ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
একে একে ভারত বন্ধু হারা হয়ে পড়ছে। ভরতের লাগামহীন মিথ্যচারের কারনে বাংলাদেশের সাথে ভারতে বর্তমান সম্পর্ক ভাল নেই। ইতিমধ্যে ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে আমেরিকা ও করল সুইজারল্যান্ড। এদিকে ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই)। অপরদিকে ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ (এমএফএন) স্ট্যাটাস বাতিল করেছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। এছাড়াও নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, চীন ও মালদ্বীপের সাথে ভারতের সম্পর্ক ভাল নেই। তবে আগে থেকেই পাকিস্তানের সাথে ভারতের বৈরী সম্পর্ক। এবার নতুন করে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মিথ্যাচারে সম্পর্কের টানাপোড়ন চলছে। মুদ্দা কথা ভারত একে একে বন্ধু হারা হয়ে উঠছে। আর ভারতও নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে। গত শুক্রবার ভারতের লোকসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেশটির পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানে উঠে এসেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিও। জয়শঙ্কর বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাÐের অংশীদারত্ব রয়েছে। তবে সেখানে স¤প্রতি উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশের পরিবর্তিত ব্যবস্থার সঙ্গে আমরা পারস্পরিক উপকারী এবং স্থিতিশীল সম্পর্কে আসতে পারব। ’বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে উদ্বেগ জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। তিনি জানান, সা¤প্রতিক ক‚টনৈতিক তৎপরতা, বিশেষ করে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের ঢাকা সফরের সময়েও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা যে, নিজেদের স্বার্থেই বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। ’এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের অবস্থা তুলে ধরেন। বিশেষ করে প্রতিবেশী অঞ্চলে ভারতের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে অবগত করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীন ছাড়া আমাদের প্রতিবেশী প্রায় প্রতিটি দেশেই আমরা গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই। ’তিনি বলেন, ‘এখানে পরিপক্ব আচরণ করা জরুরি। আমাদের প্রতিবেশী দেশেরও নিজস্ব রাজনীতি আছে। এটা স্বাভাবিক যে সেখানে উত্থান-পতন হবে। আমাদের লক্ষ্য স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং সহযোগিতা বাড়ানো। এদিকে ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ (এমএফএন) স্ট্যাটাস বাতিল করেছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডের এমএফএন বাতিলের পদক্ষেপটি ভারতের পণ্য রফতানি ও দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মত অর্থনীতি বিশ্লেষকদের। তারা জানিয়েছেন, এমএফএন বাতিলের কারণে সুইজারল্যান্ডে কর্মরত ভারতীয় কোম্পানিগুলির ওপর উচ্চ কর আরোপ করা হতে পারে। এতে দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা তাদের। গত ১১ ডিসেম্বর প্রকাশিত সুইস অর্থ বিভাগের এক বিবৃতি অনুসারে, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের গত বছরের এক রায় অনুসরণ করে এমএফএন বাতিলের পদক্ষেপটি নিয়েছে সুইজারল্যান্ড। সেসময় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি নেসলের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানান, দ্বৈত কর নিরসন চুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারতে কার্যকর হবে না। এ রায় অনুসরণ করেই ভারত কর ছাড় না দেওয়ায় কঠোর হলো সুইজারল্যান্ড। মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) ধারা অনুযায়ী, ভারত ও কোনো তৃতীয় অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট দেশের মধ্যে লভ্যাংশ, সুদ, রয়্যালটি বা প্রযুক্তি সেবার ফি-র ওপর কম করের হার প্রযোজ্য হলে, তা সুইজারল্যান্ড ও ভারতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। কলম্বিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে কর চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। যার ফলে নির্দিষ্ট ধরনের আয়ের ওপর কর হার নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা ওইসিডি দেশগুলিকে প্রদত্ত হারের চেয়ে কম ছিল। পরে দুটি দেশ ওইসিডি-তে যোগ দেয়। এর আগে ২০২১ সালে সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য উৎসে কর হার ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল। কিন্তু এমএফএন স্ট্যাটাস বাতিল করার পর আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য উৎসে কর হার আবারও ১০ শতাংশ হবে। সুইস ফাইন্যান্স বিভাগের ব্যাখ্যা, কলম্বিয়া এবং লিথুয়ানিয়া ওইসিডি-তে যোগদানের অর্থ হল এমএফএন ধারার অধীনে ভারত-সুইজারল্যান্ড কর চুক্তিতে বর্ণিত ১০ শতাংশের পরিবর্তে লভ্যাংশের জন্য ৫ শতাংশ হার প্রযোজ্য হবে। সুইস কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে নাঙ্গিয়া অ্যান্ডারসেনের এম অ্যান্ড এ ট্যাক্স পার্টনার সন্দীপ ঝুনঝুনওয়ালা বলেন, ভারতের সঙ্গে তাদের কর চুক্তির অধীনে এমএফএন ধারা প্রয়োগের একতরফা স্থগিতাদেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তির গতিশীলতার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। এই স্থগিতাদেশ সুইজারল্যান্ডে কর্মরত ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য কর দায় বাড়াবে। যা একটি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক কর চুক্তিগুলি নেভিগেট করার জটিলতাগুলিকে তুলে ধরে। উল্লেখ্য, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুসারে, একটি দেশ যদি অন্য কোনও দেশকে এমএফএন মর্যাদা দেয়, তাহলে সেই দেশের প্রতি শুল্ক ও বাণিজ্যনীতি সম্পর্কিত বিশেষ সুবিধা প্রদান করতে হয়। এতদিন সুইজারল্যান্ড ভারতকে এই সুবিধা দিয়ে আসছিল। অপরদিকে ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই)। এটি এমন একটি তালিকা, যেখানে উল্লেখিত দেশগুলো প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সহযোগিতা করে না বলে মনে করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এ তালিকায় ভারত ছাড়া রয়েছে ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া এবং ভেনেজুয়েলা। আইসিই জানিয়েছে, এই দেশগুলো সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সময়মতো ভ্রমণ নথি ইস্যু এবং নির্ধারিত ফ্লাইটে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হতে হলে শেক হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে দাবি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে সেটি তাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে ভারতকে খুনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দিয়ে ফেরত দিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ তার বিচার করবে। তিনি বলেন, গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের শাস্তির বদলে বদলি করে নতুন পোস্টিংয়ের তদবির চলছে। মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত। শেখ মুজিব হত্যার বিচারের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের প্রয়োজন না হলে জুলাই-আগস্টের শহীদদের মরদেহ কেন তুলতে হবে? আর কোনো শহীদের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। এদিকে বিভিন্ন দেশের সাথে ভারতের বৈরী সম্পর্কের কারণে বেকায়দায় পড়েছে ভারত। এবার ভারতের জনগণ বর্তমান মুদি সরকারের প্রতি ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈদিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন বাংলাদেশের মত ভারতে যে কোন সময় গণঅভ্যূত্থান ঘটতে পারে।
হাবিবুর রহমান বাদল স্বৈরাচারী সরকারের পতনের চার মাস পূর্তি ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। জুলাই বিপ্লবের মুল আকাংখা ছিল পরিবর্তন। সাধারন মানুষের সামনে অন্তর্বর্তিকালিন সরকার তেমন সাফল্য তুলে ধরতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবে রাজনৈতিক দলগুলির চাইতে ছাত্র-জনতার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহ ছিল সব চেয়ে বেশী। তবে রাজনৈতিক দলগুলির অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই বিপ্লবকে সমর্থন জানিয়ে […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯