আজ রবিবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ | বিকাল ৪:০২

বিএনপিতে ফিরছে সেই নেতারা!

ডান্ডিবার্তা | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিএনপিতে ফিরছে বিভিন্ন অভিযোগে বহিস্কার হওয়া নেতারা। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির বেশকজন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন সময় বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষ্কৃত এসব নেতারা বিএনপির দিকেই ইউটার্ণ নিচ্ছেন। বহিষ্কৃত নেতাদের বেশির ভাগ নেতা বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। বহিষ্কারের পরে একমাত্র তৈমূর আলম খন্দকার ভিন্ন দলে যোগদান করেছেন। বাকিরা আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির নেতাদের সঙ্গে মঞ্চে ওঠলেও বিএনপিতে এক পা দিয়ে রেখেছিলেন। তারা অন্য কোনো দলের পদ পদবী নেননি কিংবা আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেননি। সূত্রমতে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোন তৈমূর আলম খন্দকার। এ কারণে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারী বিএনপির সকল পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার করার পরেও তিনি বিএনপির সকল আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের রাজপথে ভুমিকা রাখেন। বহিষ্কার প্রত্যাহারের জন্য তার নেতাকর্মীরা জোরালো দাবিও তুলেন। কিন্তু তার বহিষ্কার প্রত্যাহার করা হয়নি। বিএনপির কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে উল্টো অনেক অপমান অবজ্ঞার শিকার হয়েছিলেন তৈমূর। সেই কারণে রাগে ক্ষোভে তৈমূর আলম খন্দকার গত জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস পূর্বে প্রয়াত নাজমুল হুদার দল ‘তৃণমুল বিএনপি’তে যোগদান করে মহাসচিবের দায়িত্ব দেন এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি বিএনপির নেতাকর্মীরা। নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করলেও ওই সময় তিনি বারবার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করেছেন এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার বন্ধের দাবি তুলেছেন। এদিকে জুলাই আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেন তৈমূর আলম খন্দকার। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি ও ভিডিও বার্তা দেন। একই সঙ্গে তিনি আন্দোলনে শিশু নিহতের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন এবং নিহতদের পক্ষে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরেও তৈমূর আলম নানা কর্মকান্ডে সক্রিয় রয়েছেন। এসব কর্মকান্ডে তিনি ‘তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব’ পদটি ব্যবহার করছেন না। এরই মাঝে গত ১১ নভেম্বর কথিত দল বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী বাদী হয়ে ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় তৈমূর আলমকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে দেন। ১৬ নভেম্বর তৈমূুর আলম খন্দকার গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিএনপির কেউ আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেনি। এই মামলায় আসামী হওয়ার আগে আমার মৃত্যু হলেও ভালো ছিল।’ তৈমূর আলমের বিবৃতির তিন দিনের মাথায় ১৯ নভেম্বর তৈমূরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী চাখারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় চাখারীকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়। বর্তমানে চাখারী কারাগারে। তৈমূর আলমের দেয়া বিবৃতিকে নিজেকে চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি পদটি ব্যবহার করেছেন। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রূপগঞ্জের রূপসী খন্দকার বাড়িতে অনুসারীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল কর্মসূচি পালন করেছেন তৈমূর আলম। এদিকে আমেরিকায় অবস্থান করছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। সিটি নির্বাচনে তৈমূর আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট থাকায় তাকে ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারী বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারের পরেও তিনি বিএনপির পক্ষে প্রচারণায় সরব রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি নিয়মিতই বিএনপির পক্ষে লেখালেখী করছেন। তিনি অন্য কোনো দলে যোগদান করেনি। তবে বিএনপির প্রয়োজনে ঠিকিই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ফিরে আসবেন এটিএম কামাল। এর আগে ১/১১ থেকে ২০০৯ সাল হয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিএনপির সকল আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন এটিএম কামাল। রাজপথে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বহুবার জেল খেটেছেন। আপাদমস্তক রাজপথের একজন ত্যাগী নেতা এটিএম কামাল। কিন্তু তাকে সতর্ক না করেই বিএনপি বহিষ্কার করে দেয়। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর-বন্দর আসনে জাতীয়পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে এবং সোনারগাঁ আসনের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে কাজ করার অভিযোগে মহানগর বিএনপির ‍যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল সহ বিএনপির ৬জন নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আতাউর রহমান মুকুল ছাড়াও মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু, মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, বিএনপি নেতা সুলতান আহম্মেদ, গোলাম নবী মুরাদ ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. নুরুজ্জামানকেও বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত হলেও মুকুল সহ উপরোক্ত প্রত্যেকেই বিএনপির রাজনীতিতে সরব। বিএনপির নানা কর্মকান্ডে সক্রিয় ভুমিকা রাখছেন। ১৬ ডিসেম্বর মুকুল বিএনপির ব্যানারে বন্দরে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শোডাউন করেছেন। গত জাতীয় নির্বাচনে রূপগঞ্জ আসনে নৌকার প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীরের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে ৪ জানুয়ারী রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটু, কাঞ্চন পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন মেম্বার ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার করে বিএনপি। যদিও এর বছর দেড়েক আগেই আলমগীর হোসেন টিটু গাজীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদানের খবর বের হয়। কিন্তু এরপরেও তিনি উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি পদে রাখা হয়। তবে বর্তমানে এসব নেতারা বিএনপির রাজনীতিতে সরব। গত ১২ ডিসেম্বর গাড়ি ভাংচুর, বাসের চালককে মারধরের জের ধরে এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিএনপির সকল পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত হোন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন। বহিষ্কৃত হলেও তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সরব রয়েছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:১৪
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:১৯
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১১
  • ১১:৫৯
  • ১৫:৪০
  • ১৭:১৯
  • ১৮:৩৮
  • ৬:৩৬
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা