পাঁচ আগষ্ট দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহŸায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বুদ্ধিজীবী ও স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছে তারা হলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাজাকার ও আল-বদরদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রাজধানীর রায়ের বাজারের পরিত্যক্ত ইটখোলা, মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় তাদেরকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। জাতিকে মেধাশূন্য করতেই এই হত্যাকান্ড করা হয়েছিল। যাতে করে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কেউ দেশের নেতৃত্ব দিতে না পারে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। গতকাল শনিবার বিকেল তিনটায় শহরের মিশনপাড়া হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টারে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজকে স্বাধীনতা ৫৩ বছর পরেও মানুষ কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় বলে আমরা কিন্তু স্বাধীনতা স্বাদ পেলাম না। আজকে এর জন্য তাই হল কারা এই আওয়ামী লীগ সরকার। ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগের দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। তারা কি করেছিল তারা এদেশে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতা হওয়ার পরে থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত কি অবস্থা করেছে তা আপনারা সবাই জানেন। গত ৫ আগস্ট এর পরে এদেশ নতুন করে আবারও স্বাধীন হয়েছিল। এই ৫আগষ্টে জন্য কিন্তু অনেকে ছাত্র – জনতা রক্ত দিয়েছে স্বাধীন করেছে সুতরাং আমরা এটাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসাবে বিবেচিত করি। তিনি আরো বলেন, এদেশের সাধারণ ছাত্র জনতা নিজেদের তাজা রক্ত দিয়ে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার হাত থেকে এদেশকে মুক্ত করেছে। আমাদের কিন্তু এসব কিছু ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের তো মনে রাখতে হবে। দেশের মানুষের ক্ষমতা দেশের মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য কিন্তু এই ৫ আগস্ট। খুন, গুম, হত্যা রাহাজানি, দুর্নীতি, মানুষের মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কিন্তু এই ৫ আগস্ট ছাত্র জনতা তাদের রক্ত দিয়ে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে এসকল প্রতিষ্ঠা করতে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহŸায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুগ্ম আহŸায়ক এড. জাকির হোসেন, আহŸায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, শাহিন আহমেদ,বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহŸায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর কৃষক দলের আহŸায়ক খন্দকার এনামুল হক স্বপনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।