আজ বুধবার | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১ | ১৪ রজব ১৪৪৬ | রাত ১০:২০

যুবলীগ নেতা মতি ছেলেসহ গ্রেপ্তার

ডান্ডিবার্তা | ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহŸায়ক মতিউর রহমান মতি ও তার ছেলে বাবুইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তর করা হয়। ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়ার আইলপাড়া এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান ও তার ছেলে বাবুই। গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, ভাটারা ও যাত্রাবাড়ী থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। তার ছেলে বাবুইকেও কয়েকটি হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন জেলহাজতে বাস করেছিলেন মতি। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ধারায় মতি ও তার স্ত্রী রোকেয়া রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছিলেন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। দুদক সূত্র জানায় মামলাটি চলমান রয়েছে। জানা গেছে, আশির দশকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমুলপাড়া এলাকায় মুনলাইট সিনেমা হলের টিকিট বিক্রি করতেন মতি। পরে তৎকালীন জাতীয় পার্টির নেতা সফর আলী ভূঁইয়ার হাত ধরে নাম লেখান রাজনীতিতে। নব্বই দশকে এসেও এলাকায় বিএনপির মিছিলে বোমা হামলা করে আলোচনায় আসেন মতি। ওই বোমা হামলায় মনা নামে এক পথচারী নিহত হয়েছিলেন। তার দুই বছর পর নিজ বাড়িসংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদের উপর শাহ আলম বাবু নামে এক যুবককে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করার পর থেকেই মতি এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিতি পায়। এরপর জাতীয় পার্টি ছেড়ে যোগ দেন যুবলীগে। যুবলীগে যোগ দিয়েই এলাকায় শুরু করেন বেপরোয়া চাঁদাবাজি। গড়ে তোলেন অপরাধ জগতের সাম্রাজ্য। ২০০১ সালে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান বিদেশে। পরে অওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ২০০৯ সালে মতি দেশে এসে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলে যেতে হয়। প্রায় ১ বছর জেলহাজতে বাস করে জামিনে বের হন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহŸায়ক পদ পাওয়ার পরই বদলে যায় তার ভাগ্য। ২০১৬ সালে নাসিকের নির্বাচনে হন ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। হয়েছিলেন ২নং প্যানেল মেয়র। ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনেও তিনি কাউন্সিলর বিজয়ী হন। একদিকে জনপ্রতিনিধি, অপরদিকে থানা যুবলীগের আহŸায়ক হওয়ায় ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন মতি। ভাটারা থানার এসআই (তদন্ত) সজুন হক জানান, গ্রেপ্তার মতিউর রহমানকে ভাটারা থানায় করা একটি হত্যা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা হত্যা ও হত্যাচেষ্টাসহ মোট ৪৫টি মামলার প্রতিটিতেই মতিউর রহমান মতি এজাহারনামীয় আসামি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনুর আলম বলেন, মতিউর রহমানকে ভাটারা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আমরা ভাটারা থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা অনেক হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা