আজ রবিবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ | বিকাল ৪:৩১

বিএনপি নেতাদের ব্যর্থতা বাড়ছে

ডান্ডিবার্তা | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৪:২০ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতাদের নানা ব্যর্থতার কারনে দিশে হারা তৃনর্মল কর্মীরা হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর লাগামহীন বিএনপির নেতাকর্মীদের লাগাম টেনে ধরার মত নেতা নেই। এখানে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দায়িত্বশীল নেতারাও বিতর্কিত কর্মকাÐে জড়িয়ে পড়েছেন। দিনকে দিন নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে জনগণের মুখোমুখী দাঁড় করানো হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, গত ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা যেসব কর্মকান্ড করেছেন তাতে তাদের প্রতি অনেকে মুখ পিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, যখন তৈমূর আলম খন্দকার জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন তখন তার প্রভাব দাপট ও জনপ্রিয়তা ছিল জেলা জুড়ে। জেলার সাতটি থানা এলাকায় তৈমূর আলম খন্দকারের নেতাকর্মী ছিল। যে কোনো এলাকায় তৈমূর আলম খন্দকার কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি গিয়াসউদ্দীন তার নিজ থানা সিদ্ধিরগঞ্জের বাহিরে যেতে পারছেন না। এমনকি তার নিজ প্রত্যাশীয় আসন এলাকার অংশ ফতুল্লা থানা এলাকাতেও প্রভাব বিস্তার করতে পারছেন না। গিয়াস সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা নিয়েই পড়ে আছেন। জেলার অন্যান্য থানা এলাকায় তার কোনো পদচারণা নেই। অথচ তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়ার কর্মী। গোলাম ফারুক খোকন ছিলেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। এর আগে ছিলেন তিনি মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। গোলাম ফারুক খোকনের রাজনীতি মুড়াপাড়াতেই সীমাবদ্ধ। অথচ তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক! অথচ তৈমূর আলম খন্দকার ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর জেলা বিএনপির সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে পুরো জেলা চষে বেরিয়েছেন। সোনারগাঁও, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, ফতুল্লা, বন্দর, সদর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় তিনি কর্মসূচি পালন করেছেন। এর আগে তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মহানগর বিএনপির আহŸায়ক ছিলেন। এদিকে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সাখাওয়াত ও সদস্য সচিব টিপু মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। কারন হিসেবে অনেকে বলছেন, তাদের পূর্বপুরুষদের স্থানীয় ঠিকানা নারায়ণগঞ্জে না থাকায় তাদের নেতৃত্ব মানতে নারাজ বিএনপির নেতাকর্মীরা। যে কারনে মহানগরীর রাজনীতির চেয়ে তারা কোর্টপাড়ার রাজনীতিতে পড়ে থাকছেন বেশি। শহরে দু’একটি কর্মসূচি পালন করতে পারলেও বন্দরে তাদের তেমন একটা প্রভাব নেই। তাদের বিরোধীতা করে মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী গ্রæপের নেতারা পৃথকভাবে কর্মসুচি পালন করছেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর বন্দর নবীগঞ্জে নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন টিপু। এদিকে বিএনপিতে ফিরতে চাচ্ছেন তৈমূর। তাই তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন এবং প্রতিবাদ করে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তৈমূর। গত জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনেও সমর্থন জুগিয়েছেন তৈমূর আলম। তিনি আন্দোলনের পক্ষে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে উজ্জীবিত করেছেন। নিহত শিশুদের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন। ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। চট্টগ্রামে ইসকনের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আইনজীবী আলিফ হত্যার বিচার দাবি ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ‘ভয়েস অব ল’ইয়ারর্স অব বাংলাদেশ’ নামক সংগঠনের ব্যানারে ঢাকা টু চট্টগ্রামে রোড মার্চে অংশগ্রহণ করেছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:১৪
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:১৯
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১১
  • ১১:৫৯
  • ১৫:৪০
  • ১৭:১৯
  • ১৮:৩৮
  • ৬:৩৬
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা