আজ বুধবার | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১ | ১৪ রজব ১৪৪৬ | রাত ১০:২০

শামীম ওসমান ও জাকির খানের বিরোধ ছিল দীর্ঘ দিনের

ডান্ডিবার্তা | ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত রাজনীতিবিদ ও গডফাদার শামীম ওসমানের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত জাকির খান। ৯০ দশক থেকে দুজনের রাজনৈতিক প্রভাবে গরম থাকতো শহর। বলা হয়, চাষাঢ়া দেওভোগ বিরোধের প্রধান হোতা জোহা-চুনকা হলেও সেই অঞ্চলভিত্তিক বিরোধ দীর্ঘদিন চালিয়ে নিয়েছেন শামীম ওসমান এবং জাকির খান। তবে ২০০১ সাল পরবর্তী সময়ে দুজনের বিরোধ সেভাবে আর দেখতে পায়নি নারায়ণগঞ্জবাসী। একদিকে শামীম ওসমান ২০০১ সালের পরেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অন্যদিকে জাকির খানও বিএনপি আমল থেকে লম্বা সময় একাধিক মামলার কারনে পলাতক জীবন যাপন করেছেন। ফলে মুখোমুখী হওয়া হয়নি তাদের দুজনের। ২০০৯ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন শামীম ওসমান। সেসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা অভাব অনুভব করেছেন একজন মমিনউল্লাহ ডেভিড ও জাকির খানের। এদিকে ৫ আগস্টের পর আবারও জাকির খানের নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছেন নারায়ণগঞ্জজুড়ে। সবশেষ সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জাকির খান, তার দুই ভাই সহ ৮ আসামী খালাস পাওয়ার পর উচ্ছ¡াস তৈরী হয়েছে জাকির খানের অনুসারীদের মাঝে। তার আইনজীবীরা বলছেন, অল্পদিনের মধ্যেই বেরিয়ে আসবেন জাকির খান। তবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ কখন তা জানতেই প্রতিক্ষার প্রহর গুনছেন অনুসারীরা। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরে সর্ববৃহৎ শোডাউন দেয় জাকির খানের অনুসারীরা। যেই মিছিল ছিলো নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব থেকে দুই নম্বর রেলগেইট পর্যন্ত বিস্তৃত। বিশাল এই শোডাউন দিয়ে জাকির খানের অনুসারীরা নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দেয়। নারায়ণগঞ্জে বিএনপিতে সবচেয়ে বেশী শক্তিধর এবং কর্মী বাহিনী যে জাকির খানের তা স্পষ্ট করে দেয় তারা। তবে এই শক্তির প্রতিযোগীতা সামনে কোনদিকে মোড় নেয় তা এখন দেখার বিষয়। গুঞ্জন রয়েছে, জাকির খান ছাত্রদলের সভাপতি থাকাকালীন সময়ে শামীম ওসমান চাষাঢ়া খাজা মার্কেটের সামনে সমাবেশ করছিলেন। সেখানে জাকির খানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য প্রদানের সময় আচমকা গাড়ি নিয়ে হাজির হয় জাকির খান। ফিল্মি স্টাইলে গাড়ি থেকে নেমে জাকির খান দাঁড়াতেই আশেপাশ থেকে অর্ধশত জাকির খানের অনুসারী সমাবেশস্থলে প্রবেশ করলে দৌড়ে পালিয়ে যায় শামীম ওসমান। এরপর থেকেই শামীম ওসমান প্রতিশোধের নেশায় মরিয়া হয়ে উঠে। ক্ষমতায় আসার পর টানবাজার ও নিতাইগঞ্জের নিষিদ্ধপল্লী উচ্ছেদ করে শামীম ওসমান। মূলত এখান থেকে মোটা অংকের অর্থ আসতো জাকির খানের লোকজনের হাতে। এই নিষিদ্ধপল্লী উচ্ছেদ করে আর্থিকভাবে দুর্বল করে দেয় জাকির খানকে। যদিও শামীম ওসমান একে নানান সময় নানান রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাস্তবে এই ঘটনার নেপথ্যে ছিলো জাকির খানের সাথে শামীম ওসমানের বিরোধ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘যেভাবে জাকির খানের অনুসারীরা নিজেদের মেলে ধরতে শুরু করেছে তাতে স্পষ্ট যে আগামীর রাজনীতিতে জাকির খান হয়ে উঠতে পারেন বিএনপির হর্তাকর্তা। এখানকার নির্বাচন থেকে শুরু করে বড় বড় সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে রাখবে তার অনুসারীরা। তবে শামীম ওসমান যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রেখে নিজেদের মধ্যে বিরোধ করতে দেননি। সেভাবে জাকির খান চালিয়ে নিতে পারলে তিনি হয়ে উঠতে পারেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অলিখিত নিয়ন্ত্রক।’




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা