পদ হারানোর আতঙ্কে নেতারা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আয়োজিত কর্মশালায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, দলের মধ্যে ‘দুষ্ট’ লোকদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে। গত বুধবার নারায়ণগঞ্জ নগরীর মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতিতে এই কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই কথা বলেছেন। দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, তারেক রহমানের এমন কথায় স্পষ্ট যে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির দুষ্ট লোকেরা তারেক রহমানের কাছে চিহ্নিত। অর্থাৎ গত ৫ আগস্টের পর বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে দলের ভেতর ও বাহিরের যেসব লোকজন দখলবাজি চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছেন যেসব ব্যক্তিদের যাবতীয় কর্মকান্ডের ফিরিস্তি ইতিমধ্যে তারেক রহমানের কাছে রয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন এসব দুষ্ট লোকদের টাইট দিয়ে রাখার। যদিও জেলার শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতাই দুষ্ট লোকদের তালিকায় ওঠে আসছে। এখন দলের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রশ্ন ওঠেছে তাহলে বিএনপিতে দুষ্ট লোকগুলো কারা? এসব দুষ্ট লোকদের বিরুদ্ধে তারেক রহমান সামনে কি ধরণের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার বিষয়। নেতাকর্মীরা মনে করছেন, তারেক রহমানের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা দুষ্ট লোকগুলো তারেক রহমানের কাছে চিহ্নিত আছে। যারা গত ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন। নেতাকর্মীদের অনেকে জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন হাট ঘাট মাঠ ফুটপাত পরিবহন সেক্টর ঝুট সেক্টর সহ নানা সেক্টর নিয়ন্ত্রণে নামে। এসব সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাঝে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরি মাঝে জেলা ও মহানগর বিএনপির বেশকজন শীর্ষ নেতাদের দিকেও অভিযোগের আঙ্গুল ওঠেছে বেশ কয়েকবার, যারা মামলা বাণিজ্যের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করেছেন। চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নিজ দলের নেতাদের মাঝে মারামারির ঘটনা ও মামলার ঘটনাও ঘটেছে। চাঁদাবাজির ঘটনাকে ইস্যু করে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুও গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। বন্দরে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর পিটুনি ও পানিতে চুবানি খেয়েছেন দুটি ইউনিয়ন বিএনপির দুই সভাপতি জাহিদ খন্দকার ও তারাঁ মিয়া। পরিবহন সেক্টর দখল নিয়ে জাকির খান ও মাহাবুব উল্লাহ, ভাগ্নে রানা গ্রæপের মাঝে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও জেলার সোনারগাঁও, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর থানাধীন বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন সেক্টর দখলবাজি ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন লোকজন সংঘঠিত করেছে, যার দায়ভার বিএনপির উপর গিয়ে পড়েছে।