আজ শনিবার | ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৭ পৌষ ১৪৩১ | ১০ রজব ১৪৪৬ | সন্ধ্যা ৬:৫৭

আতঙ্কের জনপদ এখন জোগারদিয়া

ডান্ডিবার্তা | ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আড়াইহাজারে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহতের ঘটনায় জোগারদিয়া গ্রাম এখন আতঙ্কের জনপদ। একদিকে গ্রেপ্তার আতঙ্ক, অন্যদিকে নিহত ডাকাতের সহযোগীদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ভয়ে প্রতিদিনই বাড়িছাড়া হচ্ছে কোনো না কোনো পরিবার। জানা যায়, মামলা-হামলার ভয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর অনেকে আশ্রয় নিয়েছে স্বজনের বাড়িতে। মাঠে কাজ করতে না পারায় বহু ফসলি জমি পরিত্যক্ত পড়ে আছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত সপ্তাহের শুক্রবার মধ্যরাতে সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল জোগারদিয়া চকের একটি সেচপাম্পের ড্রেনের ওপর বসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বাউল গানের আসর শেষে বাড়ি ফিরছিলেন স্থানীয় কিছু লোক। এ সময় ওই এলাকায় ডাকাতের উপস্থিতি টের পেয়ে আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান তারা। পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে আশপাশের ৪০০ থেকে ৫০০ লোক ডাকাত দলকে ঘেরাও করে। এ সময় সাত-আটজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে মুকুল ওরফে গিট্টুকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরে বেধড়ক পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এলাকার লোকজনের ভাষ্য, ডাকাতি করতে গিয়ে মুকুল ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দ্রæত বেঁধে ফেলায় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। যে কারণে তার নামের সঙ্গে গিট্টু যুক্ত হয়ে যায়। থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন, নিহত মুকুল আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আড়াইহাজারসহ বিভিন্ন থানায় চারটি ডাকাতি ও একটি বিশেষ আইনে মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এদিকে ঘেরাও করে মুকুলকে গণপিটুনি দিয়ে নিহত করাকে কেন্দ্র করে তার সহযোগীরা গত রোববার জোগারদিয়ার শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এলাকায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর বাড়িঘরে হামলা করে। এ সময় ওই গ্রামের রেজাউল করিমের বসতবাড়ি ও টেক্সটাইল মিলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে তারা। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার মালপত্রের ক্ষতি হয় বলে রেজাউল দাবি করেন। এ ছাড়া ওই গ্রামের হিমেল মিয়া, আবু সিদ্দীক ও সোহেল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এর পর থেকেই জোগারদিয়া গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মামলার সাথে হামলা ও মারধরের ভয়ে এলাকায় থাকছেন না অকেনেই। স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে এ ব্যাপারে জানানো হলে সেনাবাহিনীর একটি দল জোগারদিয়া গ্রামে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর ফের এলাকায় এসে হামলাকারীরা তাÐব শুরু করে। এই সুযোগে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র মামলার ভয় দেখিয়ে গ্রামবাসীর কাছে চাঁদা দাবি করছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রেজাউল করিম, হিমেল মিয়া, আবু সিদ্দীক ও সোহেল মিয়া জানিয়েছেন, তাদের মতো অনেকেই মামলা, হামলা ও চাঁদাবাজদের ভয়ে এলাকায় থাকতে পারছেন না। গ্রেপ্তার ও হামলার ভয়ে এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের আত্মীয়র বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুকুলের সহযোগী ও হামলাকারীদের দ্রæত আইনের আওতায় এনে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরানোর দাবি জানান তারা। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ডাকাত মুকুল নিহতের ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় মামলা হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ায় কিছু নেই। পুলিশ কোনো নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানি করবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা