নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নয়া কৌশলে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মাঠে নামার ঘোষণা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগেই জানিয়েছিলো নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করতে গিয়ে গ্রেপ্তারও হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে নারায়ণগঞ্জে ঘোষণা দিয়েও প্রকাশ্যে নামতে পারেননি তারা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনেও নারায়ণগঞ্জে কোথাও ছিলো না ছাত্রদলের সতর্ক অবস্থান।প্রকাশ্যে নামার সাহস না দেখালেও এসেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে। আর তা হচ্ছে রীতিমত ডাকাত দলের বেশ নিয়ে উদযাপন করেছেন ছাত্রলীগের জন্মদিন। বদ্ধ ঘরে মুখে মুখোশ পরিধান করে সামনে একটি কেক নিয়ে যেভাবে ছাত্রলীগের জন্মদিন পালন করেছেন তা দেখে তৈরী হয়েছে হাস্যরস। এককালে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন দেয়া ছাত্রলীগ এখন দশজনও একসাথে জড়ো করতে পারে না। যারাই একত্রিত হয় তারাও ক্যামেরার সামনে আসে ডাকাতের বেশে। গত ৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করতে দেখা গেছে ঘরে বসে। সেখানে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা ঘরের ভেতরে বসে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করেন। এবার সেই অবস্থা থেকেও অবনতি হয়েছে তাদের। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে হয়েছে অন্ধকার ঘরের ভেতর মুখে মুখোশ পড়ে। যা রীতিমত ডাকাত দলের শামিল। স¤প্রতি নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার মধ্যে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রলীগ পরিচয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটতে দেখা যায় সাতজন মুখোশধারীকে। পেছনে রাখা হয়েছিলো আড়াইহাজার আসন তথা আড়াইহাজারের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। এক মিনিটেরও কম সময়ের ভিডিওতে সমাপ্ত হয় তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন। নারায়ণগঞ্জের মধ্যে কেবল বাবুর অনুসারীরাই যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে পেরেছে তা প্রমাণ দেয়া হলো এই ভিডিওর মাধ্যমে। কিন্তু উপস্থিত সকলেই ছিলেন ডাকাতের বেশে। তার উপর আড়াইহাজার উপজেলা ডাকাত অধ্যুষিত হওয়ায় এই সমালোচনা আরও বেশী হচ্ছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, কেক কাটা শেষে এই সদস্যরা ডাকাতি করতে গিয়েছেন কিনা এমন তীর্যক মন্তব্য ছুড়তেও ভুলেননি। নিজেদের পুরোনো অপরাধ জগতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এভাবেই পরিচয় ঢেকে রেখে এমন মন্তব্যও করেছেন অনেকে। রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগকে বর্তমান সরকার তার ব্যক্তি স্বার্থের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি। বরং এই সংগঠনের কার্যকলাপ এবং সহিংসতা প্রমাণ করে দিয়েছে। নিজেদের সেই নিষিদ্ধ করা আরও বাস্তবায়নে সহায়ক ভুমিকা রাখছে ডাকাত বা সন্ত্রাসীদের মত মুখোশ পরিধান করে কর্মসূচী পালন। যা তাদের জনপ্রিয়তা ফেরানো তো দূরে থাক, উল্টো মানুষ সামনে পেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দিবে।