ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আওতাধীন ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতি এখন টালমাটাল অবস্থা। কোনোভাবেই শৃঙ্খলা ফিরছেনা ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতিতে। থানা বিএনপির প্রথম সারির শীর্ষ ৫ নেতা দুই ভাগে বিভক্তি হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই বলে যাচ্ছেন। গত ৫ আগস্টের পর থানা বিএনপির শীর্ষ নেতারা দুই গ্রæপ বিভক্ত হয়ে যান। এরি মাঝে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির পাল্টাপাল্টি র্যালী বের করা নিয়ে দুই গ্রæপের অনুসারীদের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে গেল। এই যখন অবস্থা তখন জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন নীরব ভুমিকা পালন করছেন সমস্যা নিরসনে। যদিও আকারে ইঙ্গিতে গিয়াসউদ্দীনের বক্তব্যে স্পষ্ট তিনি ফতুল্লা থানা বিএনপির একটি পক্ষের পক্ষ নিয়েছেন। থানা বিএনপির শীর্ষ তিন নেতাকে টোকাই আখ্যায়িত করেছেন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ওইপক্ষের নেতারা আবার তাকে ‘পাগল’ সাব্যস্ত করে যাচ্ছেন। নিজ দলের নেতাদের মাঝে কাদাছোড়াছুড়ি দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে থানা বিএনপির এই বিরোধ। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় র্যালী সফল করার লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফতুল্লা এলাকায় ফতুল্লা থানা বিএনপির একাংশের প্রস্তুতিমুলক সভায় থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল বারী ভুঁইয়া পাগল সাব্যস্ত করেছেন অপর অংশের নেতারা। যদিও এর অনেক আগেও তারা বারী ভুঁইয়া পাগল ও বয়স্ক প্রতিবন্ধি আখ্যায়িত করেছিলেন। প্রস্তুতিমুলক সভায় আব্দুল বারী ভুঁইয়াকে উদ্দেশ্য করে থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার তার বক্তব্যে বলেন, কোর্টচত্ত¡রের সামনের সমাবেশে বারী ভুঁইয়া যে ধরণের বক্তব্য রেখেছেন তা নিয়ে অনেক সাংবাদিকরা আমাদের প্রশ্ন রেখেছেন। আমরা বলেছি জিয়াউর রহমানের আদর্শে রাজনীতি করি, দলকে ভালোবাসি। সেদিন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ বহন করে বারী ভুঁইয়া জনসম্মুখে বাজে বক্তব্য রেখেছেন, আমরা চাইলে পরের দিনই তার কঠোর প্রতিবাদ জানাতে পারতাম। কিন্তু দলের কাছে কমিটমেন্ট থাকায় তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করিনি। আজকে প্রস্তুতিসভার মাধ্যমে বলতে চাই যে, বারী ভুঁইয়া কখনই রাজপথ থেকে ওঠে আসেননি। তিনি একজন সিনিয়র আইনজীবী। আমি ৯৭ সাল থেকে মামলার আসামী হই, তিনি যে বিএনপির আইনজীবী সেটা আমি জানতেই পারিনি। তাই তাকে বলবো আপনি যাদের ব্যাপারে কথা বলেছেন, গত কুরবানীর ঈদের দ্বিতীয় দিন রিয়াদ চৌধুরীকে ফোন করে বারী ভুঁইয়া জানালো তাকে মারধর করা হয়েছে। সেই মামলার ব্যাপারে সর্বপ্রকার সহযোগীতা করেছে রিয়াদ চৌধুরী। তাই বলবো, আপনি বারী ভুঁইয়া সিনিয়র মানুষ, আপনার চুল পাকা, দাড়ি পাকা, বয়সের ভারসম্যে আজকে আইনজীবীরাও বলছে আপনি পাগল, পাগল যদি হোন পাগলাগারদে থাকবেন। কিন্তু রাজপথের নির্যাতিত নিপীড়িত ত্যাগী জনপ্রিয় নেতাদের নিয়ে বাজে বক্তব্য দিবেন না। শহিদুল ইসলাম টিটু ও রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বেই ফতুল্লা থানা বিএনপির মুলধারা পরিচালিত হচ্ছে, এর বাহিরে আরো ফতুল্লা থানা বিএনপি নাই। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্ট সংলগ্ন এলাকায় ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদারকে টোকাই আখ্যায়িত করেন আব্দুল বারী ভুঁইয়া। একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের রেফারেন্স টেনে আব্দুল বারী ভুঁইয়া সেদিন বলেছিলেন, আজকে একটি পত্রিকা শিরোনাম করেছে যে, ফতুল্লা থানা বিএনপির একটি অংশ নাকি এই অনুষ্ঠান বর্জন করেছে? আরে ভাই বর্জন করবেন কি? চাঁদাবাজি ও দখলবাজির কারনে আপনাদেরকে তো আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে। আপনাদেরকে আমরাই বর্জন করেছি। আমরা যদি আপনাদের কাছে দাওয়াত নিয়ে যেতাম তাহলে বর্জন হতো। আপনাদের চাঁদাবাজি, দখলবাজি সন্ত্রাসীর কারনে ফতুল্লা থানা বিএনপি আপনাদের প্রত্যাখান করেছে, বর্জন করেছে। আপনাদেরকে ফতুল্লার জনগণ টোকাই হিসেবে চিনে। টোকাইদের ফতুল্লার রাজনীতিতে আর কোনো দরকার নাই। এই টোকাইরা ফতুল্লার রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে না। ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহামুদ পলাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার সহ তাদের অনুগামীরা। এর আগে গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বাসভবনে এক আলোচনা সভায় শহিদুল ইসলাম টিটু বারী ভূঁইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, কিছুদিন যাবত আরেকটি থানা বিএনপির ব্যানারে অনুষ্ঠান করে আসছে। আমি এটি চাইনি। আসুন একসাথে রাজনীতি করি। থানা বিএনপিকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, ইদানিং একটি মহল কাঁদা ছোড়াছুড়ি করছে। আমি ৭ আগস্ট জেল থেকে বের হয়ে শুনি ৬ আগস্ট রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে বেআইনিভাবে বহিস্কারের চিঠি ইস্যূ করেছেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভুঁইয়া ও সহ-সভাপতি সুলতান মাহামুদ মোল্লা। পরের দিন আমি মিডিয়াতে মৌখিকভাবে এবং লিখিতভাবে বিবৃতি দিয়ে আমার মতামত প্রকাশ করেছি যে, এভাবে বহিষ্কার করা যায়না, কেউ বহিস্কার হয়না। যেমন গতকালকেও বারী সাহেব বলেছেন, ‘আমরা সবাই মিলে বহিষ্কার করেছি!’ সবাই মিলে কি বহিষ্কার হয় নাকি? বারী সাহেব বললেন, ‘আমরা সবাই মিলে রিয়াদ চৌধুরীকে বহিষ্কার করলাম, আর উনি না জেনে, না শুনে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করলেন।’ আমার মতামত হলো রিয়াদ চৌধুরীকে বহিষ্কার করার বা এখতিয়ার থানা কমিটির নাই। থানা কমিটির কাউকে বহিস্কার করতে হলে জেলা কমিটি করবে, তাও কেন্দ্রকে অবগত করে। সেদিনও বলেছি বহিষ্কার হয়নাই, লিখিতভাবে মৌখিকভাবেও বলেছি থানা কমিটি কাউকে বহিষ্কার করতে পারে না। জেলা কমিটির সভাপতিকে ফোন করেছি তিনি ধরেননি, হয়তো বিজি ছিলেন, সেক্রেটারিকে ফোন করেছি তিনি বলেছেন তিনি জানেন না। কেন্দ্রের সাথেও কথা হয়েছে তারাও জানেন না। এখন কথায় আছে ‘পাগলে কি না কয়, আর ছাগলে কি না খায়। এরকমটা আর কি। এখন তো বলছে আমাকেও নাকি বহিষ্কার করে দিবে। তিনি বারীকে হুশিয়ার করে বলেছিলেন, হুশিয়ার করে বলতে চাই, বিগত আন্দোলন সংগ্রামে ৭ জানুয়ারীর আগে আপনাদের একটি বছরও রাজপথে দেখা যায়নি। আমি জেলা যুবদলের সভাপতি ছিলাম, রতন ভাই সহ বেশকজন ছিল, বাকিরা রাজপথে ছিলেন না। আমাদের নেতা গিয়াস সাহেব নেতৃত্বে আসার পর তখন তারা ইঁদুরের গর্ত থেকে বের হলো। গিয়াস সাহেব তাদেরকে নেতা বানালো। এই আন্দোলনে দুএকটি মামলায় বারী সাহেব আসামী। আমাদের বিরুদ্ধে ৫০টা, ৬০টা করে মামলা। জেল খেটেছি বহুবার। ২৪ জুলাই এবারো ধানমন্ডি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। ৭ আগস্ট মুক্তি পাই। চোখে গুলি খাওয়ার আগেও জেল খেটেছি। কোথাও থেকে উড়ে এসে আমি সভাপতি হই নাই। ইউনিয়ন থেকে থানা, থানা থেকে জেলা এভাবে আজকের মুলদলের সভাপতি হয়েছি। আপনি বলছেন কুতুবপুরের বাড়ি কিভাবে হলো? দুদকের তদন্ত চাইলেন। আমার বাড়ি একটি নয়, আমার একাধিক বাড়ি আছে, ১০টি গাড়ি ছিল বিক্রি করে রাজনীতি করেছি। আাপনারা উড়ে এসে জুড়ে বসে নেতা হইছেন, আমাদের নেতা গিয়াস সাহেব পদ দিছেন বলে এগুলো বলতে পারছেন। বারী সাহেব আপনি যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন আমার তো মনে হয় আপনি ৩২ ডিগ্রি হয়ে গেছেন। বিএনপিতো এখনো ক্ষমতায় আসেনি। সামনে নির্বাচন করতে হবে, তাই সুস্থ সুন্দর মাথা নিয়ে কথা বলুন। রিয়াদ চৌধরী প্রমাণ দিয়েছেন আপনি মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানির চেষ্টা করেছেন। বারী ভুঁইয়ার সম্পর্কে টিটু আরো বলেন, ক’দিন আগে আমাকে বারী সাহেব ফোন করে বলতেছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের সাথে কথা বলবেন। আমি বললাম আমি জানি বিষয়টি, সেটা হলো তারেক রহমান আমাদের সাথে কথা বলবেন না, তিনি জেলা কমিটির নেতাদের দিকনির্দেশনা দিবেন সেটা আমাদের অবগত করার জন্য আমি বাহিরে থাকায় সেদিন যেতে পারিনি। কিন্তু আপনি বারবার মাঝে মধ্যে পাগলের মত আপনার এই অবস্থা হইয়া যায়, আমি জানি না। যাইহোক আপনার বয়স হয়েছে। বহিষ্কার বহিষ্কার এগুলো বইলেন না। থানার নেতাকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা থানার নেতাদের হাতে নাই। একই অনুষ্ঠানে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বারী ভূঁইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম সহ্য করতে না পেরে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। অনেকের বয়স হলে যেটা হয়, বয়স্ক প্রতিবন্ধি হয়ে যায়। আমরা কারো ব্যাপারে বলতে চাইনা, কারন আমরা সেই শিক্ষা নেইনি। কারো বিরুদ্ধে কথা বলা সহজ, কিন্তু বাস্তবতা কঠিন। যার যার মরতে হবে, সবারই বয়স হয়েছে। যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত। আপনি যে ভাষায় কথা বলেন সে ভাষায় আমরা কথা বললে অনেকের জামা কাপড় ঠিক থাকবে না। আমরা চাইনা সেটা, আপনি মুরুব্বী মানুষ, এডভোকেট সাহেব। আন্দোলন সংগ্রাম কতটুকু করেছেন, কমিটিতে কিভাবে এসেছেন, আপনি আমাকে ফোন করে কি আবদার করেছেন, সেগুলো বলতে চাইনা। ৫ আগস্টের পূর্বে আপানার কি অবদান ছিল সবাই জানে। আপনি যখন দেখেন দল ক্ষমতায় তখনি আপনার চেহারা দেখা যায়। চেহারা রূপ চেঞ্জ হইয়া যায়, এটা আমরা দেখে আসছি। আমরাতো আপনাকে চিনি। আমি বলবো আপনি সহনশীল হোন। আপনি যেভাবে মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছেন সেটা মানায় না। গত ২৫ আগস্ট মামুন নামের এক লোককে দিয়ে মামলার কাগজ দিয়ে থানায় পাঠাইছেন আপনি। দলের নেতার্মীদের আসামী করে মামলা করতে পাঠাইছেন, আমরা জানতে পেরে থানায় গিয়ে নেতাকর্মীদের পদপদবী ছবিসহ প্রমাণ দেখালাম। কিন্তু গতকাল বিষয়টিকে ভিন্ন দিকে নেয়ার জন্য আপনি নিজে বাঁচার জন্য বক্তব্য দিয়েছেন। তবে নেতাকর্মীরা জেনে গেছে আপনি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা করতে কাগজ থানায় পাঠাইছেন। আপনি ২০০১ সালে বিএনপির ক্ষমতার আমলেও ব্যক্তি বিশেষের রাজনীতি করেছেন, আপনি কখনো দলের কাজ করেন না। সিন্ডিকেট করে আমাকে ও সেন্টুকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। সেন্টুকে কোর্ট থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। হত্যার রাজনীতি, নোংরা রাজনীতি আপনাদের ইতিহাস। এখনতো বারী সাহেব আপনার কিছু করার নাই। আপনি মিথ্যা কথা বলেন, আপনার বক্তব্যের ধরণ এটা জুনিয়রদের মানায়, আপনি তো শীতলক্ষ্যা বুড়িগঙ্গা নদী এক করে ফেলতাছেন। ঠিক আছে বারী সাহেব আপনি শ্রদ্ধেয় মানুষ, বয়স হয়েছে। আপনি ফোন কইরা কান্নাকাটি করছিলেন আমি তা বলি নাই। কান্নাকাটি কইরা বলছিলেন আমি বুড়ো মানুষ, মইরা যাইমু, আমি সেক্রেটারি হই। আমি সরে গেলাম। রুহুল আমিনের কাছেও ফোন কইরা কান্নাকাটি করছিলেন। টিটু সাহেবের কাছেও কান্নাকাটি করছিলেন, কিন্তু সেটা প্রকাশ্যে বলমুনা। আল্লাহ আপনার হেদায়েত দান করুক। এর আগের দিন ২৬ আগস্ট মঙ্গলবার ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে বন্যার্তদের জন্য সহায়তার লক্ষ্যে থানা বিএনপির ব্যানারে আলোচনা সভায় অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়া বলেছেন, বহিস্কৃত নেতার নাম মুখে নিতে কি লজ্জা পান? ভাশুরের নাম মুখে নিতে লজ্জা কিসের? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে বিএনপির অবদান ছিল, ছাত্রদল যুবদল সহ অন্যান্য অঙ্গ সহয়োগী সংগঠনের অবদান আছে। কিন্তু সেই অবদানকে অ¤øান করার জন্য মীর সোহেলের দোসর ফতুল্লা থানা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর নিদের্শনায় আমাদের দলের এখন পর্যন্ত ১৬জন নেতাকর্মীকে মামলায় আসামী করা হয়েছে, যেসব ঘটনা আওয়ামীলীগের দৃষ্কৃতকারীরা ঘটিয়েছে সেইসব মামলায়। অথচ মীর সোহেল ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তেলচোর ভুমিদস্যূদের বেধে রেখে চাঁদা আদায় করছে রিয়াদ চৌধুরী। রিয়াদ চৌধুরী থানায় মামলা করতে এসেছে, তার লোকজন নিয়া মামলা করতে আসে। জেলা পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ্য করে বারী ভুঁইয়া বলেছিলেন, ‘আপনি রিয়াদ চৌধুরীর কথায় মামলা নিচ্ছেন? রিয়াদ চৌধুরী কি আপনাকে বাঁচাতে পারবে? বাঁচাতে পারবে না। রিয়াদ চৌধুরীর ভরসা একজন অতিরিক্তি সচিব। আরে ভাই দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশ ছােইয়া দৌড়ে পালায় সেদেশে একজন অতিরিক্তি সচিবের উপর ভরসা কইরা চললে কি হইবো? এ সচিবই বরখাস্ত হইয়া যাইতে পারে।’ বারী ভুঁইয়া রিয়াদ চৌধুরীকে নিয়ে আরো বলেন, রিয়াদ চৌধুরী ফতুল্লা থানা এলাকাকে তামা কইরা ফালাইছে। আমরা বাধ্য হইয়া তাকে বহিস্কার করেছি। এ প্রসঙ্গে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে নিয়ে বারী ভুঁইয়া বলেছিলেন, আমাদের আরেকজন আছেন কুতুবপুরের নেতা। তিনিও তাদের মতই। তার কোনো পেশা নাই। তিনি রাজপ্রাসাদ বানিয়েছেন। সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা লিখবেন, তিনি এই রাজপ্রাসাদে তৈরি করেছেন কি দিয়ে? সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে অনুরোধ করবো , উনার কোনো পেশা নাই, কোনো আয়ের উৎস নাই, এই রাজপ্রাসাদের ব্যয় কত? এর ব্যয় কত? তিনি কত টাকা খরচ করে এই রাজপ্রাসাদ নির্মাণ করেছেন। টিটুকে দোষারোপ করে বারী ভুঁইয়া আরো বলেছিলেন, আমরা সবাই মিলে রিয়াদ চৌধুরীকে বহিষ্কার করলাম। উনি আইসা প্রত্যাহার করলেন! এইডা কি হইলো ভাই? আইন তো মানুষের জন্যই, মানুষের উপকারের জন্যই আইন। আমরা সকলের সম্মতিতে রিয়াদ চৌধুরীকে বহিষ্কার করেছি, উনি একটা কাগজ দেখাইয়া বললেন আমি তার বহিষ্কার প্রত্যাহার করলাম। আরে মিয়া তুমি নিজেই বহিষ্কার হইয়া যাইবা, প্রস্তুত থাকো। থানা বিএনপি মুলধারার নেতৃত্বের মাধ্যমে চলবে। কোনো চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ আমাদের পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে মরে যাবে, তাদের দিয়ে থানা বিএনপি চলবে না। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট রিয়াদ চৌধুরীকে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি ঘোষণা করেন থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহামুদ মোল্লা ও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়া। এরপর ৭ আগস্ট থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু সংবাদ সম্মেলন করে জানান, থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদককে থানা কমিটির নেতারা বহিষ্কার কিংবা অব্যাহিত দেয়ার এখতিয়ার রাখেন না। বারী ও সুলতানা মাহামুদ নিজেরাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে দাবি করেছেন টিটু। তিনি জানান রিয়াদ চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বহাল রয়েছেন।
হাবিবুর রহমান বাদল স্বৈরাচারী সরকারের পতনের চার মাস পূর্তি ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। জুলাই বিপ্লবের মুল আকাংখা ছিল পরিবর্তন। সাধারন মানুষের সামনে অন্তর্বর্তিকালিন সরকার তেমন সাফল্য তুলে ধরতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবে রাজনৈতিক দলগুলির চাইতে ছাত্র-জনতার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহ ছিল সব চেয়ে বেশী। তবে রাজনৈতিক দলগুলির অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই বিপ্লবকে সমর্থন জানিয়ে […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯