ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের ভাই ও ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জের চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি ছিলেন। সেইসঙ্গে তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খন্দকার আজিজুল হক হান্টু বলেন, সাব্বির আলম খন্দকার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম খান রেজা বলেন, এটা ছাত্রদল নেতা জাকির খানের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ছিল। যার কারণে বাদীপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। ফলে আদালত এই মামলায় সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। মামলার বাদী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, সাব্বির আলম ব্যবসায়ীদের স্বার্থ নিয়ে লড়তে গিয়ে নিজের জীবন দিয়েছেন। অথচ এখন বিকেএমইএ’র যারা শীর্ষ নেতা রয়েছেন তারাই এই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ঝুটের ব্যবসা করছেন। দেশের বর্তমান বিচার বিভাগ সবারই জানা। আমাদের দেশের সুপ্রিম কোর্টও রাজনৈতিক বিবেচনায় চলে। তিনি আরও বলেন, এখন আমরা ক্ষমতায় নাই, তাই এ নিয়ে চিন্তা করার কী আছে। তবে আমি দেখছি এটা নিয়ে আর কী করা যায়। আমি এর আগে একাধিকবার বলেছিলাম, সাব্বির হত্যার বিচার না হলে বাংলাদেশের আর কেউ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলবে না। যে রায় দেওয়া হলো আগামীতে মানুষ আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাবে না। এর আগে ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকাÐের পর তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে সাবেক এমপি মো. গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল ও শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান ও মামুন খান, মোক্তার হোসেন ও জঙ্গরসহ মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়। প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার ছিলেন দেশের গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক ও সাবেক সহসভাপতি। ২০০৩ সালের শুরুর দিকে অপারেশন ক্লিনহার্ট চলাকালে একটি অনুষ্ঠানে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতিতে সাব্বির আলম নিজের জানাজায় সবাইকে শরিক হওয়ার আহŸান জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।
হাবিবুর রহমান বাদল আশা ভরসা আর হতাশার মধ্য দিয়ে বিদায় নিয়েছে ২০২৪। দেড় সহস্রাধিক ছাত্র জনতার রক্ত আর এিশ হাজারেরও বেশি মানুষকে পংগুত্ব বরণ করতে হয়েছে স্বৈরাচারি শেখ হাসিনাকে পদচু্যত করতে। বিগত দেড় দশকে আওয়ামী সরকার দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধংস করে দিয়ে গেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী দোসরা। শেখ […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯