আজ রবিবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ | বিকাল ৪:১১

বেপরোয়া আ’লীগ আজ পথহারা!

ডান্ডিবার্তা | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে তোপের মুখে পড়ে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পরই দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এমপি থেকে শুরু করে বেপরোয়া আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছে। এর মধ্যে অনেক নেতৃবৃন্দ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও যারা দেশ ছাড়তে পারেননি তাদের অনেকেই ছাত্র জনতার রোষানাল থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে চলে গেছেন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সেলিনা হায়াত আইভী নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের হাল ধরার চেষ্টা করলেও সম্প্রতি তার আর হয়ে উঠেনি। তাই বেপরোয়া নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ আজ পথ হারা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাধারন ছাত্র ও জনতা নিহতের ঘটনায় একাধিক মামলার আসামি হয়ে তিনিও ফেরারী জীবন পার করছেন। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। এঅবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, দলের এ দুঃসময়ে কে ধরবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের হাল। সূত্রমতে, ছাত্র জনতা আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা সবাই গাঢাকা দিয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জেলা কিংবা মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কোনো নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে না। দুঃসময়ে দলের নেতাদের পাশে না পেয়ে ক্ষুব্ধ মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা। আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলেন, টানা ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। অথচ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার প্রভাবশালী নেতারা সবাই গাঢাকা দিয়েছেন। এতে দলের দুরবস্থার চিত্র প্রকট হয়ে উঠেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জান-মালের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতেও নারায়ণগঞ্জের নেতাদের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না সাধারণ নেতাকর্মীরা। সাধারন নেতাকর্মীরা সিনিয়র নেতাদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, দলের কঠিন পরিস্থিতিতে সামনে এগিয়ে এসে নেতাকর্মীদের সাহস জোগানোর মতো একজন নেতাও কি নেই? গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতারা সবাই আত্মগোপনে রয়েছেন। ক্ষমতায় থাকার সময় দলীয় কর্মসূচী পালনকালে নেতাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা লেগে থাকত, আর এখন দলের পক্ষে কথা বলার একজন নেতাও নেই। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, দলের সিনিয়র নেতারা তেমন কেউ দেশ ছেড়ে যেতে পারেননি। সবাই এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন। প্রভাবশালী নেতারা মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁদের কয়েকজন এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন। এতে তাঁরা ভয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলছেন না, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন না. আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আওয়ামী লীগের জেলার নেতারা কেউ প্রকাশ্যে আসেননি। জামায়াত, বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভয়ে তাঁরা মাঠে নামেননি। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে কোনো বিবৃতি বা ভিডিও বার্তা না দেওয়ায় নেতাদের সমালোচনা করেন সাধারন কর্মীরা। কর্মীরা বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী একটি দল। এই দলে এত এত নেতা, কেউ একটি বিবৃতি বা ভিডিও বার্তা দিতে পারলেন না। অথচ বিএনপি আত্মগোপনে থেকে প্রেস রিলিজ, ভিডিও বার্তা নিয়মিত দিতেন। জেলার প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে অনেকেই এখন মুখ খুলছেন। বিশেষ করে নেতাদের সমালোচনা করে ফেসবুকে অনেকে পোস্ট দিচ্ছেন। নেতাকর্মীরা তাঁদের সঙ্গে ঘটা নানা অন্যায়-অবিচারের কথাও প্রকাশ করছেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জেলার একাধিক নেতা বলেন, ‘নেতাকর্মীদের অভিযোগ তো আর মিথ্যা নয়। আমাদের তো দোষত্রুটি আছেই। তবে এখন এগুলো বলে নিজেদের মধ্যে বিভক্তির সময় নয়। আমরা আসলে প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় নিচ্ছি। অতীতেও জেল-জুলুম খেটেছি। এগুলোর জন্য ভয় পাই না। তবে মাঠে নামার আগে নিজেদের তো কিছুটা আলাপ করে নিতে হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:১৪
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:১৯
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১১
  • ১১:৫৯
  • ১৫:৪০
  • ১৭:১৯
  • ১৮:৩৮
  • ৬:৩৬
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা