অটোরিক্সা চালক ইউনিয়নের কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে আজমির ওসমান বাহিনী

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ অটোরিক্সা চালক ইউনিয়ন (রেজি নং-ঢাকা-৩৫৬১)’র প্রায় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে আজমির সেমান বাহিনী সেলিম, জুলহাস, টয়লেট রিপন, আলাউদ্দিন পাঠান ও হযরত নামক ৫ দখলদার। এব্যপারে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-১, নারায়ণগঞ্জে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের থ্রি-হুইলার (বেবি-সিএনজি) শ্রমিকরা তাদের কষ্ট দুঃখ লাঘবে গত ২৫ জানুয়ারী ১৯৯৭ সালে অটোরিক্সা চালক ইউনিয়ণ নামে একটি ট্রেড ইউনিয়ণ গড়ে তোলেন। এ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মায়াময় রহিম ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক মোঃ আলী। সংগঠনটি সরকারী আইন মেনে ২০১০ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ভাবে চলমান থাকা অবস্থায় বিগত সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার মৃত একিন আলীর ছেলে মোঃ সেলিম, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পশ্চিম দেওভোগ পূর্ব নগর এলাকার মোঃ সাবেদ আলীর ছেলে মোঃ জুলহাস উদ্দিন, বন্দর খান বাড়ি এলাকর ঘর জামাতা নারী ও শিশু পাচারকারী মৃত জোহর আলীর ছেলে হযরত আলী ব্যপারী সংগঠনটির একাংশ দখল করে নেয়। অপর দিকে সদর থানার খানপুর এলাকার চান সরিফ সর্দারের ছেলে মোঃ রিপন সর্দার ওরফে টয়লেট রিপন, ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার আঃ ছোবহান পাঠানের ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন পাঠান একাংশ দখল করে নেয়। দুই গ্রুপই নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের পুত্র আজমেরী ওসমানের লোক বলে সকলেই জানে। বিগত ১৪ বছর অবৈধ ভাবে নারায়ণগঞ্জ অটোরিক্সা চালক ইউনিয়ন দখল করে লুটপাট, চাঁদাবজী, নির্যাতন, বাধ্য করে মিছিল মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়াসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যায়। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনে পর পালিয়ে যায় বিগত সরকারের দোষর সেলিম, জুলহাস, টয়লেট রিপন, আলাউদ্দিন পাঠান ও হযরত আলী। পালিয়ে যাওয়ার সময় কোন রকম কোন সদস্যদের কল্যান ফান্ডের টাকার হিসাব না দিয়ে ৯২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। বিগত সময়ে আজমেরী ওসমানের প্রভাবে সদস্যদের কোন হিসাব কিতাব প্রদান না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছে। পরে গত ২৩ আগষ্ট নারায়ণগঞ্জ অটোরিক্সা চালক ইউনিয়ণ (রেজি নং ঢাকা-৩৫৬১)’র একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটি সকল কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে দেখেন যে সংগঠনটির শ্রম, মৃত্যু ও কল্যান ফান্ডের প্রায় ৯২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা। এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ অটোরিক্সা চালক ইউনিয়নের সদস্যগণ তাদের বার বার হিসাব দিতে বল্লেও তারা হিসবা বা টাকা দিবেনা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে উল্টো হুমকি দেয়। পরে শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে গত ২১ নভেম্বর বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-১, নারায়ণগঞ্জে মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে তদন্তু করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন।