আওয়ামী প্রিতির অভিযোগ মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে শুনানীতে অংশ নেওয়ার অভিযাগ উঠেছে যিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। সেই সাথে আরও বিভিন্ন মামলার আসামী হিসেবে রয়েছেন। যদিও অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামী কিনা তার জানা নেই। সেই সাথে তিনি যার পক্ষে শুনানীতে অংশ নিয়েছেন তিনি আওয়ামী লীগের কোনো নেতা নন। আদালত সূত্রে জানা যায়, সা¤প্রতিক সময়ে রূপগঞ্জ থানার দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার হন আলিমুদ্দিন। যেই মামলার বাদী হচ্ছেন বাদী হচ্ছেন মো. আবুল হোসেন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং তার পরিবারের সদস্যরাও বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আর আলিমুদ্দিন কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সহ সহ সভাপতি রয়েছেন। সেই সাথে তার ছেলে পনির হোসেন ও শহিদুল মিয়া যথাক্রমে কাঞ্চন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাঞ্চন পৌরসভা ছাত্রলীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি পদে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে রুপগঞ্জ থানায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে। একই সাথে তারা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা চেষ্টা মামলার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হিসেবে রয়েছেন। আদালতে শুনানীর সময়ে এই আলিমুদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে দাঁড়ান নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। বিপরীতে বিএনপি নেতার পক্ষে আইনজীবী হিসেব দাঁড়ান আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর বারী ভূইয়া, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা ও অ্যাডভোকেট আজিজুল হক হান্টু। আইনজীবীরা জানান, আলিমুদ্দিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন একাই শক্ত অবস্থান নেন। সেই সাথে শুনানী শেষেও বিচারকের সাথে কথা বলতে চান। তিনি তার পক্ষে জয় নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। এ নিয়ে আইনজীবীদের সাথে অনেক পাল্টাপাল্টি কথাও বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ আর যাই করুক একজন লোক আইনজীবীদের কাছ থেকে আইনি সহায়তা পেতেই পারে। কিন্তু একজন জুলুমবাজ, হত্যা মামলার আসামী, মাদক ব্যবসায়ী, মাটি খেকো মানুষের পক্ষ তো নেয়া যায় না। এমন কোনো অপকর্ম নেই যা এই আলিমুদ্দিন ও তার ছেলে পনির করেনি। আর তাদের পক্ষ হয়ে আইনি লড়াই চালাচ্ছে সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি আমাদের দলের লোক। তিনি আমাদের পক্ষ না নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়েছে যিনি কিনা একজন কুখ্যাত লোক। তিনি আরও বলেন, আমি নিজে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সাথে বলেছি। আমি বলেছি আপনি মহানগর বিএনপির আহবায়ক। আপনি আমাদের পক্ষে থাকবেন। তিনি আমাকে বলেছেন এটা তার পেশা; কিন্তু আমার কথা হচ্ছে এটা তার পেশা আমি মেনে নিলাম। তাই বলে আপনি একজন জঘন্যতম অপরাধীর পক্ষে দাঁড়াবেন। আমি আরও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেছি সবাই সাখাওয়াত হোসেন খানকে নিয়ে ক্ষুদ্ধ। তিনি এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছেন না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া আওয়ামী লীগের পক্ষ আইনি লড়াই করছেন। যা তার দ্বারা আশা করা যায় না। তবে এ বিষয়ে অ্যডাভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, মামলার বাদী এবং আসামী একসাথে ইটাখোলা চালাতো। আসামী যদি আওয়ামী লীগ হয়ে থাকে তাহলে একসাথে ব্যবসা করলো কিভাবে? এখন আমরা মামলা পরিচালনা করলে বলে পক্ষ নেই। তারা একসাথে পার্টনার হয়ে খোলা চালিয়েছে এখন পার্টনারের সাথে অন্য বিষয় নিয়ে বিরোধ হয়েছে এখন চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করিয়ে নিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, এটা অনেক আগের ঘটনা। এক বছর আগের ঘটনা দেখিয়ে সে মামলা করেছে। তিনি কোনো আওয়ামী লীগ নেতা না। বললেই তো আর নেতা হয়ে যায় না। কোনো কমিটি পদে আছে কিনা দেখাক। তারা যে পদের কথা বলছে এগুলো ভুয়া কথা। আসামীর নামে বৈষম্যবিরোধ কোনো মামলা আছে কিনা আমার জানা নেই।