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ এর এলাকায় আবুল কায়সার এমন হুঙ্কারের পর থেকে চুপসে গেছে সেই দরবেশ বাবা। গত বৃহস্পতিবার ধামগড় এলাকায় আবুল কায়সার আশার এমন প্রধান অতিথি হয়ে যাওয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে থানা বিএনপির নেতাদের পর এবার তাঁর টার্গেট উপজেলার নেতাদের জবাব দেয়া। ওই সভায় আশা বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে আমরা তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। গত ১৫ বছর যাবত এদেশের মানুষ পরাধীনতার মধ্যে রয়েছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করে। এখন স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি কাবিল হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হামজা, বন্দর উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খান, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি সিনিয়র সহ সভাপতি ডা. বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল হক ভুঁইয়া, বন্দর উপজেলা বিএনপি সদস্য ইসলাম, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি সহ সভাপতি ইয়াকুব মুন্সি, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম, মনা মেম্বার, ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি কাইয়ুম, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সাজে মোল্লা, মোস্তফা মেম্বার, ধামগড় ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোক্তার হোসনে, সাখাওয়াত উল্ল্যাহ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি ২নং ওয়ার্ডের সহ সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইলিয়াস, ধামগড় ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জামাল হোসেন,একই ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ সভাপতি জাহাঙ্গীরসহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আশার এমন বক্তব্য উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণকে উদ্দেশ্য করেই বলা। ইতোমধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য, জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এমন কি উপজেলার কমিটির বড় একটি অংশ তাদেরকে বয়কট করেছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০৯
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:১৫
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১০
  • ১১:৫৫
  • ১৫:৩৬
  • ১৭:১৫
  • ১৮:৩৪
  • ৬:৩০
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা