ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নিজেদের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর আগে তারা রাজপথে নামার ঘোষণা দিলেও এদিন তাদের কোনো উপস্থিতি মেলেনি। পালন করে নি কেন্দ্রঘোষিত কোনো কর্মসূচি। নারায়ণগঞ্জের কোথাও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে শোনা যায়নি। যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনা। এদিকে ছাত্রলীগকে ঠেকাতে এদিন কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি ছাত্রদলকে। মূলত ছাত্রলীগের ফেরা নিয়ে তারা বর্তমানে সিরিয়াস নয়। কেননা বিগত সময়ে একাধিকবার ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কামব্যাক করার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে তা করেনি। বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি অঙ্গসংগঠনের অবস্থা বেশ শোচনীয়। তাই এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে নিয়ে মোটেও চিন্তিত না বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা এখন আগামী নির্বাচনী চিন্তাভাবনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর আগে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের শাসনামলে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাঠঘাট সবসময় সরগরম রেখেছিল। আওয়ামী লীগের যেকোনো কর্মসূচিতে তাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি দেশের যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে তাদের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ ছিল। অথচ বর্তমানে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বাদে অন্য কোথাও দেখা যায় না। বর্তমানে তাদের অস্তিত্ব অনেকটাই সংকটের মুখে। এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে এরই মধ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার প্রচারণা চালানো হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা উল্লেখ করেন, সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডিস্থ প্রতিকৃতিতে এবং টুঙ্গিপাড়ায় শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। পরে শিশুদের নিয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন, র্যালি, অসহায়দের মধ্যে খাবার বিতরণ, শেখ হাসিনার জন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা, ভিডিও বার্তায় শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। এই বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সম্ম্রাট। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের অনেক ছাত্রলীগ নেতাই ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে আগামী ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আদৌ রাজপথে নামবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুথানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দৈন্যদশা সৃষ্টি হয়েছে। তারা গত কয়েক মাস ধরেই পরিবার ছাড়া রয়েছেন। কেউ কেউ রয়েছেন পুরোদমে আত্মগোপনে। কেউ আবার পালিয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাই এমন অবস্থায় অধিকাংশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কোনো ঝুঁকি নিতে চাইবেন না। পাশাপাশি বর্তমানে বিএনপির পাশাপাশি ছাত্রদলের নেতাকর্মী রাজপথে পুরোদমে সক্রিয় রয়েছেন। আপাতত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কখনোই পড়তে চাইবেন না। এর ফলে তারা জনরোষে পড়ার মুখে পড়তে পারেন। এছাড়া গত ৫ই আগস্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার নিহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এইসব মামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরও আসামি করা হয়েছে। তাই এই মুহুর্তে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেউই স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হতে চাইবেন না। এর আগে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার নিষিদ্ধ করলেও এ নিয়ে রাজপথে কঠোর ভূমিকা দেখাতে পারে নি নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাজপথে তাদের বিন্দুমাত্র কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা না গেলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকে সক্রিয় দেখা গেছে। পাশাপাশি অধিকাংশ ছাত্রলীগ নেতার এ নিয়ে কোনো হদিসই নেই। এর ফলে নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগের দূর্বল অবস্থারই বহি:প্রকাশ বলে মনে করেন সবাই। অথচ দেশের আওয়ামী লীগের যেকোনো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কিংবা আন্দোলন সংগ্রাম কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার পর ছাত্রলীগের এমন করুণ অবস্থা আর কখনো লক্ষ্য করা যায় নি। নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের রাজনীতি মূলত ওসমান পরিবারকে কেন্দ্র করে নিয়ন্ত্রিত হতো। এর ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও সবাই যে যার যার মতোন পালিয়ে যান। এদের মধ্যে অধিকাংশ নেতা সবার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। এমনকি নিজেদেরও ফেসবুক অ্যাকাউন্টও ডিঅ্যাকক্টিভেট করে রেখেছেন। শুধুমাত্র কিছুসংখ্যক নেতা আত্মগোপনে থেকে ফেসবুকে সরকারের সমালোচনা করে পোস্ট করে দলকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন। এদিকে অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন একের পর এক সমালোচনায় ব্যস্ত তখন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করায় এ নিয়ে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। গত ২৩ অক্টোবর রাতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেন। এরপর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক আরও বেড়ে গিয়েছে। সবাই যার যার অবস্থান থেকে আরও সতর্ক অবস্থানে সরে গিয়েছেন। তবে সবার ধারণা ছিল, দেশের অন্যান্য জেলায় এ নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোনো প্রতিবাদ দেখাতে না পারলেও অন্তত নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তা করে দেখাতে পারবেন। কিন্তু তা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তারা। এর ফলে দলের প্রতি দায়িত্বহীনতা এবং সাহসের অভাব প্রকাশ পেয়েছে।
হাবিবুর রহমান বাদল আশা ভরসা আর হতাশার মধ্য দিয়ে বিদায় নিয়েছে ২০২৪। দেড় সহস্রাধিক ছাত্র জনতার রক্ত আর এিশ হাজারেরও বেশি মানুষকে পংগুত্ব বরণ করতে হয়েছে স্বৈরাচারি শেখ হাসিনাকে পদচু্যত করতে। বিগত দেড় দশকে আওয়ামী সরকার দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধংস করে দিয়ে গেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী দোসরা। শেখ […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯